এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্যে বাম তৃণমূল একযোগে রুখে দিল ছাপ্পাভোটের কারিকুরী, অভিযোগ বিজেপির দিকে

রাজ্যে বাম তৃণমূল একযোগে রুখে দিল ছাপ্পাভোটের কারিকুরী, অভিযোগ বিজেপির দিকে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে শেষ হল দিনভর উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে চতুর্থ দফার নির্বাচন। প্রথম থেকেই  নির্বাচন রক্তাক্ত হয়েছে। একদিকে যেখানে ঘটছে শীতলকুচির ঘটনা, তখন অন্যদিকে হুগলি জেলায় ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ উঠেছে দফায় দফায়। এবং সেই অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের দিকেই ছিল বলে জানা গেছে। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম দফা থেকেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে অন্যতম প্রতিপক্ষ বিজেপি। বাংলা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের টানাপোড়েন চলছে তৃণমূলের সাথে। তাই এবারের বিধানসভা নির্বাচন দুই পক্ষের কাছে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।

যেনতেন প্রকারেণ ভোটে জিততে ছাপ্পা ভোট অন্যতম হাতিয়ার এবং সেই হাতিয়ার হুগলি জেলায় বিজেপি প্রয়োগ করছে বলে অভিযোগ উঠেছিল । কিন্তু বিজেপির সেই অস্ত্রকে একযোগে রুখে দিল এদিন তৃণমূল এবং সিপিএম। সূত্রের খবর, চতুর্থ দফায় বাংলার পাঁচটি জেলায় মোট 44 টি কেন্দ্রে নির্বাচন হয়েছে। কড়া নিরাপত্তায় নির্বাচন হলেও ব্যাপক হিংসার ছবি দেখা গেছে এদিনের নির্বাচনে। শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। একাধিক জায়গায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে প্রার্থীদের। তার মধ্যেই ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। হুগলি জেলার চুঁচুড়া সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায় তাঁর ওপর হামলার অভিযোগ করেছিলেন সকালে। কিন্তু কিছু সময় পরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি ভিডিও প্রকাশ করা হয়, যেখানে দেখা গিয়েছে বিজেপি নেত্রীর অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। আর এর পরেই হুগলিতে ছাপ্পা ভোট চলছে বলে অভিযোগ সামনে আসে। জানা যায় হুগলির 4 টি বুথে ক্যামেরা ঘুরিয়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি ভোট দিয়ে চলেছেন। এরপর হুগলির শকুন্তলা কালিতলা প্রাথমিক বিদ্যালইয়ে ছাপ্পা ভোট দানকারী যখন ঢুকতে যায়, তখনই তাঁকে ঘিরে প্রতিবাদ জানান উপস্থিত ভোটাররা। এই ঘটনার বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন সিপিএম প্রার্থী রজত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট কর্মীরা।

অন্যদিকে ছাপ্পা ভোট রুখে দিয়ে তৃণমূল এবং সিপিএম একযোগে পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছে। তাদের অভিযোগ পুলিশ ছাপ্পা ভোটদানকারী ব্যক্তিকে পালিয়ে যাওয়ার রাস্তা করে দিয়েছে। এরপর পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। স্থানীয়রা জানিয়েছে, ওই ব্যক্তি বিজেপির কর্মী। বিজেপিতে ভোট দিতে এসেছিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই হুগলি জেলার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। পাশাপাশি এই ঘটনায় তীব্র অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরের অন্দরেও। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ছাপ্পা ভোট রুখে দিলেন যেভাবে একযোগে তৃণমূল এবং সিপিএম তা যথেষ্ট উল্লেখযোগ্য। আপাতত বাকি চার দফা নির্বাচনে বাংলায় আর কি কি হয় সেটাই দেখার!

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!