এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাজ্যে ক্ষমতা বদল হলেই বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে যেতে হবে জেলে? স্পষ্ট করে দিলেন হেভিওয়েট নেতা

রাজ্যে ক্ষমতা বদল হলেই বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীকে যেতে হবে জেলে? স্পষ্ট করে দিলেন হেভিওয়েট নেতা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একেবারে দোরগোড়ায় বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। এই আবহে বিহারের পরস্পর প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলগুলি একে অপরের বিরুদ্ধে তীব্রভাবে সরব। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে একাধিক মতভেদের কারণে এনডিএ জোট ত্যাগ করেছে এলজেপি। এরপর থেকেই যত দিন যাচ্ছে ততই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠেছেন এলজেপি প্রধান চিরাগ পাসোয়ান। গতকাল এক জনসভায় তিনি জানালেন যে, বিহারে তাঁর দল ক্ষমতায় এলে জেলে যেতে হবে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে।

সম্প্রতি বিহারে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে এলজেপি প্রধান চিরাগ পাসোয়ানের দ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছে। মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি একাধিক বিষেদাগার করেছেন তিনি। বেরিয়ে এসেছেন তিনি এনডিএ জোট থেকে। এরপর থেকেই নীতীশ কুমারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য একাধিক পন্থা অবলম্বন করেছেন তিনি। বিহারের যে সমস্ত বিধানসভা আসনে প্রার্থী দিয়েছেন নীতীশ কুমার। সে সমস্ত আসনে তিনি নিজের প্রার্থী দিয়েছেন।

গতকালের এক জনসভায় শুরুতেই তাঁকে বলতে শোনা গেল যে, বিহারে মদ নিষিদ্ধ করার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। চোরাই মদের কারবার চলছে ব্যাপকভাবে। তাঁর অভিযোগ, ঘুষ নিয়ে চোরাই মদের কারবারে মদত দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরই তিনি জানিয়েছেন যে, তাঁর দল ক্ষমতায় এলে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর অফিসারদের স্থান হবে কারাগারে। আবার, গতকাল রবিবার এক বিশেষ টুইট করে বিহারে ‘নীতীশ-মুক্ত সরকার’ গঠনের ডাক দিলেন এলজেপি প্রধান চিরাগ পাসোয়ান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ কাজে তিনি বিজেপি সমর্থকদেরও ভোট চাইলেন। টুইট করে তাঁকে লিখতে দেখা গেল, ” বিহার প্রথম, বিহারবাসী প্রথম’-কে সার্থক করতে আপনাদের কাছ থেকে ভোট প্রার্থনা করছি এলজেপি প্রার্থীদের জন্য। সকলে বিজেপিকে ভোট দিন। আগামী সরকার হবে নীতীশ-মুক্ত সরকার।” আবার গতকাল রবিবার নীতীশ কুমারের প্রধান প্রতিপক্ষ আরজেডির নেতা তেজস্বী যাদবও তীব্রভাবে সরব হলেন নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে। এক জনসভায় আগত দর্শকদের উদ্দেশ্যে তিনি জানালেন যে, এই জনসভার দর্শকদের ভিড়ই প্রমাণ করছে যে, মুখ্যমন্ত্রী ওপর তাঁরা কতটা ক্ষিপ্ত আছেন।

এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর উপরে রাজ্যবাসী যে শুধু রাগ করছেন তাই নয়। তাঁরা ঘৃণাও করছেন করছেন, এমন ‘শক্তিহীন, রক্ষণশীল ও সংকীর্ণমনা’ মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই সঙ্গেই তিনি জানান যে, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে শ্রেণি বিভাজন, জাতপাত ভুলে গিয়ে বেকারত্বের সমস্যাকে মাথায় রেখেই ভোট দেবেন রাজ্যবাসীরা। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার সম্পর্কে তাঁকে বলতে শোনা গেল, ” দেখা যাচ্ছে, উনি শক্তিহীন হয়ে বিরক্তিকর, অর্থহীন ভাষণ দিচ্ছেন ও কাজ করছেন। নীতীশ কুমার ক্লান্ত। বিহারকে সামলানোর ক্ষমতা আর ওঁর নেই। ’’

প্রসঙ্গত বেশকিছু সমীক্ষা সম্প্রতি মনোবল বৃদ্ধি করেছে আরজেডির তথা এনডিএ বিরোধী জোটের। নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে, ততই পায়ের তলার জমি শক্ত হচ্ছে আরজেডির। কিছু কিছু সমীক্ষায় দেখা গেছে যে, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে পছন্দের তালিকায় নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোরতার লড়াই করছেন তেজস্বী যাদব। আবার প্রচারের শেষ পর্বে তেজস্বীর জনসভায় ক্রমশ ভিড় বাড়ছে। আবার নীতীশ কুমারকে দেখা যাচ্ছে যে, একাধিক জনসভায় মেজাজ হারিয়ে ফেলতে।

এই সবকিছু নিয়ে সরগরম বিহারের রাজনীতি। তবে আগামী দিনে বিহারে কি হতে চলেছে? রাজনৈতিক পালাবদল ঘটতে চলেছে কিনা? তার উত্তর পেতে আমাদের আগামী ১০ ই নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই হবে। কারণ জনতাই জনার্দন। শেষ কথা বলবেন তাঁরাই তাঁদের ভোটের মাধ্যমে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!