রাজ্যে ঢুকছে লক্ষ লক্ষ ভ্যাক্সিন! পশ্চিমবঙ্গে অবশেষে শেষ হতে চলেছে টিকার আকাল? কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য May 10, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যে একদিকে যেমন বেড়ে চলেছে করোনার তীব্র সংক্রমণ। অন্যদিকে তেমনি শুরু হয়েছে ভ্যাকসিনের অভাব। ভ্যাকসিন পেতে দীর্ঘ সময় ধরে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন রাজ্যের বহু মানুষ, তবে লাইনে দাঁড়িয়েও শেষ পর্যন্ত মিলছেনা ভ্যাকসিন। ক্ষুব্দ হচ্ছেন বহু মানুষ। এই পরিস্থিতিতে গতকাল এক লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন রাজ্যে এসে পৌঁছেছে। আজ আবার সাড়ে তিন লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন রাজ্যে আসতে চলেছে। করোনার চোখ রাঙানির মধ্যে যা একটি সুখবর বলেই মনে করছেন অনেকে। গতকাল ও আজ দুদিন মিলিয়ে রাজ্যে সাড়ে চার লক্ষ ডোজ ভ্যাকসিন আসতে চলেছে। গতকাল এক লক্ষ ডোজ কোভিশিল্ড রাজ্যে এসে পৌঁছেছে। আজ আসতে চলেছে সাড়ে তিন লক্ষ কোভিশিল্ড। যদিও রাজ্য থেকে ১৪ লক্ষ কোভিশিল্ড অর্ডার দেয়া হয়েছে। সে দিক থেকে দেখতে গেলে, যা আসছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তবুও রাজ্যে যেভাবে ভ্যাকসিনের অভাব চলছে, সে দিক থেকে বিচার করলে সাড়ে ৪ লক্ষ কোভিশিল্ড কম নয়। অভাবের কারণে টিকা নিতে গিয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে বহু মানুষকে। ৪৫ বছরের উর্ধ্বে বহু মানুষের টিকাকরণ যেমন থমকে আছে, তেমনি রয়েছে ১৮ বছরের মানুষের টিকাকরণ। টিকা না পেয়ে অনেক সময়ে একাধিক হাসপাতালে চলছে বিক্ষোভ। এ প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাউথ ইস্ট এশিয়া রিজিয়ন অফিসের কমিউনিকেবল ডিজিজ়েসের প্রাক্তন ডিরেক্টর রাজেশ ভাটিয়া জানিয়েছেন যে, প্রতিদিন সর্বাধিক ২৫ লক্ষ ভ্যাকসিন তৈরি করা যায় দেশে। কিন্তু এর চেয়ে চাহিদা অনেক। উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব না হলে, দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি অন্যান্য সংস্থার ভ্যাকসিন বাজারে না এলে, অথবা বিদেশ থেকে আমদানি না বাড়ালে এই ঘাটতি মেটানো সম্ভব নয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে রাজ্যের করোনা সংক্রমণ ক্রমশ বেড়েই চলেছে। যা দুদিন ধরে প্রায় ২০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেছে। সবচেয়ে দুরবস্থা রয়েছে কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা জেলার। এই দুই জেলায় প্রায় ৪ হাজারের কাছাকাছি মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন প্রতিদিন। দুই জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ফলে এই দুই জেলায় হাসপাতালে বেডের অভাব তীব্র হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় আরও ভ্যাকসিন দেবার দাবি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখন রাজ্যের কাছে যা ভ্যাকসিন আছে, তা দিয়ে দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করা যাবে। কিন্তু ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের টীকাকরণকে রাজ্য গুরুত্ব দিচ্ছে। তাই আরো ভ্যাকসিন চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দেয়া হয়েছে। আপনার মতামত জানান -