এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্যে এবার তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে বড়সড় চিড় ধরার আশংকা

রাজ্যে এবার তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে বড়সড় চিড় ধরার আশংকা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিহার বিধানসভা নির্বাচনের পরেই আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল অল ইন্ডিয়া মজলিস-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন অর্থাৎ এমআইএম ঘোষণা করেছিল বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে তাঁরা অংশগ্রহণ করবেন। আর এবার সে কথাই মাথা রেখেই মিমের প্রধান আসাউদ্দিন ওয়েইসি আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে হাত মেলালেন বলে জানা গিয়েছে। তৃণমূল অবশ্য এমআইএম অর্থাৎ মিমকে বিজেপির বি টিম হিসেবেই গণ্য করে যদিও সে কথা এক বাক্যে উড়িয়ে দিয়েছেন আসাউদ্দিন ওয়েইসি। আর এবার তৃণমূলকে জবাব দিতে বাংলার রাজনৈতিক আসরে নামছে মিম। এ রাজ্যে আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে মিম জোট বাঁধছে বলে জানা গিয়েছে।

সূত্রের খবর, রবিবার হুগলির ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন আসাদউদ্দিন ওয়েইসি নিজে। তাঁদের আলোচনা যে রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে হয়েছে তা প্রকাশ্যে স্বীকার করে নিয়েছেন মিম এর প্রধান। আর আব্বাস সিদ্দিকীর সঙ্গে মিম প্রধানের বৈঠকের পরেই মুখ খুললেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল নেত্রী মুসলিম ভোটের উপর নির্ভর করে বাংলায় সরকার গড়তে চেষ্টা চালাচ্ছেন। কিন্তু মিমের আগমন তৃণমূল সরকারের বিপদ বাড়িয়ে দিয়েছে। তবে পাশাপাশি লকেট চট্টোপাধ্যায় এদিন দাবি করেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে সরকার গড়বে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা ইতিমধ্যেই জানাচ্ছেন, রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোটেও যদি ভাগ বসায় মিম তাহলে কিন্তু আখেরে গেরুয়া শিবিরের সুবিধা হবে। আর সে বার্তাই দিলেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। অন্যদিকে এ রাজ্যে মুসলিম ভোটে ভাগ বসানো নিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন, এ রাজ্যে মিমের কোনো প্রভাব নেই। কিন্তু তাঁরা সংখ্যালঘু ভোট ভাগ করে গেরুয়া শিবিরের সুবিধা করে দিচ্ছে। পাশাপাশি সৌগত রায় বিহারের উদাহরণ তুলে ধরেছেন। অবশ্য মিমের প্রধান পাল্টা তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে জানিয়েছেন, এ রাজ্যে তৃণমূল এবং বিজেপি সমঝোতা করে চলে। কারণ লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্য থেকে 18 জন বিজেপি সাংসদ হয়েছে। মিম কিন্তু তখন ছিলনা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তাপ বাড়ছে। আর সেই উত্তাপের আঁচে গা সেঁকতে চলে এসেছে আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল মইয়েম। খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোট তৃণমূলের অন্যতম ভোটব্যাঙ্ক। আর সেই ভোটব্যাংকে যদি চিড় ধরাতে পারে মিম, তাহলে তৃণমূলের জন্য অত্যন্ত চিন্তার কারণ সেটি। রাজ্যের হিন্দু ভোট ইতিমধ্যেই মেরুকরণের ঝাণ্ডা তুলে গেরুয়া শিবির নিজেদের দিকে টানা শুরু করে দিয়েছে। বোঝাই যাচ্ছে, একুশের বিধানসভার নির্বাচন কিন্তু টানটান উত্তেজনায় মোড়া। আপাতত আগামী দিনে কি হতে চলেছে, সেদিকেই এখন কড়া নজর রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহলের।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!