রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তৃণমূলে যোগ দিতেই লাফিয়ে বাড়ছে অশান্তি! তীব্র অস্বস্তিতে শাসকদল? তৃণমূল মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য November 2, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর বেশ কিছুটা সময় বিজেপিতে ছিলেন। মাস দুয়েক আগে আবার তিনি ফিরে এসেছেন শাসকদল তৃণমূলে। কিন্তু শাসকদলে হুমায়ুন কবীরের যোগদানের পর থেকেই বারবার নানা বাধা-বিঘ্ন, বিরোধের সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁকে। কখনো কমিটি গঠন নিয়ে স্থানীয় বিধায়কের সঙ্গে বিরোধ দেখা দিচ্ছে তাঁর, কখনো বা বিরোধী গোষ্ঠীর পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে তার গোষ্ঠীর বিরোধ বাঁধছে। সম্প্রতি তাঁর জমি সংক্রান্ত বিরোধ শুরু হলো স্থানীয় বিধায়ক রবিউল আলমের সঙ্গে। এভাবে দলে ফিরে আসার পর থেকেই নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে হুমায়ুন কবীরকে। ইতিপূর্বে, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী হুমায়ুন কবীর দলে ফিরে আসার পর হিজুলির মাঠে বোমাবাজির কান্ড ঘটেছিল। এই কাণ্ডে অভিযুক্ত হয়েছিলেন হুমায়ুন কবীর। সেসময় পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল। সে সময় হুমায়ুন কবীর রেজিনগর পুলিশের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, রেজিনগরে পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। সম্প্রতি, শক্তিপুরের রামনগরের বিনপাড়া এলাকায় দীর্ঘ সময় ধরে অব্যবহৃত জমি ভূমিহীন কৃষকদের হাতে তুলে দিতে গিয়ে প্রবল বিরোধের সম্মুখীন হতে হল তাঁকে। প্রসঙ্গত, শক্তিপুরের রামনগরের বিনপাড়া এলাকার এই ৬০ হাজার বিঘা জমিতে রয়েছে এক বাঁধ চিনিকল। বন্ধ এই চিনিকলের জমির দখল নিয়ে তাঁর সঙ্গে বিরোধ শুরু হয়েছে তৃণমূল নেতা যামিনী মন্ডলের। অভিযোগ উঠেছে, এই অঞ্চলের স্থানীয় বাসিন্দা যামিনী মন্ডল ও তার অনুগামীরা বন্ধ থাকা এই চিনিকলের জমি জবরদখল করে রেখেছেন। এরপর এই জমি ভূমিহীন কৃষকদের মধ্যে বন্টন করতে গিয়ে প্রবল বাধার মুখে পড়েছেন হুমায়ুন কবীর। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথমে প্রবল বচসা, এরপর হুমায়ুন কবীরের গোষ্ঠীর সঙ্গে যামিনী মন্ডলের অনুগামীদের প্রবল ধস্তাধস্তি শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশের চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। এই দুপক্ষের ৫ জন জখম হন। ঘটনায় আহতদের মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই ঘটনা প্রসঙ্গে হুমায়ুন কবীরের অভিযোগ, ” রামনগর চিনি কলের জমি যামিনী মণ্ডল দখল করে রেখেছে। এখন সে তৃণমূলের নেতা। তাকে মদত যোগাচ্ছে রবিউল আলম চৌধুরী। এলাকার কিছু ভূমি হীন চাষি ওই জমিতে চাষ করতে গেলে বাঁধা পায়। আমি তাদের পাশে দাঁড়িয়েছি মাত্র। ” তবে এ প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা রবিউল আলমের বক্তব্য, বেশকিছু মানুষ ওই জমি বেদখল করে রেখে দিয়েছেন, যাদের তিনি চেনেন না। এদিকে কিছু লোক এই জমি পাল্টা দখল করতে গেলে সেখানে মারামারি শুরু হয় বলে তিনি শুনেছেন। তবে এই ব্যাপারে তাঁর নামে কে কি বলেছে, তার জবাব দিতে তিনি ইচ্ছুক নন। এভাবে তৃণমূল নেতা হুমায়ুন কবীরকে নিয়ে যথেষ্ট সমস্যায় পড়েছে শাসকদল তৃণমূল। তৃণমূলে যোগ দিতেই তাঁকে নিয়ে বারবার দেখা দিচ্ছে বিরোধ, অশান্তি ও বাড়ছে গোষ্ঠীকোন্দল। আপনার মতামত জানান -