রাজ্যজুড়ে নিদারুণ ভ্যাকসিনের অভাব, আমজনতার তীব্র হয়রানি, কেন্দ্রকে দোষারোপ মুখ্যমন্ত্রীর অন্যান্য জাতীয় তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য শরীর-স্বাস্থ্য August 7, 2021August 14, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশে করোনার তৃতীয় ঢেউ যে কোন সময়ে আছড়ে পড়তে পারে। সেই আশঙ্কায় টিকাকরণের ওপর জোর দেওয়ার কথা বারবার বলছেন বিশেষজ্ঞ ও চিকিৎসকেরা। কিন্তু পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের অভাবের কারণে পশ্চিমবঙ্গে বারবার থমকে যাচ্ছে টিকাকরন প্রক্রিয়া। কিছুদিন আগে কোভাকসিনের প্রচন্ড অভাব শুরু হয়েছিল। এখন রাজ্যে চলছে কোভিশিল্ড সঙ্কট। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে কোভিশিল্ড সংকট। আজকেও যা থেকে রেহাই মেলেনি। কলকাতা পুরসভার একাধিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও সেন্টারে পাওয়া যাচ্ছে না কোভিশিল্ড। ভ্যাকসিনের এই অভাবের জন্য কেন্দ্রকেই দায়ী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ এসএসকেএম হাসপাতালের সামনে লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে। যাদের মধ্যে কেউ এসেছেন প্রথম ডোজ নিতে, কেউ বা এসেছেন দ্বিতীয় ডোজ নিতে। কোভিশিল্ড বা কোভাকসিন দু ক্ষেত্রেই দিতে হচ্ছে লম্বা লাইন। কলকাতা ছাড়াও শহরতলী থেকেও এসেছেন বহু মানুষ। অনেকে জানাচ্ছেন, বাড়ির কাছাকাছি টিকাকরণ কেন্দ্রগুলিতে টিকাদান প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। এ কারণে এসএসকেএম হাসপাতালে আসতে বাধ্য হয়েছেন তারা। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, ভ্যাকসিনের পর্যাপ্ত যোগান না থাকার কারণে ব্যাহত হয়ে পড়েছে টিকা করন প্রক্রিয়া। তবে সোমবার থেকে এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে, আশা করছে পুরসভা। কলকাতার পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, কোভিশিল্ড এর অভাব থাকলেও কোভ্যাকসিনের সমস্যা এখন নেই। ভ্যাকসিনের অভাবের কারণে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে দোষারোপ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিকে পর্যাপ্ত পরিমাণে টিকা দেয়া হয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে অনেক কম পরিমাণে টিকা পাঠানো হচ্ছে। একাধিক বিরোধীরাও এই ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব। তবে এ প্রসঙ্গে গতকাল রাতে একটি টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, যেখানে তিনি জানিয়েছেন যে, করোনার বিরুদ্ধে ভারত শক্তিশালী লড়াই জারি রাখতে পেরেছে। দেশে টিকাকরণের সংখ্যা ৫০ কোটি অতিক্রম করেছে। তিনি আশা করছেন এভাবেই দেশবাসীকে বিনামূল্যে করোনা টিকা প্রদানের কাজ জারি রাখা সম্ভব হবে। আপনার মতামত জানান -