রাজ্য সরকারের শস্যবীমা প্রচারে বিশেষ সাফল্য, জেনে নিন মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজ্য October 15, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – চলতি বছরে মুর্শিদাবাদ জেলায় রেকর্ড সংখ্যক কৃষক শস্য বীমার আবেদন করলেন। যাতে বেশি সংখ্যায় কৃষকেরা শস্য বীমার সুবিধা নিতে পারেন, তার জন্য রাজ্য সরকার যথেষ্ট প্রচার চালিয়ে ছিল। রাজ্য সরকারের এই প্রচার সাফল্য পেয়েছে বলে মনে করছেন জেলার কৃষি আধিকারিকরা। কৃষিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে যে, চলতি বছরে ইতিমধ্যেই ৪ লক্ষ ৪০ হাজার কৃষকের নাম শস্যবীমায় নথিভুক্ত করা হয়েছে। আরও ৫০ হাজার কৃষকের নামও খুব শীঘ্রই নথিভুক্ত করা হবে। প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গি, বেলডাঙা-২, কান্দি, নবগ্রাম, হরিহরপাড়া সহ বিভিন্ন স্থান অনেক কৃষক শস্য বিমার আবেদন করেছেন। কান্দি ব্লক থেকে প্রায় ২৮০০০ ও নবগ্রাম ব্লক থেকে প্রায় ৩৪০০০ কৃষক আবেদন করেছেন। এই দুই ব্লকে অধিক ধানচাষ হয় বলে এমন ধানের জন্য বীমার আবেদন করেছেন অনেকে। ইতিপূর্বে, পাট চাষের জন্যও বীমার আবেদন করেছিলেন কিছু কৃষক। তবে সে সময় শস্য বীমার বিষয়টি তেমন প্রচার করা হয়নি বলে, অনেকেই এই সুবিধা নিতে পারেননি। ইতিপূর্বে জেলার কোন স্থানে প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষিকাজ ক্ষতিগ্রস্ত হলে, কৃষি আধিকারিকেরা সে স্থান পরিদর্শন করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতেন। কিন্তু সম্প্রতি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নজরদারি চালানো হয়। কোন জমিতে কতটা ক্ষতিকর সব কিছু স্যাটেলাইটে জানা যায়। জানার পরই শুরু হয় ক্ষতিপুরন। এর ফলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া অনেকটা সহজ ও স্বচ্ছ হয়েছে বলে মনে করছেন কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা। চলতি বছরেই ঝাড়খন্ড থেকে অতিরিক্ত জলপথ ফারাক্কাতে এসে বহু জমির ধান নষ্ট করেছিল। সেই সমস্ত এলাকাতে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ছবি তুলে ক্ষতিপূরণের বন্দোবস্ত করা হবে বলে কৃষি দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - মুর্শিদাবাদ জেলা কৃষি আধিকারিক তাপস কুণ্ডু জানিয়েছেন, ” গত বছর ধান চাষ ক্ষতি হওয়ায় অনেকেই বিমার টাকা পেয়েছেন। তাঁদের অ্যাকাউন্টে এখনও পর্যন্ত ৫৫কোটি টাকা এসেছে। তাতে প্রায় ৩৬ হাজার কৃষক উপকৃত হয়েছেন। এ বছরও প্রায় পাঁচ লক্ষ কৃষক বিমার জন্য আবেদন করেছেন। অতিবৃষ্টির জন্য এবছর নিচু এলাকায় পাট চাষে ক্ষতি হয়েছিল। হরিহরপাড়া, ডোমকল, বেলডাঙা সহ বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার তালিকা আমরা রাজ্যে পাঠিয়েছি। বিমা করা থাকলে চাষিদের সুবিধাই হবে।” অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ শাহনাজ বেগম জানিয়েছেন, ” বেশি সংখ্যক চাষি যাতে সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা নিতে পারেন তার জন্য আমরা প্রথম থেকেই চেষ্টা করি। বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকাতেও আমরা সরকারি প্রকল্পগুলি নিয়ে প্রচার করেছি। তার সুফল পাওয়া যাচ্ছে। আগামী দিনে আরও বেশি সংখ্যক চাষিকে বিমার আওতায় আনা আমাদের টার্গেট।” অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ জেলার হরিহর পাড়ার জনৈক কৃষক জসীম আলি জানালেন যে, কখনো বৃষ্টি বেশি, কখনো বৃষ্টি কম দেখা যায়। ফলে অনেক সময় জমির ফসল নষ্ট হয়। তাই বীমা করা থাকলে অনেকটা উপকৃত হবেন তারা। তিনি সব্জির ক্ষেত্রেও বীমা ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন। কারণ, এ বছরে অনেকের সব্জি নষ্ট হয়েছে, যা অনেকসময়ই হয়ে থাকে। সব্জি বীমা চালু হলে সবজি চাষিরা উপকৃত হবেন। অনেকে সব্জি নষ্ট হবার ভয়ে সব্জির চাষ কমিয়ে দিয়েছেন। কান্দির জনৈক কৃষক এ প্রসঙ্গে জানালেন, প্রতি বছর তিনি কয়েক বিঘা জমিতে সবজি চাষ করেন। কোন বছর বৃষ্টির কারণে লোকসান হয়। তাই সবজি বীমা চালু হলে উপকৃত হবেন তারা। আপনার মতামত জানান -