রাজ্য থেকে পূর্ণমন্ত্রী করা হয়নি বলে, তৃণমূলকে ধর্ণায় বসার পরামর্শ দিলীপ ঘোষের,বিস্মিত রাজনীতিমহল তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য July 9, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর বাংলা থেকে দু’জন মন্ত্রী স্থান পেয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। তাঁরা হলেন বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরী। সম্প্রতি তাঁরা পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু বাংলা থেকে চারজন বিজেপি সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় স্থান পেয়েছেন। তাঁরা হলেন শান্তনু ঠাকুর, সুভাষ সরকার, নিশীথ প্রামানিক ও জন বার্লা। তবে, চারজনই প্রতিমন্ত্রী। বাংলা থেকে বিজেপির কোন সাংসদকে পূর্ণমন্ত্রী করা হয়নি। এ বিষয়ে বিজেপিকে একাধিকবার কটাক্ষ করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। এবার তৃণমূলের কটাক্ষের জবাব দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বাংলা থেকে কাউকে পূর্ণমন্ত্রী না করায়, তা নিয়ে একাধিকবার কটাক্ষ করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। এই প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নতুন মন্ত্রিসভায় কেন বাংলা থেকে কাউকে পূর্ণমন্ত্রী করা হয়নি, তা নিয়ে তৃণমূল কি ধর্ণা দেবে? এ প্ৰসঙ্গে তিনি জানান, সব ব্যাপারে এত চিন্তা কেন? ভ্যাকসিনের ব্যাপারটা আগে ঠিক করুক। মানুষ খেতে পাচ্ছেন না, সেটা আগে দেখা হোক। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বিষয়টা আগে দেখা হোক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আছেন তিনি সবকিছু ঠিকঠাক দেখবেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - পশ্চিমবঙ্গ থেকে চারজন নতুন মন্ত্রী হওয়া আনন্দের কথা। যারা যোগ্য লোক তাঁদের মন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। সংগঠনেও নিষ্ঠাবান পরিশ্রমীদের জন্য সবসময় জায়গা থাকে। আগামীদিনেও এমনটা করা হবে। অন্যদিকে বাবুল সুপ্রিয় ইস্তফা দেওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন যে, এখন বাবুল সুপ্রিয়, দেবশ্রী চৌধুরী খারাপ হয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যের জবাবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ জানালেন যে, বাবুল সুপ্রিয় যখন মন্ত্রী ছিলেন সে সময় তাঁকে পাত্তা দেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর দলের লোকেরা কত কি বলেছেন। তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেবার পর এখন উনি হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। অন্যদিকে তৃণমূলকে কটাক্ষ করে তিনি জানালেন যে, এতদিন তাঁরাই বলতেন শুধু কাটমানির কথা। যা নিয়ে অনেকে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করত। কিন্তু এখন আদালতও এ কথা বলছে। তাঁর সাংসদ এলাকাতেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তৃণমূলের নেতারা এসব করে থাকেন। এখন সাধারণ মানুষ জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। আদালতের মাধ্যমে সমস্ত কিছু প্রকাশ্যে চলে আসছে। সরকার কতটা দুর্নীতিগ্রস্ত, তা সামনে চলে আসছে । এভাবে তৃণমূলকে একাধিক বিষয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বাংলা থেকে কাউকে পূর্ণমন্ত্রী না করায়, তৃণমূলকে ধর্নায় বসার পরামর্শ দিলেন তিনি। আপনার মতামত জানান -