এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > ধনকর-অমিত শাহ একান্ত বৈঠক দিল্লিতে, মমতা সরকার কি আরও চাপে পরে গেল? বাড়ছে রাজনৈতিক জল্পনা!

ধনকর-অমিত শাহ একান্ত বৈঠক দিল্লিতে, মমতা সরকার কি আরও চাপে পরে গেল? বাড়ছে রাজনৈতিক জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দিল্লিতে সাক্ষাৎ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। যেখানে রাজ্যের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যথেষ্ট উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল। গতকাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর গণমাধ্যমেও রাজ্যের নিরাপত্তা সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তীব্রভাবে সরব হলেন তিনি।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর কাছে রাজ্যের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল জানালেন, আল কায়েদার মতো সন্ত্রাসবাদি সংগঠন রাজ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, কিন্তু রাজ্য প্রশাসন এ বিষয়ে একেবারেই নিরব। রাজ্য সরকারের প্রতি তীব্র অভিযোগ করে রাজ্যপাল জানালেন যে, জঙ্গী সংগঠন আল-কায়েদা রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে। অবৈধভাবে বোমা তৈরীর ঘটনা বারবার দেখা দিচ্ছে। রাজ্যপাল জানালেন যে, তিনি রাজ্য প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্যের ডিজিপি নীরব।

রাজ্য পুলিশের প্রতি তিনি অভিযোগ করলেন যে, রাজনৈতিক রঙ দেখে সমস্ত কাজ করে থাকে পুলিশ। রাজ্যপাল জানালেন যে, চলতি ২০২১ বছরটি পশ্চিমবঙ্গের জন্য একটি চ্যালেঞ্জের বছর। এবার পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন আছে। এই নির্বাচনে ভোটারদের মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে হবে, আমলাতন্ত্র ও পুলিশের ভূমিকা রাখতে হবে নজরে, সকলে যাতে নিরপেক্ষভাবে, শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দান করতে পারেন, সেদিকে দৃষ্টি দিতে হবে সরকারকে, নির্বাচনকে হিংসামুক্ত করার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে, সেজন্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে প্রশাসনকে, সংকীর্ণতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে প্রশাসনকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বহিরাগত বিষয় প্রসঙ্গে রাজ্যপাল জানালেন যে, বেশকিছু তৃণমূল নেতা আছেন, যারা অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতাদের বাইরের লোক বলে অভিহিত করেন। তাঁর অত্যন্ত কষ্ট হয়, যখন তিনি দেখেন সংবিধানকে উপেক্ষা করে ভারত মাতার সন্তানকে পশ্চিমবঙ্গে বহিরাগত বলা হচ্ছে। কারণ তাঁরা পশ্চিমবঙ্গবাসী নন। তিনি জানালেন, দেশের সকলেই হলেন ভারত মাতার সন্তান, সকলেই বিশ্বাস করেন ঐক্যে। এই ভারতভূমিতে বাস করা কোন ব্যক্তি কখনোই বহিরাগত হতে পারেন না।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর গণমাধ্যমেও তীব্রভাবে সরব হলেন রাজ্যপাল। রাজ্যপাল জানালেন যে, পশ্চিমবঙ্গে ভিত তৈরি করেছে আল কায়দার মতো জঙ্গি সংগঠন। পশ্চিমবঙ্গের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে দাঁড়িয়ে পড়েছে। নানা স্থানে বোমা তৈরীর কাজ করছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক পুলিশ কাজ করছে। সাংবাদিকরা রাজ্যপালের কাছে প্রশ্ন করেছিলেন যে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কী আলোচনা হয়েছে? রাজ্যে কি জারি হতে চলেছে রাষ্ট্রপতি শাসন? আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে?

এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তরের রাজ্যপাল জানালেন যে, পশ্চিমবঙ্গ এমন একটি রাজ্য যেখানে একজন নিরাপত্তা উপদেষ্টা রয়েছেন, কিন্তু এরপরও পুলিশ কি কাজ করে? তা তিনি জানেন না। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, রাজ্যের যেখানে সেখানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটছে, মারা যাচ্ছেন মানুষ। রাজ্যের শাসক দলের ইশারায় কাজ করছে প্রশাসনের একাংশ। এ প্রসঙ্গে রাজ্যপালের বক্তব্য, ” একজন সরকারি কর্মী যদি রাজনৈতিক নেতার মতো আচরণ করেন তাহলে তা আইনের শাসনের জন্য মহা বিপদ। সরকারি কর্মচারীরা রাজনীতি থেকে দূরে থাকুন। সাংবিধান অনুযায়ী নিজের দায়িত্ব পালন করুন। “

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!