এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে দিল্লিতে তলব নিয়ে এবার পাল্টা চিঠি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে

রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে দিল্লিতে তলব নিয়ে এবার পাল্টা চিঠি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত এক সপ্তাহ যাবত বাংলার রাজনীতি রীতিমতো সরগরম। আলোড়ন শুরু হয়েছিল উত্তর বঙ্গে বিজেপি কর্মীর ওপর গুলি চলায়, আর তারপরেই উত্তেজনার পারদ রীতিমতো তুঙ্গে পৌঁছে যায় বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার ঘটনায়। দীর্ঘদিন ধরেই গেরুয়া শিবির থেকে অভিযোগ উঠেছিল রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘিরে। এমনকি রাজ্যের রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর বারংবার এই অভিযোগ জানিয়েছেন। আর এবার জেপি নাড্ডার ওপর হামলার ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক গেরুয়া শিবিরের অভিযোগকে মান্যতা দিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্য পুলিশের ডিজি বীরেন্দ্রকে সমস্ত রিপোর্ট নিয়ে দিল্লিতে তলব করে।

কিন্তু এবার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ডিজি বীরেন্দ্র কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে পাল্টা চিঠি লিখে দিল্লি যাওয়ার প্রস্তাব খারিজ করলেন বলে জানা গিয়েছে। ডায়মন্ড হারবারের বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির ওপর হামলা নিয়ে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। আর সেই সূত্রেই রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে দিল্লিতে ডেকে পাঠানো হয়। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে রীতিমতো চিঠি লিখে রাজ্যের মুখ্য সচিব এবং ডিজি জানিয়েছেন, রাজ্যের গোয়েন্দা দপ্তর তদন্ত করে দেখছে পুরো ব্যাপারটি। তাই দিল্লী যাওয়া অপ্রয়োজনীয়। মুখ্য সচিব চিঠি পাঠানোর 24 ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি লিখলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে।

এবং তৃণমূল সাংসদ অভিযোগ করলেন, রাজ্যের দুই মুখ্য আধিকারিককে যেভাবে তলব করা হয়েছে দিল্লিতে, তা রীতিমতো সংবিধান বিরুদ্ধ বলে।  কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন অজয় ভাল্লাকে চিঠিতে জানিয়েছেন, ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী আইন শৃঙ্খলা পুরোপুরি রাজ্যের অধীনে। তাহলে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার অবনতির অভিযোগ করে রাজ্যের দুই প্রধান প্রশাসনিক আধিকারিককে ডেকে পাঠানোর কোন অধিকার কেন্দ্রের আছে কিনা তা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছেন। তৃণমূল সাংসদ দাবি করেছেন, রাজনৈতিক চাপেই এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। যার ফলে গণতন্ত্রের অবমাননা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন।

সূত্রের খবর কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর চিঠিতে জানিয়েছেন, জেপি নাড্ডা প্রধানত জেড ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পান। সুতরাং নাড্ডার নিরাপত্তার যথেষ্ট বন্দোবস্ত করেছিল রাজ্য সরকার। ডায়মন্ড হারবার যাওয়ার রাস্তায় জেপি নাড্ডার সঙ্গে রাজ্যের তরফ থেকে 4 জন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, 8 জন ডেপুটি পুলিশ সুপার, 14 জন ইন্সপেক্টর, 70 জন সাব ইন্সপেক্টর ও অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব ইন্সপেক্টর, 40 জন র‍্যাফ আধিকারিক, 259 জন কন্সটেবল ও 350 সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও নাড্ডার সঙ্গে আসে প্রায় 30 টি গাড়ি, পঞ্চাশটি মোটরবাইক এবং অজস্র সমর্থক।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সেখান থেকেই তৃণমূল কর্মীদের উদ্দেশ্যে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি এবং উস্কানিমূলক মন্তব্য করা হচ্ছিল বলে দিন অভিযোগ করেন শ্রীরামপুরের সাংসদ। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা রাকেশ সিংয়ের প্রসঙ্গ আরও একবার তুলেছেন তিনি। গতকালই তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছিলেন, বিজেপি নেতা রাকেশ সিং একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতী। ইতিমধ্যেই তাঁর বিরুদ্ধে 59 টি মামলা রয়েছে। পাশাপাশি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, লোকসভা নির্বাচনের আগে অমিত শাহের মিছিল চলাকালীন বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভেঙেছিল এই রাকেশ। সেইরকম দুষ্কৃতীর জেপি নাড্ডার কনভয়ে থাকার কারণ কি তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূল সাংসদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবের কাছে বলে জানা গিয়েছে।

তবে নাড্ডার পেছনে থাকা গাড়িতে সামান্য ভাঙচুর হয়েছে বলে জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। কিন্তু এই নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক শুরু হয়েছে, কারণ মানুষ টেলিভিশনে দেখেছে কিভাবে হামলা হয়েছে। এরকমই মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও করেছিলেন। তখন থেকেই বিতর্কের সূত্রপাত। অন্যদিকে জানা গেছে, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করেছেন, বিজেপি এবং অমিত শাহের চাপে রাজনৈতিক দলের মতন কাজ করছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। রাজ্যের অধিকারে নাক গলানো হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন রেখেছেন গণতন্ত্র মেনেই যাতে কাজ করা হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহূর্তে বাংলার রাজনীতিতে প্রবল রাজনৈতিক দ্বন্দ চলছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে। হামলার অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। তৃণমূলের দাবী, খবরে থাকার জন্য এবং রাজ্য প্রশাসনকে বদনাম করার জন্য পরিকল্পনামাফিক এই হামলা হয়েছে। রাজনৈতিক মহলের অনেকের দাবি, একুশের বিধানসভা নির্বাচন আসতে এখনো কিছুটা দেরি আছে। কিন্তু যেভাবে রাজ্যে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে তা বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে আরো বৃদ্ধি পাবে উত্তরোত্তর। আপাতত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিবকে যেভাবে চিঠি দিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব থেকে শুরু করে তৃণমূল সাংসদ দিল্লী তলব খারিজ করলেন তা আগামী দিনের রাজনীতিতে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!