এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্যজুড়ে এখনও অশান্তি, সন্ত্রাসের পরিবেশ? আতঙ্কে বিজেপি? ভোট পরবর্তী বৈঠকে কোন ইঙ্গিত?

রাজ্যজুড়ে এখনও অশান্তি, সন্ত্রাসের পরিবেশ? আতঙ্কে বিজেপি? ভোট পরবর্তী বৈঠকে কোন ইঙ্গিত?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকেই রাজ্য জুড়ে নানা স্থানে শুরু হয়েছে হিংসা ও অশান্তির পরিবেশ। বিজেপির পক্ষ থেকে বারবার অভিযোগ করা হয়েছে যে, বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের মারধর, লাঞ্ছনা, বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর, লুটপাট চলছে। বহু বিজেপি কর্মী প্রাণ বাঁচাতে ঘরছাড়া হয়েছেন। অনেকেই পরিবার, পরিজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। নির্বাচনের পর গতকাল হেস্টিংসের বিজেপির দপ্তরে প্রথম বৈঠক বসে। এই বৈঠকে বারবার উঠে আসে ভোট-পরবর্তী হিংসার প্রসঙ্গ।

এদিন হেস্টিংসের বিজেপির দপ্তরে রাজ্য নেতৃত্তের বৈঠক চলে। বিজেপির রাজ্যনেতা, কিছু বিধায়ক এই বৈঠকে যোগদান করেছিলেন। এই বৈঠকে বিজেপির বেশ কিছু নেতা-কর্মী অভিযোগ করেন, বিজেপি কেন্দ্রীয় শাসক দল হলেও বিজেপির নেতা কর্মীরা নিরাপত্তা ছাড়া বাইরে বেরোতে পারছেন না। যার ফলে সদর্থক বার্তা পৌঁছাচ্ছে না। বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলেও, অনেকে অভিযোগ করেছেন।

ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং অভিযোগ করেছেন যে, এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ড, পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূলের বাহিনীর হাতে বারবার হেনস্থার শিকার হচ্ছেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকেরা। তিনি প্রশ্ন করেছেন, দলের সাংসদ, বিধায়করা যদি নিরাপত্তা না পান, তবে সাধারণ কর্মীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ করবে কে?

অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন, দলের অনেকেরই ক্ষোভ রয়েছে। অনেকে হয়তো চাইছেন কেন্দ্র আরো বেশি করে প্রশাসনিক পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। কিন্তু, কেন্দ্র কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি, তা ঠিক নয়। রাজ্যে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, রাজ্যজুড়ে বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট, খুন-ধর্ষণ মিলিয়ে ১৫ হাজারের মতো ঘটনা ঘটেছে। প্রায় ৭ হাজার ঘটনায় ক্ষেত্রে তাঁরা পৌঁছাতে পেরেছেন। ভোট পরবর্তী হিংসায় ২১ জনের মৃত্যু ঘটেছে, ১৪ টি ঘটনার ক্ষেত্রে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছেন, উপদ্রুত মানুষেরা থানায় অভিযোগ জানাতে ভীত হচ্ছেন।

তাঁরা তাদের আশ্বস্ত করেছেন, কলকাতায় চলে আসতে, তাঁরা আদালতের দ্বারা এফআইআর করবেন। কিন্তু এরপরও রাজি হচ্ছেন না উপদ্রুত মানুষেরা। পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।তবে বিজেপির অভিযোগকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর শপথ নেওয়ার পর রাজ্যের পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে।

করোনা মোকাবেলায় উপযুক্ত ভূমিকা গ্রহণ না করে দীলিপ বাবু বস্তাপঁচা অভিযোগ করছেন। কেন্দ্রীয় সরকার মানবাধিকার, মহিলা বা তপশিলি জাতি- জনজাতি কমিশনকে রাজ্যে পাঠিয়েছে। তবে, রাজ্যের করোনা মোকাবেলায় ব্যর্থতার জন্য দায়ী হলো কেন্দ্র সরকার।

তিনি আরও জানিয়েছেন, নির্বাচনে পরাজয়ের পর বামফ্রন্টের পক্ষ থেকেও করোনা মোকাবেলায় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। বিমান বসুর বক্তব্য থেকে বোঝা যাচ্ছে যে, করোনা পরিস্থিতিতে রাজনীতি থেকে দূরে এসে তাঁরা কাজ করতে চান। কিন্তু দিলীপ ঘোষের মতো নেতারা পরাজয় থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেননি।

অন্যদিকে, গত দুদিন আগে কোচবিহার পরিদর্শন করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর। এরপর আজ তিনি নন্দীগ্রাম পরিদর্শন করলেন। রাজ্যপাল অভিযোগ করেছেন, জ্বলন্ত আগ্নেয়গিরির ওপর বসে আছে সকলে। রাজ্যজুড়ে তীব্র সংকটের মুহূর্ত তৈরি হয়েছে। তিনি রাতে ঘুমাতে পারছেন না। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ভোট পরবর্তী হিংসা বন্ধের আর্জি জানিয়েছেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!