এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > রাজ্যপালের দীর্ঘ উত্তরবঙ্গ সফর, বাছাই করা নেতাদের ‘সৌজন্য সাক্ষাতের’ জন্য হুড়োহুড়ি শুরু?

রাজ্যপালের দীর্ঘ উত্তরবঙ্গ সফর, বাছাই করা নেতাদের ‘সৌজন্য সাক্ষাতের’ জন্য হুড়োহুড়ি শুরু?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী মাসে প্রায় মাস খানেকের জন্য দীর্ঘ উত্তরবঙ্গ সফর করতে চলেছেন রাজ্যপাল। একমাস কালীন এই দীর্ঘ সফরের মধ্যে কিছুদিন তিনি জলপাইগুড়িতে থাকতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। এ খবর প্রকাশ্যে আসতেই জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি বাছাই করা বেশকিছু জনজাতি, ব্যবসায়ী, কৃষক, রাজবংশী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের রাজ্যপালের কাছে পাঠানোর বিশেষ উদ্যোগ নিল। তবে রাজ্যপাল জলপাইগুড়িতে এসে থাকবেনই এমন নিশ্চয়তা নেই। তবে, সে ক্ষেত্রে দার্জিলিংয়ের রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন এই প্রতিনিধিরা। রাজ্যপালের এই দীর্ঘ সফরকালীন সময়ে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিদের রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করবার ডাক আসতে পারে, তাই এ বিষয়ে চলছে আগাম প্রস্তুতি।

রাজ্যপালের দীর্ঘসময়ের উত্তরবঙ্গ সফরে তিনি একাধিক সামাজিক, অরাজনৈতিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। জলপাইগুড়ি জেলার ক্ষেত্রে সামাজিক, অরাজনৈতিক সংগঠনকে ডেকে পাঠাতে পারেন তিনি। জনৈক বিজেপি নেতা তথা জনপ্রতিনিধি দুটি আদিবাসী সংগঠনকে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতে রাজি করিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। আবার রাজবংশীদের একটি বৃহৎ সংগঠনের প্রতিনিধিরাও রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেন। তাঁদের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের এক বিজেপি সাংসদ যোগাযোগ রাখছেন বলে জানা যাচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আবার, জলপাইগুড়ি শহর ও ডুয়ার্সের বেশ কিছু ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে যেতে পারেন। জলপাইগুড়ি শহরের বেশকিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, ডুয়ার্সের পুরনো কিছু ক্লাবের প্রতিনিধিদলের সঙ্গেও রাজ্যপাল দেখা করতে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। সেই সঙ্গে তিনটি সংস্কৃতিক মঞ্চের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও তিনি দেখা করতে পারেন। রাজ্যপাল শিলিগুড়িতে থাকুন আর জলপাইগুড়িতেই থাকুন না কেন? রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের প্রস্তুতি শুরু করেছে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি। এ বিষয়ে তাঁরা বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে কথাবার্তাও বলে রেখেছেন জানা যাচ্ছে। বিভিন্ন অরাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা রাজ্যপালকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাতে পারেন।

এ প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামী জানালেন, ” যত দূর শুনেছি, অনেক জনজাতি গোষ্ঠী, ব্যবসায়ী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং বিভিন্ন ক্লাব নিজেদের আশা-নিরাশার কথা কেন্দ্রীয় সরকারকে জানাতে চান। তাঁরা হয়তো রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।” রাজ্যপালের সঙ্গে বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা নিজেরা গিয়ে দেখা করার যেমন আবেদন জানাতে পারেন। তেমনি বেশ কিছু বাছাই করা সংগঠনগুলি সরাসরি রাজভবন থেকেও রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করার নির্দেশ মিলতে পারে। এ বিষয়টি জানার পরেই এ বিষয়ে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে বিজেপি।

রাজ্যপালের সঙ্গে এই সংগঠনের প্রতিনিধিরা দেখা করলে লাভ হতে পারে বিজেপির। এছাড়া বিভিন্ন সংগঠনের প্রশাসনের প্রতি বেশ কিছু দাবি-দাওয়া, অভিযোগ থাকবে। যেগুলি রাজ্যপাল জেনে নিয়ে সরাসরি কেন্দ্রের কাছে পাঠিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দিতে পারেন। তবে, জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল নেতৃত্বর মতে এই সমস্ত কিছু করছে বিজেপি তাদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করতেই । এ প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী জানালেন যে, বিজেপি নিজের রাজনৈতিক স্বার্থের জন্যই গণতান্ত্রিক কাঠামো ধ্বংস করে দিতে চায়। তবে, তাঁর দাবি, বিজেপি যতই চালাকি করুক না কেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মানুষ শাসক দল তৃণমূলের পাশেই থাকবেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!