এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে তৃণমূল থেকে কে যাচ্ছেন? জোর চর্চা রাজ্য রাজনীতিতে

রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে তৃণমূল থেকে কে যাচ্ছেন? জোর চর্চা রাজ্য রাজনীতিতে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যসভার সংসদ নির্বাচনের ঘণ্টা কার্যত বেজে গেছে। গত ফেব্রুয়ারীতে দীনেশ ত্রিবেদী সাংসদ পদ ছাড়ার পর এতদিন জায়গাটি ফাঁকা ছিল। কিন্তু এবার নির্বাচন কমিশন আগামী 9 আগস্ট এই আসনে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। আর তাই তৎপরতা শুরু হয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে। রাজ্যসভায় এবার কে যেতে চলেছেন তৃণমূলের পক্ষ থেকে? চর্চায় উঠে এসেছে তিনটি নাম। যার মধ্যে রয়েছেন যশবন্ত সিনহা, কুণাল ঘোষ এবং মুকুল রায়। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, কার্যত এক্ষেত্রে যশবন্ত সিনহার পাল্লা অনেক ভারী। এই মুহূর্তে তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লক্ষ্য, 2024 এর লোকসভা নির্বাচনে মোদী সরকারের অবসান।

জাতীয় রাজনীতিতে এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যতম মুখ হয়ে উঠেছেন মোদি বিরোধিতার ক্ষেত্রে। এবং সে জায়গায় যশবন্ত সিনহা রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে যে অন্যতম জায়গা নেবেন তা বলাই বাহুল্য। প্রসঙ্গত 2024 এ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি কেন্দ্রে বড় ভূমিকা পালন করতে সমর্থ হন কিংবা তৃণমূল সমর্থিত সরকার কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসে, তাহলে অবশ্যম্ভাবী জাতীয় রাজনীতিতে মুখ্য নিয়ন্ত্রক হয়ে উঠবেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। সেসময় দেশের অর্থনীতি সামলানোর জন্য যশবন্ত সিনহার থেকে উপযুক্ত এই মুহূর্তে আর কেউ নেই। আর সে কথা মাথায় রেখেই যশবন্ত সিনহাকে আগেভাগেই রাজ্যসভায় পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে।

এছাড়াও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে যশবন্ত সিনহার অন্যতম পরিচিতি এবং গুরুত্ব রয়েছে। পাশাপাশি মোদি বিরোধীতার ক্ষেত্রেও তিনি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। একটা সময় যশবন্ত সিনহা অটল বিহারি বাজপেয়ির মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছিলেন। কিন্তু মোদি সরকারের চরম বিরোধিতার কারণে দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। তাই সেক্ষেত্রে যশবন্ত সিনহকে রাজ্যসভায় পাঠানো মানে মোদিকে পরোক্ষ বার্তা। যা জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত আরো শক্ত করবে। অন্যদিকে দ্বিতীয় নাম উঠে এসেছে কুণাল ঘোষের। একসময় তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন তিনি। কিন্তু সারদাকাণ্ডে তাঁর নাম জড়ানোর হেতু সাংসদ পদ ছাড়তে হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই মুহূর্তে যদিও তিনি জামিনে মুক্ত। কিন্তু বর্তমানে তিনি তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি এবং দলের অন্যতম শক্তিশালী মুখপাত্র। সেক্ষেত্রে অনেকেই মনে করছেন হয়তো কুণালকে আবারো রাজ্যসভার আসন ফিরিয়ে দিতে চান দলনেত্রী। কিন্তু আবার একথাও সত্যি কু্ণাল ঘোষ শক্তিশালী নেতা রাজ্যের ক্ষেত্রে। জাতীয় রাজনীতিতে কিন্তু যশবন্ত সিনহার মতন শক্তিশালী কুণাল ঘোষ নন। সেক্ষেত্রে জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে কুণাল ঘোষের গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠা যথেষ্ট পরীক্ষার দাবি রাখে। অন্যদিকে তৃতীয় নাম যেটি উঠে এসেছে তিনি হলেন মুকুল রায়। বিজেপির বিধায়ক থাকলেও মুকুল রায় এই মুহূর্তে তৃণমূলে। দীর্ঘদিন তিনি রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডানহাত হিসেবে কাজ করেছেন।

সেক্ষেত্রে মুকুল রায়কে রাজ্যসভায় পাঠিয়ে তাঁকে সক্রিয় করে তোলা যেতে পারে। কিন্তু সেক্ষেত্রেও সেই একই প্রশ্ন উঠে আসছে কুণাল ঘোষের ন্যায়।  সব দিক বিচার করে কিন্তু নাম উঠে আসছে যশবন্ত সিনহার। আপাতত এটুকু বোঝা যাচ্ছে তৃণমূলের যে দাঁড়াবে রাজ্যসভায় তাঁর জয় সুনিশ্চিত।  কারণ 213 টি আসনে তৃণমূলের হাতে বিধায়ক রয়েছে 210 জন। সুতরাং জেতার জন্য 144 টি পছন্দের ভোট পাওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। অন্যদিকে মুকুল রায়কে চাপে ফেলার জন্য বিজেপি প্রার্থী দিচ্ছে। তাই ভোটাভোটির প্রয়োজন হবে। সব মিলিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে এখন ব্যাপক চর্চা চলছে রাজ্যসভার সাংসদ পদের আলোচ্য নাম নিয়ে। শেষ পর্যন্ত কার ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে সেটাই দেখার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!