এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > রাজ্য সরকারের সঙ্গে আবার সংঘাত রাজ্যপালের, ভয়ঙ্কর অভিযোগ করলেন জগদীপ ধনকর

রাজ্য সরকারের সঙ্গে আবার সংঘাত রাজ্যপালের, ভয়ঙ্কর অভিযোগ করলেন জগদীপ ধনকর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নবান্ন কিংবা রাজ্য সরকারের সাথে বারংবার সংঘাতের পথে দেখা গিয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরকে। বিভিন্ন সময় এই নিয়ে একাধিক বিতর্ক সামনে এসেছে। সাম্প্রতিককালে হাওড়া-বালি পুরসভা বিলে স্বাক্ষর করা নিয়েও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের সঙ্গে সংঘাতের পথে নবান্ন। এই পরিস্থিতিতে পুরনো একটি ঘটনাকে সামনে এনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর আরো একবার নিজেই সংঘাত উস্কে দিলেন। বুধবার সকালে একটি টুইট করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এবং সেখানেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের বিরোধিতা করেন। প্রসঙ্গত, গতবার গোয়া সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলীয় সভায় সোজাসুজি আক্রমণ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালকে।

বিভিন্ন সংঘাতের ঘটনা সামনে এনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানারজ্জী রাজ্যপাল তথা এই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে বিশেষ একটি অংশ তুলে এবার টুইট যুদ্ধে অবতীর্ণ হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল এই মুহূর্তে রয়েছেন দার্জিলিঙে। সেখান থেকেই এরকম একটি বিষয় সামনে এনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের ভূমিকা নিয়ে আরও একবার সরব হলেন রাজ্যপাল। তিনি অভিযোগ করেন, বাংলায় গণতন্ত্রের উন্নতির জন্য যেভাবে সাংবিধানিক প্রধান এবং রাজ্যের প্রশাসনকে একসাথে কাজ করা উচিত তা হচ্ছে না।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজ্যপালকে যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্নসময় কটাক্ষ করেন তা অত্যন্ত নিন্দাজনক এবং চরম অবমাননাকর বলে মন্তব্য করেন রাজ্যপাল। বিভিন্ন সময় মুখ্যমন্ত্রীকে ডেকে পাঠিয়ে তিনি সাড়া পাননি বলেও টুইট করেন। এমনকি মুখ্যমন্ত্রী 167 নম্বর ধারা অনুযায়ী নিজের কর্তব্য পালন না করে আমলাতন্ত্রকে রাজনীতিকরণের পথে নিয়ে চলেছেন বলে দাবি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকরের। তবে তৃণমূল রাজ্যপালের সমস্ত অভিযোগ মুখ বুজে মেনে নেয়নি।

তৃণমূলের মুখপাত্র তথা রাজ্য সম্পাদক কুনাল ঘোষ পাল্টা রাজ্যপালকে আক্রমণের নিশানায় রেখে বলেছেন, রাজ্যপাল আগে নিজের কর্তব্য পালন করুন। কিভাবে রাজ্যপাল একটি দলকে রাজনৈতিকভাবে আক্রমণ করতে পারেন? বলে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যেভাবে প্রতিনিয়ত রাজ্যপাল এবং রাজ্য সরকারের মধ্যে বিরোধিতা দেখা যায় তাতে রাজ্যপালের টুইট নতুন মাত্রা যোগ করল। খুব স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনা যে রাজনৈতিক চাপানউতোর বৃদ্ধি করবে সে কথা অনস্বীকার্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!