এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > রাজ্যপালকে জোড়া রাইফেল উপহার! বিতর্কে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন রাইফেল ফ্যাক্টরি!

রাজ্যপালকে জোড়া রাইফেল উপহার! বিতর্কে প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন রাইফেল ফ্যাক্টরি!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – উত্তর ২৪ পরগনা জেলাস্থিত ইছাপুর রাইফেল কারখানায় গত ১৮ ই মার্চের দিনটি ছিল অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি ডে’।এ কারণে গত ১৪ ই মার্চ ইছাপুর রাইফেল কারখানায় একটি নির্দেশ জারি করা হয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছিল, কারখানার উচ্চপদস্থ কর্তাদের নির্দেশ অনুযায়ী পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালকে দু’টি থ্রি-নট-থ্রি ‘শর্ট ম্যাগাজিন লি-এনফিল্ড রাইফেল যাদের বডি নম্বর আর-৩৪৯৩ এবং এল-১৪১৭ তা উপহার দেওয়া হবে। এরপর ইছাপুর রাইফেল কারখানা থেকে দুটি থ্রি নট থ্রি রাইফেল রাজ্যপালকে উপহার দেয়া হয়। ইছাপুর রাইফেল কারখানার মুখপাত্র গতকাল মঙ্গলবার রাতে জানিয়েছেন, ১০ দিন আগে একজোড়া রাইফেল উপহার হিসেবে তাঁরা রাজ্যপালের কাছে পাঠিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, কোন আগ্নেয়াস্ত্র উপহার দিতে গেলে সাধারণত আসল না দিয়ে তার প্রতিরূপ দেওয়ার রীতি, কিন্তু এক্ষেত্রে আসল রাইফেল কেন দেওয়া হলো, তা নিয়ে বিতর্ক উঠেছে। অন্যদিকে, কাউকে আসল রাইফেল উপহার দিলে তার যন্ত্রাংশ গত বেশ কিছু বদল ঘটাতে হয়, যাতে তিনি সে রাইফেল ব্যবহার না করতে পারেন। কিন্তু এ ক্ষেত্রে এই বদল কতটা হয়েছে তা নিয়েও যথেষ্ট বিতর্ক আছে। প্রসঙ্গত রাইফেল উপহার দিলে তা সম্পূর্ণ অব্যবহারযোগ্য করে দেবার কথা, কিন্তু পাঠানো রাইফেল দুটি সম্পূর্ণ অকেজো করে দেয়া হয়েছে কিনা তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ ঘনীভূত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রাজ্যপালকে যে দুটি রাইফেল পাঠানো হয়েছে, সেগুলি অফেরৎযোগ্য উপহার হিসেবে কারখানা থেকে পাঠানো হয়েছে। রাইফেল কারখানায় এ জন্য সমস্ত রকম প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তৈরি করতে বলা হয়েছিল। রাইফেলের নোটিংয়ে এই সংস্থার জেনারেল ম্যানেজার, স্টোর সেকশনের প্রধান সহ পাঁচ জন উচ্চপদস্থ আধিকারিকের স্বাক্ষর আছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাইফেল দুটি পাঠানোর আগে সেগুলির পিন ফায়ারিং কেটে ছোট করা হয় হয়েছিল। কিন্তু, সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী কাউকে রাইফেল উপহার দিতে গেলে তার পিন ফায়ারিং কেটে ছোট করা যায় না।কারণ রাইফেলের পিন ফায়ারিং পুনরায় তৈরি করে তা ব্যবহার যোগ্য করা সম্ভব। আবার আসল রাইফেল উপহার দেয়া হলে সে রাইফেলের নল বন্ধ করে দেওয়া হয়, যাতে তা থেকে গুলি না বের হতে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে এটা করা হয়েছে কিনা তা নিয়েও মতভেদ আছে।

আবার সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কাউকে আগ্নেয়াস্ত্র উপহার দিতে গেলে যে ব্যক্তি উপহার দিচ্ছেন, তার স্বাক্ষর থাকা আবশ্যক। সে ক্ষেত্রে উচ্চপদস্থ কর্তারা মেমো নাম্বার এর উল্লেখ থাকবে। কিন্তু এখানে তা নেই। এ প্রসঙ্গে ইছাপুর রাইফেল কারখানার জেনারেল ম্যানেজার দিলীপ কুমার মহাপাত্র জানিয়েছেন যে, সংস্থার প্রধান হিসেবে বহু কাগজপত্রে তাঁকে স্বাক্ষর দিতে হয়। এর ফলে এখানে তিনি স্বাক্ষর দিয়েছেন কিনা, তা তিনি বিস্মিত হয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে রাইফেল কারখানার জনসংযোগ আধিকারিক সৌরভ সিংহ বলেছেন, ” ওই রাইফেলগুলি অতি পুরনো এবং অকেজো। ইছাপুর কারখানা থেকে নিয়ে অর্ডন্যান্স ফ্যাক্টরি বোর্ড তা দিন দশেক আগে রাজভবনকে হস্তান্তর করেছে।’’ কারখানার জনসংযোগ আধিকারিক সৌরভ সিংহ আরো জানিয়েছেন যে, উপহার দেওয়া রাইফেলগুলির পিন ফায়ারিং কেটে দেওয়া হলো কেন, কেনই বা প্রতিরূপের পরিবর্তে আসল রাইফেল দেওয়া হলো, সে বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

ইতিপূর্বে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীনস্ত ইছাপুর রাইফেল ফ্যাক্টরি থেকে আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের অভিযোগ এনেছিল রাজ্য সরকার। সেসময়ে এই কারখানার তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। এবার রাজ্যপালকে রাইফেল প্রদান নিয়ে আবার বিতর্ক শুরু হলো। তবে এই রাইফেল উপহার বিষয়ে গতকাল রাত পর্যন্ত রাজ্যপাল কোন বিবৃতি দেননি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!