এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যপালের নিরাপত্তা নিয়ে এবার নতুন করে লাগতে চলেছে কেন্দ্রে-রাজ্যে? জানুন বিস্তারিত

রাজ্যপালের নিরাপত্তা নিয়ে এবার নতুন করে লাগতে চলেছে কেন্দ্রে-রাজ্যে? জানুন বিস্তারিত

বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে রাজ্যপাল ও রাজ্যের শাসক দলের মধ্যে একটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে। শাসকদলের বহু কাজের প্রতিবাদ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। বেশ কিছুদিন আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় ঘটনায় রাজ্যপাল চূড়ান্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন শাসক দলের প্রতি। তার আগে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং এর উপর হয়ে যাওয়া হামলার ঘটনায় রাজ্যের প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে রাজ্যপাল প্রশ্ন তুলেছিলেন। সম্প্রতি রাজ্যের শাসক দল ও রাজ্যপালের মধ্যে দূর্গা পূজা কার্নিভালকে ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। রাজ্যপালের অভিযোগ ছিল, তাঁকে রীতিমত অপমান করা হয়েছে প্রকাশ্যে। এই ঘটনা নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছিল রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। এবার রাজ্যপাল ও শাসকদলের মধ‍্যে নতুন করে বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়েছে, রাজ্যপালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনকে ঘিরে।

এবার রাজ্যপালের নিরাপত্তা নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্যের মধ্যে সংঘাত লাগলো নতুন করে। নবান্ন সূত্রে জানা গেছে, নবান্ন থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে রাজ্যপালের নিরাপত্তা ইস্যুটি নিয়ে আরেকবার চিন্তাভাবনা করার কথা বলা হয়েছে রাজ্যের পক্ষ থেকে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের দায়িত্ব রাজ‍্য সিআরপিএফ বা আধা সোনার হাতে ছাড়তে নারাজ বলে জানা গেছে।

রাজ্য সরকারের সাথে কোনরকম আলোচনা না করে কেন্দ্র রাজ্যপালের নিরাপত্তায় আধা সেনা মোতায়নের সিদ্ধান্ত কিভাবে নিল তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। সূত্রের খবর, নবান্ন থেকে চিঠিতে এই ইস্যুটিও জানতে চাওয়া হয়েছে। চিঠিতে লেখা আছে, ‘রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে রাজ্যপালকে নিরাপত্তা দেওয়া সরকারের দায়িত্ব। রাজ্যপাল দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন থেকেই রাজ্য তাকে জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দিয়ে আসছে। তাহলে হঠাৎ কেন বা কিসের জন্য রাজ্যপালের নিরাপত্তায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক আধা সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিল।’

প্রসঙ্গত গত 30 জুলাই রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে আসেন। এরপর 15 অক্টোবর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয় রাজ্যপালের নিরাপত্তার দায়িত্বে আধা সেনা মোতায়েন করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশিকা সামনে আসতেই রাজ্য সরকার তাঁর আপত্তি জানাতে শুরু করে। এ রাজ্যের শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে চরম বিতর্ক সৃষ্টি হয় কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্তে। অন্যদিকে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশিকা সত্বেও এক সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পরেও রাজ্যপালের নিরাপত্তার ভার এখনো গ্রহণ করেনি আধাসেনা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, রাজ্যপালের নিরাপত্তা নিয়ে বেশ কয়েকবার রাজ্যপুলিশ ও আধাসেনার পদস্থ কর্তারাও বৈঠকে বসেন। কিন্তু বৈঠক থেকে কোন সমাধানসূত্র মেলেনি। ফলে আধাসেনার পক্ষেও রাজ্যপালের নিরাপত্তা গ্রহণ করা নিয়ে যথেষ্ট জটিলতা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার জন্য চিঠি দেওয়া হল।

উল্লেখ্য, যাদবপুরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়কে ছাত্র ঘেরাও এর হাত থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে রাজ্যপাল নিজেও ঘেরাও এর মধ্যে বন্দী হয়ে যান। সেই ঘটনার পরেই রাজভবনের তরফ থেকে রাজ্যপালের নিরাপত্তা বাড়ানোর দাবি জানানো হয়। তবে বর্তমানে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যপাল জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান। অন্যদিকে, রাজভবনের তরফ থেকে তাকে জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বলা হয়। প্রসঙ্গত এ রাজ্যে বর্তমানে দুজন জেড প্লাস নিরাপত্তা পান। তাঁদের মধ্যে একজন হচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যজন হলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্যপালের ঘটনায় শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে বিরোধী শিবিরের বক্তব্য হলো, শাসক শিবির ইচ্ছাকৃতভাবেই রাজ্যপালকে যখন-তখন অপমান করে, যা কখনোই মেনে নেওয়া যায়না। শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে যেদিন থেকে রাজ্যপাল মুখ খুলেছেন, সেদিন থেকেই শাসকদল দুর্ব্যবহার শুরু করেছেন রাজ্যপালের সঙ্গে।রাজ্যপালের নিরাপত্তার জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ঘটনায় শাসক শিবিরের বিরোধিতা সেই কারণেই বলে মনে করছে বিরোধী দল। তবে রাজ্যপালের নিরাপত্তার বিষয়টি এখন কোনদিকে গড়ায় সেদিকে নজর রাখছে রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দল উভয়ই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!