এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যপালকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ মুকুল রায়ের!

রাজ্যপালকে সামনে রেখে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ মুকুল রায়ের!

সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য জুড়ে রাজনৈতিক হানাহানির ঘটনা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। নৃশংসতার বিচারে একে অপরকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, 2019 এর লোকসভা ভোটের পরবর্তী সময় থেকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যে ক্রমাগত বেড়েছে খুনোখুনির রাজনীতি। এই রাজনৈতিক হানাহানি কম তো হচ্ছেই না বরং দিন দিন বেড়েই চলেছে। একের পর এক প্রাণ বলি হচ্ছে এই রাজনৈতিক খুনোখুনিতে। এবার এই হানাহানিকে ঘিরে রাজ্য বিজেপির তরফ থেকে মুকুল রায় শাসকদলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন।

এদিন মুকুল রায় স্পষ্ট ভাষায় জানালেন, এরাজ্যে কোনরকম নিরাপত্তা নেই। গণতন্ত্রকে খুন করা হচ্ছে বলে দাবি তাঁর। তিনি আরও বললেন এই রাজ্যে এই মুহূর্তে একটাই প্রশ্ন উঠছে,আদৌ গণতন্ত্র থাকবে কি থাকবে না। শনিবার রাতে কৃষ্ণনগরের একটি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলনে রাজ্য সরকারকে তীব্র ধিক্কার সহযোগে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্য বিজেপি নেতা মুকুল রায়।

তিনি বললেন, ‘এই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকে আমাদের 89 জন খুন হয়েছেন। আর লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে 35 জন খুন হয়েছেন। বাংলায় একটা বড় প্রশ্ন দাঁড়িয়ে গিয়েছে, এই রাজ্যে লোকতন্ত্র থাকবে কি থাকবে না। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক সময় বলেছিলেন, গণতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য বাংলায় পরিবর্তন দরকার। সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে গণতন্ত্র খুন হচ্ছে। তাই এই রাজ্যের রাজ্যপালের নিরাপত্তার দায়িত্বও কেন্দ্রীয় সরকারকে নিতে হচ্ছে। এই রাজ্যে গণতন্ত্রের বড় বিপদ। কেন্দ্রীয় সরকার মনে করছে, রাজ্যপালের নিরাপত্তার ভার রাজ্য সরকারের হাতে দেওয়া নিরাপদ নয়।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন মুকুল রায় ও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয় করিমপুর থেকে ফেরার পথে কৃষ্ণনগরে একটি হোটেলে রাত্রিযাপন করেন। সেখানেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। সম্প্রতি এই রাজ্যে সিবিআইয়ের কর্মসূচিতে কিছুটা ভাটা পড়েছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। সেই বিষয়ে মুকুল রায় জানিয়েছেন, ‘এটা বিচারাধীন বিষয়। যা কিছু হচ্ছে, আদালতের নির্দেশেই হচ্ছে। সরকারের নির্দেশে নয়।’

সমগ্র ঘটনার বিচারে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, রাজনৈতিক হানাহানি দিনদিন বেড়েই চলেছে। নৃশংসতার সীমা পরিসীমা অতিক্রম করছে সবাই। রাজনীতির আড়ালে সবাই ভুলে যাচ্ছে যেকোন প্রাণ রাজনীতির ঊর্ধ্বে। রাজনীতির বলি হওয়া কোন প্রাণেরই কখনো উচিৎ নয়। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে বিজেপির তরফ থেকে বলা হয়েছে, রাজনৈতিক হানাহানি নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে কিছু বললেই তৃণমূল সেটি ঘুরিয়ে বিজেপির ওপর চাপিয়ে দেয়।

এটা কোনোভাবেই হওয়া উচিত নয় বলে বিরোধী গোষ্ঠী দাবি জানিয়েছে। তবে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার ওপর এই মুহূর্তে কড়া নজর রেখেছে পুলিশ প্রশাসন। অন্যদিকে, সামনের দিনে আগত নির্বাচনকে ঘিরে যাতে পরিস্থিতি উত্তপ্ত না হয় সেদিকে নজর রাখছেন রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!