রাজ্যের ২৭ টি সেতু অত্যন্ত বিপজ্জনক? যে কোন মুহূর্তে ঘটতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা? জানুন বিস্তারে রাজ্য September 4, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত ২০১৮ সালের ৪ ঠা সেপ্টেম্বর অকস্মাৎ ভেঙে পড়ে কলকাতার মাঝেরহাট সেতুটি। এর পূর্বে রাজ্যের আরও কিছু সেতু ভেঙে পড়েছিল। মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পর থেকেই রাজ্যের বিভিন্ন সেতু, উড়ালপুলের স্বাস্থ্য পরীক্ষার পরিকল্পনা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের সমস্ত সেতুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ৪ টি সমীক্ষক সংস্থার উপরে দায়িত্ব আরোপ করে রাজ্য সরকার। সেই অনুযায়ী রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সেতুর ওপর সমীক্ষা চালায় এই সমীক্ষক দল। প্রসঙ্গত রাজধানী কলকাতার অধিকাংশ সেতুই কেএমডিএ এর অধীনস্ত। সম্প্রতি কলকাতার ১৬ টি গুরুত্বপূর্ণ সেতুর উপরে সমীক্ষা সমাপ্ত করে রাজ্যকে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে কলকাতার বাদ দিয়ে রাজ্যের বেশিরভাগ জায়গার সেতু রাজ্যের পূর্ত দপ্তরের অধীনস্থ, আর রাজ্যের কিছু সেতু রাজ্যের মৎস্য দপ্তরের অধীনস্ত। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে স্থানে পূর্ত দপ্তরের অধীনস্থ ৩৭২টি সেতুর উপরে সম্প্রতি সমীক্ষা চালিয়ে দেখা যাচ্ছে রাজ্যের মোট ২২৩ সেতুর সম্প্রতি মেরামতের প্রয়োজন রয়েছে। আবার রাজ্যের ২৭ টি সেতুর অবস্থা অত্যন্ত বিপদজনক। যখন তখন ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা আছে। তাই এই সেতুগুলো ভেঙে দিয়ে আবার সেগুলি নতুন করে নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, সেতু বিশেষজ্ঞ ভি কে রায়নার পরামর্শে কলকাতার টালা ব্রিজ ভেঙে দিয়ে আবার নতুন করে নির্মাণ করা হচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - তবে রাজ্যের ২৭ টি সেতু ভেঙে আবার পুনর্নির্মাণ করা সম্প্রতি রাজ্য সরকারের পক্ষে যথেষ্ট কঠিন। কারণ, একটি সেতু ভেঙে আবার নতুন করে নির্মাণ করতে কম করেও ২০০ কোটি টাকা খরচ আছে। কিন্তু করোনা সংকটের কারণে সাম্রতি কোন প্রকল্পের ১০ কোটি টাকার বেশি কোন অনুমোদন দিচ্ছে না রাজ্যের অর্থ দফতর। এর ফলে এই মুহূর্তে ব্রিজগুলি ভেঙ্গে দিয়ে আবার সেগুলি নতুন করে নির্মাণ করা একেবারেই অসম্ভব। এ কারণে রাজ্য সরকার কোনো বিকল্প উপায়ের সন্ধান করছে। সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের কারণে রাজ্যের অর্থনীতি যথেষ্ট বিপর্যস্ত। সেই সঙ্গে কেন্দ্রের কাছ থেকে ঠিকমতো অর্থ আসছে না। ফলে নতুন করে সেতু নির্মাণ না করে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী পুরোনো সেতুগুলিকে আপাতত কাজ চালানোর মত নিরাপদ করে তোলার পরিকল্পনা নিচ্ছে পূর্ত দপ্তর। গত সোমবার থেকে সমস্ত সেতু উপরে পর্যবেক্ষণের কাজ শুরু করেছেন রাজ্যের পূর্ত সচিব নবীন প্রকাশ। সমস্ত দপ্তরের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন তিনি। অন্যদিকে গতকাল ৬৪ টি পৌরসভার সঙ্গে বৈঠকে সম্ভাবনা ছিল ছিল পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের। যিনি রাস্তা ও সেতুর পাশ থেকে সমস্ত ইমারতের সামগ্রী সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায় এর মৃত্যুতে শোক জ্ঞাপন এর কারণে কালকের এই বৈঠক বাতিল করে দেয়া হয়। রাজ্যের পূর্ত দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, উত্তরবঙ্গের বেশ কিছু স্থানে রয়েছে এরকম ২৭ টি বিপদজনক সেতু। পূর্ত দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, এই সেতুগুলি অনেক পুরনো হয়ে গেছে। কোন কোন সেতুর বয়স ৫০ বা ৭০ বছরেরও বেশি হয়ে গেছে। এগুলি রয়েছে বিভিন্ন নদীর উপর। এগুলির পুনরায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হবে। এই সেতুগুলির উপরে দিকে যানবাহন চলাচল হ্রাস করতে কোন বিকল্প পথের সন্ধান করছে রাজ্য। আপনার মতামত জানান -