এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যে ট্রেন চালানো নিয়ে এবার কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবী বিজেপি সাংসদের, বিতর্ক তুঙ্গে

রাজ্যে ট্রেন চালানো নিয়ে এবার কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবী বিজেপি সাংসদের, বিতর্ক তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে যখন রাজ্য জুড়ে লকডাউন চলছে, তখন কার্যত রাজ্য সরকারের প্রতি তীব্র কটাক্ষ প্রকাশ করছে বিজেপি নেতা নেত্রীরা। প্রসঙ্গত, করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে একসময় বেসামাল হয়ে পড়ে রাজ্য। প্রথম ঢেউয়ের থেকেও দ্বিতীয় ঢেউ ভয়াবহ আকারে দেখা দেয়। নির্বাচনের ফলাফল বেরোনোর পর মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে দেন লকডাউনের যা এতদিন পর্যন্ত ধাপে ধাপে শিথিল করা হয়েছে। আজ থেকে 50% কর্মী নিয়ে অফিস খোলার কথা বলা হয়েছে। এমনকি বাস চালানোর কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু অফিসযাত্রীরা রাস্তায় বেরোলেও পর্যাপ্ত পরিমাণে পরিবহণের দেখা মেলেনি। তাই এবার ট্রেন চালনোর ব্যাপারে কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবী বিজেপি সাংসদের।

আর তাই নিয়েই গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ রাজ্য সরকারের প্রতি। প্রসঙ্গত, যাবতীয় পরিবহণের প্রতি সবুজ সঙ্কেত দিলেও ট্রেন চালানো নিয়ে এখনো পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোন ইঙ্গিত দেননি। তাই এবার সরাসরি রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে টুইট করে বিকেপি সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত অনুরোধ করলেন, রাজ্যে ট্রেন চালানোর ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করতে। উল্লেখ্য, 2020 সালে যখন লকডাউন হয়েছিল তখনও লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে তখনও লোকাল ট্রেন চালানো নিয়ে বিজেপির সাথে চাপানউতোর তৈরী হয়েছিল রাজ্য সরকারের। এ প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ রাজ্যের লকডাউনকে খামখেয়ালি বলে কটাক্ষ করেছেন। যখন সবকিছু চালু হয়ে গেছে, তখন ট্রেন চলবে না কেন বলে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি তাঁর দাবি, অল্পসংখ্যক গণপরিবহণ চলার ফলে রাস্তায় ভিড় বাড়ছে। এর ফলে করোনা ছড়াতে পারে। তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করতে হবে। আর এই নিয়েই তিনি রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলকে উদ্যোগী হওয়ার কথা জানিয়েছেন। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, বিজেপি সাংসদ রেলমন্ত্রীকে টুইট করলেও তা নিয়ে বিশেষ কিছু কাজ হবেনা বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, রাজ্যে ট্রেন চলবে কি চলবেনা, তার সম্পূর্ণ সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তাই যদি পীযূষ গোয়েল নির্দেশও দেন করোনাকালে রেল চালানোর, সেক্ষেত্রে এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি বিনা ট্রেন চলা সম্ভব নয়।

সেক্ষেত্রে তৃণমূলের অভিযোগ, শুধুমাত্র রাজনীতি করার জন্যই লকডাউনকে কটাক্ষ করে এরকম আবেদন করেছেন বিজেপি সাংসদ। অন্যদিকে আজকের নিত্যযাত্রীরা রাস্তায় বেরিয়ে বড়োসড়ো অসুবিধার মুখে পড়েছেন। পর্যাপ্ত বাস না মেলায় কার্যত বেশি টাকা দিয়ে অ্যাপ ক্যাব বুক করে অফিস যেতে হয়েছে। আর সেই জায়গা থেকেই অনেকের দাবি, যদি ট্রেন চালিয়ে দেওয়া হয় তাহলে অন্তত অতিরিক্ত টাকা ব্যয়ের হাত থেকে নিস্তার মিলবে। আপাতত লোকাল ট্রেনের চাকা কবে গড়ায়, সেদিকেই এখন নজর ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!