এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুরসভা নির্বাচনের আগে বিয়েবাড়িতে নেতারা, পার্টি অফিস প্রায় খালি, বাড়ছে বিতর্ক

পুরসভা নির্বাচনের আগে বিয়েবাড়িতে নেতারা, পার্টি অফিস প্রায় খালি, বাড়ছে বিতর্ক

রাজ্যের দোরগোড়ায় এসে গেছে পুরভোট। এই মুহূর্তে পুরনির্বাচনে কোমর বেঁধে রাজনৈতিক মঞ্চে অবতরণ করেছে রাজ্যের যুযুধান রাজনৈতিক শিবিরগুলি। ইতিমধ্যে নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হয়েছে এই নির্বাচন ঘিরে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল নির্বাচনী রণকৌশল তৈরি করতে রাজনৈতিক ময়দানে নেমে পড়েছে। অন্যদিকে, পিছিয়ে নেই বিজেপিও। তাঁরাও বিধানসভা নির্বাচনের আগে পুরসভা নির্বাচনকে সেমিফাইনাল ধরে এগোতে চলেছে। এই মুহূর্তে রাজ্যের দখল পেতে শাসক-বিরোধী উভয়ই জোরদার প্রস্তুতি শুরু করেছে। কিন্তু হঠাৎ করেই রাজনৈতিক মহলে জোর সমালোচনা শুরু হয়েছে বিজেপিকে নিয়ে।

সম্প্রতি ইন্দোরে চলছে রাজ্য বিজেপি পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান। আর সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য রাজ্যের সমস্ত সদস্য ও জেলা সভাপতি বিভিন্ন মোর্চার সভাপতি এবং নেতারা প্রত্যেকে পৌঁছে গেছেন ইন্দোর। রাজ্য অফিসে এই মুহূর্তে কেউ নেই। সূত্রের খবর, প্রত্যেকেই এই মুহূর্তে উপস্থিত ইন্দোরে বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন। আবার এই বিয়ে বাড়িতে নিমন্ত্রণ করা নিয়েও আলাদা বিতর্ক তৈরি হয়েছে বিজেপির অন্দরে।

বিজেপির একাংশ কৈলাস বিজয়বর্গীয় ছেলের বিয়েতে এভাবে পুরো রাজ্য ফাঁকা করে দলের নেতারা চলে যাওয়ায় যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তাঁদের মতে, সামনেই পুরনির্বাচন। সে কথা মাথায় না রেখে বিয়ের অনুষ্ঠানকেই সর্বাগ্রে স্থান দিয়েছে রাজ্যের মাথারা। অন্যদিকে, বিজয়বর্গীয়র ছেলের বিয়ের নেমন্তন্ন নিয়েও উঠেছে দলবাজির অভিযোগ। সূত্রের খবর, রাজ্যের এক নেতাকে আমন্ত্রণপত্র বন্টনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি সবকিছু ঠিকঠাক ভাবে করেননি ফল তো অনেকেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে সরাসরি ফোন করে জানিয়েছেন নেমন্তন্ন না পাওয়ার কথা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অন্যদিকে, সূত্রের খবর রাজ্যের পৌরসভা নির্বাচনে রাজনৈতিক কৌশল ঠিক করতে রাজ্যের সমস্ত পুরসভার চেয়ারম্যান ও ডেপুটি চেয়ারম্যানদের নিয়ে বৈঠকে বসতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমতাবস্থায় রাজ্যের রাজনৈতিক দিশাকে সম্পূর্ণ ইগনোর করে বিজেপি নেতারা নেমন্তন্ন হাজিরা দিতে গেছেন। যা নিয়ে দলের অন্দরেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। অনেক বিজেপি কর্মী প্রশ্ন তুলেছে, এবারের লড়াই হচ্ছে তৃণমূল বনাম বিজেপি। 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে কোণঠাসা অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্যও তৃণমূল এবার মরিয়া। তার ওপর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাই একশ। অন্যদিকে, বিজেপির অন্য অংশের পক্ষ থেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিজেপি নেতা মন্তব্য করেছেন, রাজনীতি তো সারা বছর ধরেই চলে। কিন্তু উৎসব-অনুষ্ঠানে দু-একদিন আনন্দ করা যেতেই পারে।

কিন্তু রাজনৈতিক মহলে প্রশ্ন উঠেছে, এভাবে রাজ্য ছেড়ে বেশিরভাগ বিজেপি নেতার কৈলাস বিজয়বর্গীয় ছেলের অনুষ্ঠানে হাজিরা দিতে যাওয়ার কারন কি? সে প্রশ্নের উত্তর পেতে উঠে এসেছে অন্য অনুমান। বিজেপির খবর, এই মুহুর্তে রাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। তাই তাঁর গুডবুকে থাকার প্রচেষ্টা প্রত্যেকেই করছে। অন্যদিকে, কৈলাস বিজয়বর্গীয় ছেলের বিয়েতে উপস্থিত থাকাটাও সংবাদমাধ্যমের কাছে একটা বড় খবর। তার ওপর যদি কৈলাস বিজয়বর্গীয় সাথে একটা ছবি তোলা যায়, তাহলে তো কথাই নেই। কারণ একটা ছবি আগামী দিনের বিধানসভা ও পুরসভা নির্বাচনের টিকিট প্রাপ্তির ব্যবস্থা করে দেবে।

এই মুহূর্তে পুরসভার নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক শিবিরে শুরু হয়েছে সাজো সাজো রব। পুরসভা নির্বাচন ঘিরে রণকৌশল ঠিক করছে রাজনৈতিক শিবিরগুলি। অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে এই মুহূর্তে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে সবার মাথা ব্যথা। কিন্তু তার আগে পুরসভা নির্বাচন হওয়ায় আগামী দিনের নির্বাচনের প্রতিচ্ছবির কিছুটা আভাস পাওয়া যেতে পারে। তাই সেদিকে লক্ষ্য রেখে রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দল এই মুহূর্তে চূড়ান্ত ব্যস্ত। সম্পূর্ণ পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!