এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > মমতা-ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট মন্ত্রীকে ঘিরে তুমুল ক্ষোভ দলীয় প্রভাবশালীদের! চরম অস্বস্তি তৃণমূলে?

মমতা-ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট মন্ত্রীকে ঘিরে তুমুল ক্ষোভ দলীয় প্রভাবশালীদের! চরম অস্বস্তি তৃণমূলে?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল তৃণমূলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সম্ভাবনা বাড়ছে। বিধানসভা ভোটের আগে শাসকদলকে যে এহেন পরিস্থিতিতে পড়তে হতে পারে সে কথা আগেই বলা হয়েছিল। তবে সম্প্রতি বিধানসভা ভোটের আগে গৌতম দেবকে নিয়ে শাসক দলের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে শুরু করেছে। যা কিনা আবারও বর্তমান শাসক দল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দকেই ঈশারা করছে বলে মনে করা হচ্ছে।

বস্তুত উত্তরবঙ্গের তৃণমূলের কোর কমিটির চেয়ারম্যান এই গৌতম দেবকে নিজের দলের কর্মীদের ঘেরাও করতে দেখা গেছে। যা নিয়ে শাসক দলের অন্দরে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গৌতম দেবের সম্পর্কে দলীয় কর্মীদের যে ক্ষোভ রয়েছে সেটা বোধহয় আগেই আঁচ করতে পেরেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই মতো আগেই লোকসভা ভোটের পরই তাঁকে একাধিক দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।

তবে তাতেও যে বিশেষ কিছু লাভ হয়নি সেটাই জানা গেছে। তাঁকে কেন্দ্র করে আবারো শাসকদলের অন্তর্দ্বন্দ্বে প্রকট রূপ দেখা দিয়েছে। ফলে অস্বস্তি বেড়েছে শাসকদলের। গতকাল দলের কর্মীদের হাতে ঘেরাও হতে দেখা গিয়েছিল গৌতম দেবকে। বস্তুত, জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জ ব্লকের কমিটি গঠনের বৈঠক করছিলেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর সেখান থেকে বেরোতেই প্রকাশ্যে আসে এই ক্ষোভ। তবে তাঁকে গতকাল কারা ঘেরাও করেছিল সেই খবরে জানা গেছে, গৌতম দেবকে ঘেরাও করার মূলে ছিলেন জলপাইগুড়ি জেলার সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী এবং জেলা চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায়-এর অনুগামীরা। বৈঠক সেরে বেরিয়ে আসতেই গৌতম দেবকে ঘেরাও করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

যদিও সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের এসসি এসটি জলপাইগুড়ি জেলা চেয়ারম্যান কৃষ্ণ দাসও। বর্তমানে সেখানে পুলিশ প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে রাজনীতিবিদদের মতে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের পর থেকেই উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় শাসক দলের নেতাদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়তে শুরু করেছিল।

যাদের মধ্যে, আলিপুরদুয়ার কোচবিহার জেলার নেতাদের মধ্যে অশান্তি প্রকাশ পায়। যেখানে বিধানসভা ভোটের আর বেশি দেরি নেই, সেখানে এমন পরিস্থিতিতে দলের ভাবধারায় ভবিষ্যতে তার প্রভাব পড়বে কিনা, সেই চিন্তায় রয়েছেন অনেকে।

অন্যদিকে বিজেপি বিধানসভা ভোটে কুরসি দখলে কোমর বেঁধেছে। আর সেই মতো অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকে উত্তরবঙ্গের সংগঠন আরো শক্তিশালী করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য বিজেপির নেতা কর্মীদের। তবে বর্তমান শাসক দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব যে সেই কাজে অনেকটাই সুবিধা করে দিচ্ছে, সেটা বলাই বাহুল্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!