এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য বড়সড় সুখবর, সৌজন্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জেনে নিন

রাজ্যের বেকার যুবক-যুবতীদের জন্য বড়সড় সুখবর, সৌজন্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, জেনে নিন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একটা সময় রাজ্যের স্কুল পড়ুয়াদের বিদ্যালয়ে আসার জন্য যাতে অসুবিধা না করতে হয় সেই প্রচেষ্টায় স্কুলের ছেলেমেয়েদের সবুজ সাথী প্রকল্পের আওতায় সাইকেল দান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বর্তমানে বিভিন্ন সরকারি স্কুলের ছেলে এই প্রকল্পের আওতায় সাইকেল পায় সরকারের কাছ থেকে।

তবে এবার সেই সঙ্গে রাজ্যের বেকার যুবক যুবতীদের জন্য নতুন ব্যবস্থা নিতে চলেছেন রাজ্য সরকার। বলতে গেলে বর্তমানে রাজ্য তথা সমগ্র দেশের কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে নানা সমস্যা রয়েছে। আর টা নিয়ে রাজ্যের তরফে একসময় সরকারকে বিরোধীদের কটাক্ষ করতে আবার অন্যদিকে বিরোধীদের সরকারকে কটাক্ষ করতে লক্ষ্য করা গেছে।

তবে বিশেষজ্ঞদের মতে এতে আদপে কিন্তু সমস্যার কোনো সমাধান হয়নি। কর্মসংস্থান হয়নি লক্ষ-লক্ষ রাজ্যের বেকার শিক্ষিত যুবক যুবতীদের। আর এবার তাদের বেকারত্ব সমস্যা দূর করতেi মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শর্ত ঋণের ব্যবস্থা করেছেন বলে জানা গেছে। যেখানে অল্প সুদের ঋণের সাহায্যে সরকার বাইক কেনার সুযোগ আনতে চলেছেন বলে জানা গেছে।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেকারত্ব দূর করা নিয়ে রাজ্যের মানুষের কাছে বলেন, শর্তসাপেক্ষ ঋণে বেকার যুবক যুবতীরা বাইক কিনতে পারবে। এক্ষেত্রে কো-অপারেটিভ ব্যাংক থেকে বাইক কেনার জন্য সহজ শর্তে ঋণ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এরফলে হিসাব অনুযায়ী, যদি দু’লক্ষ যুবক-যুবতীকে বাইক দেওয়া হয়, তবে সে ক্ষেত্রে এক একটা পরিবারে যদি ৫ জন করে থাকে, তবে মোট ১০ লক্ষ মানুষ এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেই সঙ্গে তিনি জানান, প্রতিটি বাইকের পেছনে একটি বিশেষ বাক্স থাকবে। তবে এই বাক্স থাকার তাৎপর্য কোথায়? এই প্রশ্নের উত্তর জানা গেছে, বর্তমানে বিভিন্ন মানুষ বাড়ি থেকে নানারকম ব্যবসা সংক্রান্ত কাজ করে উপার্জনের দিকে নজর দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে গৃহস্থালির জিনিসপত্র, শাড়ি, মাছ, ফুল, ধুপ, এমনকি শাক সবজির মতো নানান সামগ্রি মানুষ ব্যবসা করে থাকেন।

এক্ষেত্রে এই বাক্স লাগানো বাইকের ক্ষেত্রে মানুষ সেই বাক্স করে বিক্রি সামগ্রী নিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি বিক্রি করতে পারবেন বলেই মনে করেছেন তিনি। তা না হলে অন্তত বাড়ির ক্ষেত্রেও জিনিস নিয়ে আসে যেতে কাজে লাগবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে বিভিন্ন ডেলিভারি অ্যাপের যে ডেলিভারি বয়ের কাজ হয়, সেক্ষেত্রেও অনেক মানুষই লাভবান হবে বলেও মনে করছেন তিনি। বস্তুত বিভিন্ন সংস্থা অনলাইনে নিজেদের জিনিসপত্র বিক্রি করে। আর বিশেষত এই করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের এই অনলাইনে জিনিস কেনার চাহিদা অনেক বেশি বেড়ে গেছে বলে দেখা যায়।

আর সেক্ষেত্রে তাই স্বাভাবিক ভাবেই সেই সমস্ত সংস্থার কাছে ডেলিভারি করার মত মানুষের প্রয়োজন পড়বে বলেই ধরে নেওয়া যেতে পারে। আর এমন পরিস্থিতিতে কোনো যুবক যুবতীর কাছে যদি এমন একটি বাইক থাকে, তাহলে ডেলিভারির কাজ করেও সেই ব্যক্তি সংসার চালাতে পারবে বলেও মনে করেছেন তিনি।

তাঁর কথায় টাকার অভাবে অনেকেই বাইক কিনতে পারছেন না। ফলে এই স্বল্পসুদে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ পেলে অনেকেই লাভবান হবেন বলে মনে করেছেন তিনি। তাঁর কথায় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের কাছে আবেদন করে কোন লাভ নেই। তাই নিজেদের সমবায় ব্যাংক থেকে এই বাইক কেনার ঋণের ব্যবস্থা করতে চান তিনি। আর তাঁর এই কাজে ভবিষ্যতে অনেক বেকার যুবক-যুবতী সত্যিই লাভবান হবে বলে মনে করেছেন অনেক মানুষ।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!