এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > রাজ্যে তৃণমূল-কংগ্রেসের বিরোধীতা সত্ত্বেও মমতাকে সমর্থনের ইঙ্গিত স্পষ্ট হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে

রাজ্যে তৃণমূল-কংগ্রেসের বিরোধীতা সত্ত্বেও মমতাকে সমর্থনের ইঙ্গিত স্পষ্ট হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতার মন্তব্যে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বরাবরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনের আগেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সারা দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী শক্তিকে একজোট হওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। যদিও বিরোধীরা একজোট হয়েও গেরুয়া শিবিরকে আটকাতে পারেনি। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে হাল ছাড়েননি, সেকথা আবারও স্পষ্ট হয়েছে। 

2021 এর বিধানসভা নির্বাচনী আবহের মধ্যেই তৃণমূল নেত্রী দেশজুড়ে বিভিন্ন অবিজেপি নেতা-নেত্রীদের কাছে চিঠি পাঠালেন গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে একজোট হওয়ার জন্য। মমতার উত্তরে এবার জাতীয় কংগ্রেস নেতার জবাব ব্যাপক জল্পনা তৈরী করল এই রাজ্যে। দেশের মোট 15 টি বিরোধীদলকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি লিখেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। 

এবারের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইতিমধ্যেই সমর্থন জানিয়েছে বিভিন্ন অবিজেপি দলগুলি। যেমন- শিবসেনা, এনসিপি, সমাজবাদী পার্টি, ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা ইত্যাদি। প্রত্যেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে এবং এরাজ্যে তাঁরা প্রার্থী দেয়নি। পাশাপাশি অনেকেই তৃণমূল নেত্রীর হয়েও প্রচার চালিয়েছেন। 

কয়েকদিন আগেই শোনা গিয়েছিল এনসিপি’র প্রধান শরদ পাওয়ারের এরাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে প্রচারে আসার কথা।  সেসময় এরাজ্যের কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্য শরদ পাওয়ারকে অনুরোধ করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন না জানানোর জন্য।কিন্তু সে কথা পুরোপুরি এড়িয়ে যাওয়া হয়। তবে শোনা যাচ্ছে, শরদ পাওয়ার অসুস্থ থাকার কারণে তিনি পয়লা এপ্রিল রাজ্যে আসতে পারেননি। কিন্তু বিজেপি বিরোধিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ডাক দিয়েছেন তাকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন শরদ পাওয়ার।

 একই সাথে শিবসেনার পক্ষ থেকেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিয়ে তাঁকে সমর্থন জানানো হয়েছে। সরাসরি শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন, তাঁরা গোটা বিষয়টি ভেবে দেখছেন। তবে বিষয়টি সমস্ত বিরোধীদলের ভাবা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে সবথেকে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ এক্ষেত্রে কংগ্রেসের। মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকেও চিঠি পাঠিয়ে বিজেপি বিরোধিতার কথা জানিয়েছিলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু সেক্ষেত্রে উল্লেখ্য, এরাজ্যে কিন্তু তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীত মেরুতে রয়েছে কংগ্রেস। ভোটের মুখে বিজেপিকে রুখতে এ রাজ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলানোর ইঙ্গিত দিয়েছিল আগেই তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অধীর চৌধুরী পুরোপুরি বিরোধিতা করেন এবং বুঝিয়ে দেন এ রাজ্যে তৃণমূলের বিরোধীতাই তাঁদের একমাত্র লক্ষ্য। কিন্তু দেখা গেছে, পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস তৃণমূলের বিরোধীতা করলেও জাতীয় রাজনীতিতে কিন্তু কংগ্রেস তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন জানিয়েছে বহুবার। 

আর সে কথা আবারও প্রমাণিত হলো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চিঠি প্রসঙ্গে কংগ্রেসের তরফে রাজীব শুক্লা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন, বিজেপি বিরোধিতার ক্ষেত্রে কংগ্রেস চিরকালই এককাট্টা হওয়ার পক্ষে।সেক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে কংগ্রেসের দৃষ্টিভঙ্গি অবশ্যই মেলে। রাজ্যে যেখানে ভোটের উত্তেজনা তুঙ্গে, তৃণমূলকে হটাতে একদিকে যেমন বিজেপি রয়েছে, তেমনি অন্যদিকে বাম-কংগ্রেসের জোট রয়েছে।

 সেখানে জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে রাজীব শুক্লা যে মন্তব্য করেছেন, তা কিন্তু যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। রাজ্যে এখনও ছয় দফা ভোট বাকি। তার আগেই জাতীয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তৃণমূল নেত্রীকে আশ্বস্ত করল কংগ্রেসের বার্তা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে কংগ্রেসের জাতীয় নেতার মন্তব্য এরাজ্যের ভোটে কোন প্রভাব বিস্তার করে কিনা, আপাতত সেটাই দেখার।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!