এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাজ্যের কি ক্রমশ আশঙ্কা বাড়ছে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে? কোন পথে আসবে সমাধান, চিন্তাভাবনা প্রশাসনিক মহলে

রাজ্যের কি ক্রমশ আশঙ্কা বাড়ছে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে? কোন পথে আসবে সমাধান, চিন্তাভাবনা প্রশাসনিক মহলে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় কর্মিবর্গ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। যে চিঠিতে তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। ৩০ দিনের মধ্যে তাঁকে এই চিঠির জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। চিঠির জবাব না দিলে, তাঁর বিরুদ্ধে অল ইন্ডিয়া সার্ভিসেসের ৬ নম্বর ৮ নম্বর ধারা অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণের হুঁশিয়ারি দেয়া হয়েছে। কর্মিবর্গ মন্ত্রকের এই চিঠি আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকারের। কিভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে? সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে।

প্রসঙ্গত ইতিপূর্বে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই পরিপেক্ষিতে কর্মিবর্গ মন্ত্রকের দেওয়া চিঠিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে, কোন রাজনৈতিক বা প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব যদি এক্ষেত্রে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করেন, তবে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় বিরুদ্ধে সার্ভিস কন্ডাক্ট আইনের ১৮ নম্বর ধারা ভঙ্গ করা হয়েছে বলে, ধরে নেয়া হবে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার, অনেকে মনে করছেন অল ইন্ডিয়া সার্ভিসেস আইনের আওতায় মেজর পেনাল্টি প্রস্তাবের কথা, যা চিঠিতে জানানো হয়েছে, তা যথেষ্ট উদ্বেগের। তাই আইনগত ভাবে কিভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়? সে বিষয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। এক্ষেত্রে রাজ্যের অফিসারের বিভাগীয় তদন্তের অধিকার রাজ্য সরকারের হাতে থাকবে, না কেন্দ্রের হাতে থাকবে? তা স্পষ্ট নয়। মাদ্রাজ হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, এই অধিকার থাকবে রাজ্যের হাতে।

তবে গুজরাট হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, সর্বভারতীয় স্তরের অফিসারদের ক্ষেত্রে এই অধিকারের কেন্দ্রের হাতে থাকবে। তাই অনেকে মনে করছেন যে, এক্ষেত্রে কেন্দ্রের হাতে বিভাগীয় তদন্ত করার অধিকার আছে। যা কেন্দ্র কার্যকর করেছে। অনেকে মনে করছেন, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘিরে যা কিছু চলছে, তার সমস্ত কিছু জানেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ মতোই তাঁকে তাঁর মুখ্য উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর পাশে রয়েছেন।

গতকাল, এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় জানিয়েছেন যে, এর দ্বারা রাজ্যকে বিপর্যস্ত করে দেবার চেষ্টা করা হচ্ছে। ডিওপিটি হলো প্রধানমন্ত্রীর অধীনে থাকা একটি দপ্তর। সুতরাং ধরে নিতে হবে যে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই সমস্ত কিছু হচ্ছে। অন্যদিকে, তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় জানিয়েছেন যে, একজন অবসরপ্রাপ্ত আমলার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া যায় না, যদি না তাঁর বিরুদ্ধে কোনো আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ থাকে। এই নোংরামি বন্ধ করার দাবি জানান তিনি। অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন যে, কেন্দ্র তার রীতিনীতি মেনেই কাজ করছে। এ বিষয়ে তাঁদের কিছু বলার নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!