এবার রাজভবনের ক্ষমতাও কাড়তে চাইছেন মমতা? রাজ্যপালের নতুন ট্যুইট বোমায় তোলপাড় গোটা রাজ্য! কলকাতা রাজ্য September 26, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজ্যপাল জগদীপ ধনগডের সম্পর্ক খুব একটা সহৃদয়তা পূর্ণ যে নয়, সে কথা আলাদা করে বলে দিতে হবে না। রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে নানা রকম বিবাদে জড়াতে দেখা গেছে তাঁকে। সে প্রশাসনিক ক্ষেত্রে হোক বা কখনো শিক্ষাক্ষেত্রের নিয়মই হোক, তাতে লড়তে দেখা গেছে দুই পক্ষকেই। কিছুদিন আগে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার নিয়ম নিয়ে নবান্নের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন রাজ্যপাল। তবে নবান্নের তরফ থেকেও কখনো তাঁকে সরাসরি জবাব দেওয়া হয়েছে কখনো বা ঘুরিয়ে নাক দেখানো হয়েছে বলেও মত অনেক রাজনীতিবিদের। তবে কেউই এটা অস্বীকার করতে পারেন না যে, কখন যে তাদের সম্পর্কের ভালো সময় যায় আর কখনই বা সম্পর্কের মধ্যে তিক্ততা আসে সে কথা বোঝা দায়। সম্প্রতি বিশ্ব সম্মেলন প্রসঙ্গে সরকারের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্রকে জগদীপ ধনগড় চিঠি লিখেছেন বলে জানা গেছে। আবার সেই চিঠির প্রসঙ্গ মুছতে না মুছতেই টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীকে নতুন করে খোঁচা দিতে ছাড়েননি তিনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান কর্তা থেকে শুরু করে সমস্ত প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে বর্তমান সরকার কুক্ষিগত করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে এক্ষেত্রে কেবলমাত্র রাজ্যকেই যে তিনি দোষারোপ করেছেন সে কথা বলা যাবে না। কারণ টুইটে রাজ্যের সঙ্গে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে তাঁকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই রাজ্যের বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের মুখেও রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন সম্পর্কে কটূক্তি শোনা গিয়েছিল। সেই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো উত্তাল হয়েছিল পরিস্থিতি। তবে সম্প্রতি রাজ্যপালের মুখে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা সেই কথাই মনে করিয়ে দিয়েছে অনেকের। এদিন রাজ্যপাল টুইট করে বলেন রাজ্যের মানবাধিকার বিপন্ন হয়ে গেছে এবং তা হয়েছে পুলিশ কর্মীদের কারসাজিতেই। পুলিশকর্মীরাই রাজ্যের মানবাধিকার হরণ করে নিয়েছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য প্রশাসনের প্রতিষ্ঠানগুলির ক্ষমতা হরণ করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। প্রশাসনিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে কুক্ষিগত করার অপরাধেই টুইট করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে তাঁকে টুইটে স্মরণ করে, রাজ্যপাল এই কঠিন পরিস্থিতিতে তাঁর ভাবনাচিন্তা এবং আদর্শেই বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরামর্শও দিয়েছেন বলে জানা গেছে। আপনার মতামত জানান -