এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যসভার ভোটে এবার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরকেও যুক্ত করা হয়েছে, পেছনের কারণ কি? জেনে নিন

রাজ্যসভার ভোটে এবার ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরকেও যুক্ত করা হয়েছে, পেছনের কারণ কি? জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বহু টালাবাহানার পর অবশেষে নির্বাচন কমিশনের সবুজ সংকেতের মাধ্যমে আগামী 9 আগস্ট রাজ্যসভার সদস্য পদে ভোট হতে চলেছে। কার্যত এই আসনটি ছেড়ে গিয়েছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী। তাই সে জায়গায় ভোট হওয়া অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছিল। আপাতত রাজ্যসভার নির্বাচন নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে বিধানসভায়। জানা গিয়েছে, রাজ্যসভার ভোটে এবার নোডাল অফিসার হিসেবে থাকবেন রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের সচিব। কারণ করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য এবং ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরকে যুক্ত করা হয়েছে। আগামী 9 আগস্ট পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যসভার ভোট হতে চলেছে।

আর সেকারণেই নির্বাচন কমিশনের অ্যাডিশনাল সিইও সঞ্জয় বসুর নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠক করেন বিধানসভার সচিব সুপ্রতীম ভট্টাচার্যের সঙ্গে। এবং সেখানে যোগ দিয়েছিলেন ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের সচিব রাকেশ পান্ডে। যাকে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে নোডাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারাও এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এদিন রাজ্যসভার ভোট সংক্রান্ত বিধানসভায় কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তা খতিয়ে দেখেন প্রতিনিধিদল। একই সাথে করোনা পরিস্থিতিতে রাজ্যসভার ভোট কিভাবে সম্পন্ন হবে, তা নিয়েও দফায় দফায় আলোচনা হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে কমিশনের প্রতিনিধি সূত্রে জানা যাচ্ছে, বিধানসভার পরিকাঠামো দেখে তাঁরা যথেষ্ট সন্তুষ্ট। করোনা সংক্রমণ রুখেই এই ভোট পরিচালনা করা হবে। এক্ষেত্রে রাজ্যসভার ভোটে পর্যাপ্ত স্যানিটাইজার, গ্লাভস, মাস্ক ইত্যাদির পর্যাপ্ত যোগান রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। আর তাই এবারের নির্বাচনে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তরের আধিকারিককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত 12 ই ফেব্রুয়ারি দীনেশ ত্রিবেদী রাজ্যসভার সদস্য পদ থেকে ইস্তফা দেন। কার্যত তিনি তৃণমূল থেকে চলে যান গেরুয়া শিবিরে। অতএব ওই আসনে ভোট হওয়া অবশ্যম্ভাবী হয়ে পড়েছে। জানা গিয়েছে, এই নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি 22 শে জুলাই জারি হবে এবং 26 তারিখ থেকে শুরু হবে মনোনয়ন জমা দেবার পালা।

তবে যদি একের অধিক কেউ মনোনয়ন জমা না দেন, তাহলে ভোট সেক্ষেত্রে আর হবেনা। যিনি একমাত্র মনোনয়ন জমা দেবেন, তাঁকেই জয়ী হিসাবে ঘোষণা করে রাজ্যসভার সদস্য পদ দেওয়া হবে। আপাতত রাজ্যসভার ভোট পর্ব নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাঞ্চল্য। করোনা পরিস্থিতি  কিভাবে কাটিয়ে উঠে এই ভোট পরিচালিত হয়, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। পাশাপাশি এরপর উপনির্বাচন এবং পৌরসভা ভোট আসছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যসভার ভোট পরিচালনার দিকে নজর রেখেই আগামী দিনে উপ-নির্বাচন ও পুরসভার ভোটের ব্যাপারে সবুজসংকেত দিতে পারে নির্বাচন কমিশন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!