এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > রাজ্যে করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও চিন্তা যাচ্ছেনা উত্তরবঙ্গের এই জেলা নিয়ে, উদ্বেগে জেলা স্বাস্থ্য মহল

রাজ্যে করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও চিন্তা যাচ্ছেনা উত্তরবঙ্গের এই জেলা নিয়ে, উদ্বেগে জেলা স্বাস্থ্য মহল


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্টদেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতি এই মুহূর্তে স্বস্তিদায়ক। পাশাপাশি করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলে উঠতে পেরেছে আমাদের রাজ্য বলেও জানা যাচ্ছে। রাজ্যের সংক্রমণও এখন বেশ কিছুটা নিম্নমুখী। কিন্তু সংক্রমণ নিম্নমুখী হলেও অস্বস্তি এখনো কাটছেনা। কারণ উত্তরবঙ্গের মধ্যে জলপাইগুড়ি জেলায় এখনো পর্যন্ত করোনা সংক্রমণের হার দাঁড়িয়ে রয়েছে 13.17%, যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলে মনে করা হচ্ছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যজুড়ে যখন করোনার হার নিম্নমুখী, তখন জলপাইগুড়ি জেলায় এত ব্যাপক হারে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি কি করে হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এবং এই নিয়েই এবার রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাকেশ ভূষণ।

জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ির সংক্রমণের হার দ্রুত নিচে নামিয়ে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবের পক্ষ থেকে। অন্যদিকে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, অন্যান্য জেলা থেকে জলপাইগুড়ির করোনা সংক্রমণের হার অত্যন্ত বেশি। সেখানে এখনো পর্যন্ত ব্যাপকহারে করোনা আক্রান্তের দেখা মিলছে। এ প্রসঙ্গে জনস্বাস্থ দপ্তরের উত্তরবঙ্গের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওএসডি সুশান্ত রায় জানিয়েছেন, করোনা সংক্রমণ রুখতে যে বিধি নিষেধ ঘোষণা করা হচ্ছে, তা কঠোরভাবে মানা উচিত। কিন্তু জলপাইগুড়ি জেলায় এই নিয়মের ব্যতিক্রম ঘটছে। সেক্ষেত্রে জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে বলে তিনি জানান।

অন্যদিকে স্বাস্থ্য দপ্তরের একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, জেলায় সংক্রমণ আটকানোর জন্য কনটেইনমেন্ট জোন তৈরি করলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছেনা। বহু জায়গায় দেখা যাচ্ছে হোম আইসোলেশনে থাকা রুগী বা তাঁর পরিবারের লোকজন রীতিমতো রাস্তায় বেরিয়ে চলাফেরা করছেন। এবং এক্ষেত্রে নজরদারির অভাব রয়েছে বলেই তাঁরা জানান। একই কথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবও জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি আরও জানান, জেলাভিত্তিক নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করে সফলভাবে বাস্তবায়িত করে সংক্রামিতদের চিহ্নিত করে ওয়ার্ড ভিত্তিক নজরদারি চালাতে হবে। সংক্রামিত ব্যক্তি দ্রুত যাতে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারে সেদিকেও নজর রাখতে হবে। পাশাপাশি 24 ঘন্টার জন্য আপৎকালীন কেন্দ্র খুলতে হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তর এক্ষেত্রে শিলিগুড়ির তুলনা টেনেছেন। শিলিগুড়িতে এখন সংক্রমণের হার 10 শতাংশের নিচে। কিন্তু জলপাইগুড়ির এই অবস্থার কারণ একমাত্র নজরদারির অভাব বলেই অভিযোগ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের। এ প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ির জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানিয়েছেন, নজরদারি চালাতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের শুধু জলপাইগুড়ি না, দেশের এমন 83 টি জেলার সন্ধান মিলেছে, যেখানে সংক্রমণের হার 10% এর বেশি।

অবিলম্বে এই সব জেলায় সংক্রমণ না কমাতে পারলে তৃতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় পরিস্থিতি চূড়ান্ত খারাপ হতে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের থেকেও তৃতীয় ঢেউ আরও ভয়াবহ সংক্রামক হতে চলেছে। তবে কড়া স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে মুক্তি মিলবে তৃতীয় ঢেউ থেকেও। তবে প্রতিষেধকের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে সবথেকে বেশি। এই অবস্থায় জলপাইগুড়ি জেলা কিন্তু রাজ্য সরকারের চিন্তা বাড়াচ্ছে। তাই অবিলম্বে এখানকার সংক্রমণ কমানোর জন্য কি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে, সেদিকেই এখন নজর ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!