প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের অভূতপূর্ব ফল লাভের পর থেকেই রাজ্যের নানা স্থানে অশান্তি, সংঘর্ষ, ভাঙচুর, বোমাবাজি ও হত্যাকাণ্ড শুরু হয়েছে। অধিকাংশ সময়ে আক্রান্ত হচ্ছেন বিরোধীরা, তবে কিছু ক্ষেত্রে বিপরীত ঘটনার চিত্রও সামনে আসতে শুরু করেছে। রাজ্যের এই পরিস্থিতির জন্য শাসকদল তৃণমূলকে অভিযুক্ত করে তীব্র হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। সাংসদ জানালেন, অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে, রাজ্যের চারদিকে দাঙ্গা বেঁধে যেতে পারে।

বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর রাজ্যের এই পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ও রাজ্যের প্রশাসনকে সম্পূর্ণভাবে দায়ী করেন। সেই সঙ্গে বিজেপির কর্মী, সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ ভাবে এর বিরুদ্ধে পথে নামার আহ্বান জানান। শান্তনু ঠাকুর জানালেন, বনগাঁয় বিজেপি জয়লাভ করেছে। কিন্তু এরপরেও বিজেপি কর্মী, সমর্থকদের উপরে অত্যাচার চালাচ্ছে এক সম্প্রদায়ের মানুষ।

শান্তনু ঠাকুর অভিযোগ করেছেন, বেছে বেছে হিন্দুদের বাড়িতে চলছে লুটপাট, অত্যাচার করা হচ্ছে। অবিলম্বে যদি এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, তবে রাজ্যের চারদিকে দাঙ্গা বেঁধে যেতে পারে। এদিকে আজ নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতির বিরুদ্ধে ধর্নায় বসতে চলেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। শান্তনু ঠাকুর বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে আজ দেশজুড়ে ধরনায় বসার আর্জি জানান।

রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে আক্রান্ত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। তিনি জানালেন, এবার তিনি রাস্তায় নেমেছেন। কোথায় কোথায় ভাঙচুর হয়েছে, তা তিনি নিজেই দেখবেন। বিজেপির এক কর্মী তাঁকে জানান যে, তাঁরা এলাকায় কিছুতেই ঢুকতে পারছেন না। এর জবাবে সাংসদ জানিয়েছেন, তৃণমূল শুরু করেছে এবার তাঁরা শেষ করবেন। এদিকে আজ বিকেলে বিজেপির বিধায়ক, সাংসদদের নিয়ে এক বিশেষ বৈঠক ডেকেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডা।

এদিকে রাজ্যজুড়ে অশান্তির পরিবেশ এখনও চলছে। কোথাও বিজেপি, কোথাও বা তৃণমূল কর্মীরা আক্রান্ত হতে শুরু করেছেন। এই পরিস্থিতিতে খেজুরিতে বিজেপির জনৈক মহিলা কর্মীকে গণধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ উঠেছে, বিজেপির এক মহিলা কর্মীকে গণধর্ষণ করার পর তাঁকে বিষ খাইয়ে হত্যার চেষ্টা করেছিল তৃণমূলের বেশ কিছু দুষ্কৃতী। এই ঘটনার প্রতিবাদে মহিলারা পথ অবরোধে নামেন। তবে, অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল।