এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > রাজ্যসভার নির্বাচন ও উপনির্বাচনের তোরজোড় শুরু, নির্বাচনের কমিশনের তরফ থেকে এলো নির্দেশ

রাজ্যসভার নির্বাচন ও উপনির্বাচনের তোরজোড় শুরু, নির্বাচনের কমিশনের তরফ থেকে এলো নির্দেশ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যসভার নির্বাচন এবং বিধানসভার উপনির্বাচন নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে টানাপোড়েন চলছে। এই অবস্থায় নির্বাচন কমিশনে সম্প্রতি দেখা করেছিলেন তৃণমূল নেতারা। সেক্ষেত্রে রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি যে অনেকটাই কম সেকথাও তাঁরা জানান। আর এবার করোনা পরিস্থিতি একটু নিম্নমুখী হতেই রাজ্যসভা এবং বিধানসভা উপনির্বাচনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যসভার দীনেশ ত্রিবেদীর ছেড়ে যাওয়া আসনে আগামী 9 আগস্ট নির্বাচন হতে চলেছে। যদিও তৃণমূলের দাবি ছিল, রাজ্যসভার দুটি আসনে একসাথে যদি নির্বাচন করা যেত তাহলে প্রশাসনিক কাজ করতে সুবিধা হতো।

কিন্তু নির্বাচন কমিশন জানাচ্ছে, নিয়মমতো ছয় মাসের মধ্যে ছেড়ে যাওয়া আসনে উপনির্বাচন সম্পূর্ণ করতে হয়। সে জায়গায় রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে 12 ই ফেব্রুয়ারি দীনেশ ত্রিবেদী ইস্তফা দিয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে আগস্টের মধ্যে নির্বাচন সেরে ফেলতে হবে। অন্যদিকে মানস ভুঁইয়া রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বিধানসভা নির্বাচনে বিধায়ক পদ লাভ করার পর। সেই আসনে নভেম্বর পর্যন্ত ভোট করানোর সময় রয়েছে। পাশাপাশি সাতটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন হওয়া প্রয়োজন। আর তাই নিয়েই এবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ইভিএম যাচাই প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হলো।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ছয় মাসের মধ্যে বিধানসভার উপনির্বাচন সম্পূর্ণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে নভেম্বরে সেই সময়সীমা শেষ হচ্ছে। তাই এবার পাঁচটি আসনে উপনির্বাচন এবং দুটি আসনে স্থগিত হয়ে থাকা ভোট দ্রুত করানোর দাবিতে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়েছিলেন তৃণমূলের এক প্রতিনিধি দল। কথাবার্তার পরে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ওই কেন্দ্রগুলিতে ইভিএম যাচাই করার নির্দেশ গিয়েছে। অর্থাৎ এফএলসি শুরু হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী ছ মাসের মধ্যে সাতটি কেন্দ্রে ভোট করাতে হবে। সে ক্ষেত্রে নভেম্বরের আগেই উপনির্বাচন ভোট পর্ব শুরু হবে বলে মনে হচ্ছে।  যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে কিন্তু ইতিমধ্যেই উপনির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার দাবি তোলা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এখনো যথেষ্ট বিবেচনাধীন। কারণ লোকাল ট্রেন এখনো চলছেনা। এই অবস্থায় রাজ্যে উপনির্বাচন করার কোন প্রশ্নই উঠছেনা। আপাতত তৃণমূল এবং বিজেপির বাক-বিতণ্ডার মধ্যে নতুন করে হাজির হচ্ছে উপনির্বাচনের লড়াই। কার্যত এই লড়াইতে উল্লেখযোগ্যভাবে দেখা যাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রীকে। সে দিক থেকে দেখতে গেলে উপনির্বাচন কিন্তু বিধানসভা নির্বাচনের মতনই যথেষ্ট চাঞ্চল্যকর হতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!