এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাজ্যের ভাঁড়ার প্রায় শূন্য, এবার ঋণের তদ্বির রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর কেন্দ্রের কাছে

রাজ্যের ভাঁড়ার প্রায় শূন্য, এবার ঋণের তদ্বির রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর কেন্দ্রের কাছে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আম্ফান এর সময়কাল থেকেই রাজ্য থেকে ক্রমাগত অভিযোগ করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফ থেকে সেভাবে কোনো আর্থিক সাহায্য আসেনি। এমনকি রাজ্যের বকেয়া জিএসটি পর্যন্ত দেয়নি কেন্দ্র। সূত্রের খবর, এই নিয়ে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র একাধিক চিঠি লিখেছিলেন কেন্দ্রকে। কোন উত্তর না পেয়ে এবার তিনি সরাসরি কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি লিখলেন এবং সেই চিঠিতে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানালেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের তাণ্ডবে বহু জেলা প্রায় নষ্ট হয়ে গিয়েছে। সেগুলিকে সাজাতে যথেষ্ট অর্থের প্রয়োজন। একই সাথে অমিত মিত্র জানতে চেয়েছেন, স্যানিটাইজারের ওপর 18% জিএসটি বসানোর কারণ।

এ প্রসঙ্গে অমিত মিত্র ঐ চিঠিতে জানিয়েছেন, বর্তমানে স্যানিটাইজার অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। সেক্ষেত্রে এর ওপর জিএসটি কমানোর জন্য  কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে চিঠি লিখে আবেদন জানিয়েছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বলে জানা গেছে। একইসাথে একাধিক ইস্যুতে রাজ্যের বকেয়া টাকা না পাওয়ার কারণ তিনি জানতে চেয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে। প্রসঙ্গত, 2020 সালের এপ্রিল থেকে 2021 এর জানুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্যের জিএসটি বাবদ 63 হাজার কোটি টাকা কেন্দ্র বকেয়া রেখেছে। শুধু পশ্চিমবঙ্গই 4911 কোটি টাকা এই মুহূর্তে জিএসটি বাবদ কেন্দ্রের কাছ থেকে পায় বলে জানা গিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র যত দ্রুত সম্ভব সেই টাকা মিটিয়ে দেওয়ার আবেদন রেখেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর কাছে। পাশাপাশি ডক্টর অমিত মিত্র প্রস্তাব দিয়েছেন, চিকিৎসাসামগ্রী, ওষুধ, করোনা মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির উপর জিএসটি যেন মকুব করা হয়। একইসঙ্গে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী জানান, তিনি আগেও এই নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছিলেন কেন্দ্রকে। কিন্তু কেন্দ্রের তরফ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। অন্যদিকে জানা গিয়েছে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী জিডিপির 5 শতাংশ ঋণ হিসেবে চেয়েছেন। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানিয়েছেন, যশ মোকাবিলায় ত্রাণকাজে এবং পুনরায় জেলাগুলিকে প্রতিস্থাপন করতে অনেক অর্থের প্রয়োজন।

পাশাপাশি রাজ্যকে বর্তমানে টিকা কিনতে হচ্ছে। ফলে বাড়তি খরচ এক্ষেত্রে কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের বাজেটেও ঘাটতি হচ্ছে বলে জানান রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। আপাতত কেন্দ্রের কাছে পরিস্থিতি সামলাতে তিনি ঋণ চাইছেন বলে জানান অমিত মিত্র। প্রসঙ্গত, যশ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ রাজ্যের জন্য ইতিমধ্যেই আড়াইশো কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। কিন্তু রাজ্যের দাবি, সেই টাকাতে বিশেষ কিছুই হচ্ছেনা। আর তাই এই চিঠির অবতারণা। আপাতত রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর এই চিঠির উত্তরে কেন্দ্রীয় সরকার বা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সেটাও দেখার।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!