রাজ্যে কি এবার তাহলে রাষ্ট্রপতি শাসন? দিল্লিতে গিয়ে কোন হিসাব নিকাশ করছেন শুভেন্দু অধিকারী? জাতীয় বিজেপি রাজনীতি রাজ্য June 10, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের রাজনৈতিক হিংসার অভিযোগ তুলে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে 356 ধারা জারির দাবি করা হচ্ছে রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর থেকেই। ইদানিংকালে সেই দাবি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পৌঁছে গিয়েছেন দিল্লিতে। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গিয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী দিল্লি থেকে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন 356 ধারা জারির এবং রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছে, সময় যত যাচ্ছে ততই এরাজ্যে 356 ধারা জারি করার দাবি মজবুত করছে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী আজকে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে 40 মিনিটের বৈঠক করেছেন। একইসাথে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দ্বিতীয়বার বৈঠকে বসতে চলেছেন । তবে শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু এখনও স্পষ্ট করেননি কি ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে বা হতে চলেছে দিল্লিতে। তবে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলায় কিভাবে 356 ধারা জারি করা যায় তাই নিয়েই বড়োসড়ো আলোচনা চলছে দিল্লিতে। গত সোমবার দিল্লী পৌঁছেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে কথা বলেন। সেই বৈঠক থেকে বেরিয়েই রাজ্যের শাসন ব্যবস্থার অবনতি নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু। পাশাপাশি 356 ধারা জারি করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে রাজ্যে বলেও তিনি জানান। কিন্তু এ রাজ্যে পরিস্থিতি কিন্তু যথেষ্টই শান্ত বলে দাবি করছেন তৃণমূলের অনেকেই। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি করে চলেছে বিজেপি বলে অভিমত অনেকেরই। একইসাথে রাজনীতির কারবারিরাও মনে করছেন, রাজ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে যখন সাধারণ মানুষের পাশে থাকা দরকার, সে সময় বিরোধী নেতা হিসাবে শুভেন্দু অধিকারী দিল্লিতে রয়েছেন। বরং এখানে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে চলেছেন যা বিজেপির থেকে তৃণমূলকে কিন্তু রাজনৈতিক ভাবে এগিয়ে দিচ্ছে বলেই মনে করা হচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে আগামী বছর উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন এবং তারপরে 2024 এর লোকসভা নির্বাচন। এই দুটি নির্বাচনই এই মুহূর্তে তৃণমূলের কাছে বড় লক্ষ্য বলে মনে করা হচ্ছে। আর এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে আটকানোর জন্য গেরুয়া শিবিরের এই মুহূর্তে একটিই অস্ত্র রাজ্যে 356 ধারা জারি। প্রথম থেকেই বিজেপি চাইছিল এরাজ্যে তাঁদের শাসন ব্যবস্থা কায়েম করতে। কিন্তু জনাদেশ তাঁদের বিপক্ষে গেছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ আশঙ্কা প্রকাশ করছেন বিজেপি যেভাবে রাজ্যের পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার কথা ভাবছে, তা গেরুয়া শিবিরের কাছে না বুমেরাং হয়ে দাঁড়ায় ভবিষ্যতে। সেক্ষেত্রে রাজনৈতিক সমালোচকদের অনেকেই দাবি করছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সর্বভারতীয় মুখ হয়ে ওঠা থেকে আটকাতে গিয়ে বরং তাঁকে অনেক বেশি পরিমাণে জায়গা ছেড়ে দেওয়া হবে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে। আপাতত পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল। আপনার মতামত জানান -