এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাজ্যভাগের চক্রান্ত সহ একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগে রাজ্যপালকে কাঠগড়ায় তুললেন হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদ

রাজ্যভাগের চক্রান্ত সহ একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগে রাজ্যপালকে কাঠগড়ায় তুললেন হেভিওয়েট তৃণমূল সাংসদ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্য ও রাজ্যপালের সংঘাতের মাত্রাকে মুহূর্তের মধ্যে আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একেরপর এক বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে যেমন তিনি রাজ্য ভাগের চক্রান্তের অভিযোগ করেছেন, তেমনি আদালতকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগ করেছেন, এমনকি সংবিধানকে অবমাননা ও শপথ ভঙ্গের অভিযোগ পর্যন্ত করেছেন তিনি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে।

গতকাল রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন, হাওয়ালা কাণ্ডের চার্জশিটে রাজ্যপালের নাম রয়েছে। এরপর এর জবাব দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রীর এই অভিযোগ ভুয়ো ও অসত্য। এর পাল্টা হিসেবে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় জানান, হাওয়ালা কাণ্ডের চার্জশিটে তাঁর নাম ছিল না, এ কথা শুধু বলেছেন রাজ্যপাল। তিনি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন কি না? সে কথা তিনি জানান নি। এ বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে আজ আবার জানাবেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় অভিযোগ করেছেন, দিল্লির নেতাদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে বাংলা ভাগের ছক করছেন রাজ্যপাল। এজন্যই তিনি দিল্লি গিয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, বাংলা ভাগের চক্রান্ত করতে উত্তরবঙ্গে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। বাংলার মানুষের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন তিনি। বিজেপির নির্দেশে তিনি দার্জিলিঙে গিয়েছিলেন। যে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা বাংলা ভাগ করতে চাইছে, তাদের সঙ্গে রাজ্যপাল গোপনে শলাপরামর্শ করেছেন। রাজ্যপাল ফেরার পর থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা রাস্তায় নেমে বাংলা ভাগের দাবিতে সরব হয়েছেন। উত্তরবঙ্গের পরিবেশকে উত্তপ্ত করে তুলেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত দার্জিলিং সফরে গিয়ে রাজ্যপাল জিটিএর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন। রাজ্যপাল অভিযোগ করেছেন, বছরে বছরে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে, কিন্তু সেখানকার কোন উন্নতি ঘটে নি। জিটিএর অ্যাকাউন্ট অডিট করানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় জানালেন যে, এ বিষয়ে অধিকার নেই রাজ্যপালের। বছরে একবার তথ্য যাচাই করতে পারেন তিনি, তবে রাজ্য প্রশাসনের কাছ থেকেই তাঁকে এ কাজ করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী এখন পার্বত্য বিষয়ক মন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন তিনি। আইনের অপব্যাখ্যা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন রাজ্যপাল। তিনি বিজেপি নেতাদের কাছে বেশি করে ঝুঁকে যাচ্ছেন।

অন্যদিকে, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বারবার রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এ প্রসঙ্গে সুখেন্দু শেখর রায় অভিযোগ করেছেন, অর্ধেক কথা তুলে ধরে আদালতকে বিভ্রান্ত করার ষড়যন্ত্র করছেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীকে অপমান করা হচ্ছে, সংবিধানকে অপমান করছেন রাজ্যপাল। মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথোপকথন প্রকাশ্যে এনে শপথ ভঙ্গ করেছেন তিনি।

গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় জানিয়েছেন, ফালতু কথা বলবার জন্য কি রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? গত ২৫ বছর ধরে তিনি রাজনীতি করছেন। ৪ বার তিনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন। বর্তমানে ১০ বছর ধরে তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী রয়েছেন। সব জায়গায় শুধু পদ্ম ফুলের গন্ধ আছে, এমনটা ভাবার কোনো কারণ থাকতে পারে না।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!