এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাখি বন্ধনে ঝাড়গ্রামে ঝড় তুলছে বিজেপি, তৃণমূলের হয়ে মান রাখছেন শুধু শুভেন্দু? শুরু জল্পনা

রাখি বন্ধনে ঝাড়গ্রামে ঝড় তুলছে বিজেপি, তৃণমূলের হয়ে মান রাখছেন শুধু শুভেন্দু? শুরু জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –প্রতিটি রাজনৈতিক দলের কাছেই রাখি বন্ধন জনসংযোগের অন্যতম মাধ্যম। সৌভ্রাতৃত্ব পালনের জন্য এই রাখি বন্ধনের মধ্যে দিয়ে প্রতিটি রাজনৈতিক দল মানুষের হাতে রাখি পরিয়ে সকলের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। তবে এবার করোনা ভাইরাসের কারণে সামাজিক দূরত্ব সহ একাধিক বিধিনিষেধ থাকায় সেভাবে রাখি বন্ধন উদযাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় শাসক দল তৃণমূল থেকে শুরু করে বিরোধী দল বিজেপি নিজেদের মত করে উদ্যোগ নিয়ে মানুষের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে এই রাখি বন্ধনের মধ্যে দিয়ে। তবে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূলের থেকে এবার বিজেপি রাখি বন্ধন কর্মসূচী সবথেকে বেশি চোখে পড়েছে।

কিন্তু বিজেপিকে মাত দিতে তৃণমূলের শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের সমান্তরাল রাখি উৎসব তৃণমূলের হয়ে তীব্র ব্যাটিং করেছে। সূত্রের খবর, সোমবার গোটা ঝাড়গ্রাম জেলা জুড়ে রাখি বন্ধন উৎসব পালন করেন শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা। মাস্ক পরিয়ে, চকলেট বিলি করে মিষ্টি মুখের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে সৌভ্রাতৃত্ব বিনিময় করেন তারা। অর্থাৎ বিজেপি যখন গোটা জঙ্গলমহলে নিজেদের প্রভাব বিস্তারের জন্য রাখি বন্ধন উৎসবকে বেছে নিয়েছে, ঠিক তখনই তৃণমূলের পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা যেভাবে মাঠে নামলেন, তা অবশ্যই নজরকাড়ার মত বিষয় বলেই মনে করছেন সকলে।

জানা যায়, এদিন শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা তাদের গলায় নানাপ্রকার প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়েছিলেন। যার কোনোটাতে লেখা ছিল, “আমার দ্রোনাচার্য না হারতে জানেন, না হারতে শেখান।” “ক্ষমতার জন্য নয়, মানুষের কাজ করার জন্য আমার রাজনীতি। বিনয়ী হও, দুর্বল নয়, শক্তিশালী হও,‌হিংস্র নয়” এই সমস্ত স্লোগান। অর্থাৎ প্ল্যাকার্ডে এই সমস্ত কথা লিখে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা দলকেও বার্তা দিতে চাইলেন। অর্থাৎ এতদিন শুভেন্দু অধিকারী নানা পরিশ্রম দিলেও, সম্প্রতি তিনি গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হবেন বলে মনে করা হলেও তাকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হয়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধুমাত্র কোর কমিটির সদস্য করা হয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে তার অনুগামীরা কিছুটা হলেও ক্ষুব্ধ। তাই জঙ্গলমহলের মত এলাকায় যখন বিজেপি ব্যাপকভাবে রাখি বন্ধন উৎসবে শামিল হয়েছে, তখন তৃণমূলের কাউকে দেখা না গেলেও শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা যেভাবে দলের মুখ বাঁচালেন, তাতে জঙ্গলমহলে শুভেন্দু অধিকারীর প্রভাব ক্রমশ বাড়বে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীদের এই রাখি বন্ধন পালন নিয়ে কি বলছে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব?

এদের এই প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূলের সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, “অঞ্চলে, ব্লকে এবং শহরে দলীয় পতাকা এবং মুখ্যমন্ত্রীর ছবি নিয়ে রাখি বন্ধন হয়েছে। তবে করোনার কারণে জেলা তৃণমূলের কোনো কর্মসূচি হয়নি। ব্যক্তিগত উদ্যোগে কোথায় কী হয়েছে, আমার জানা নেই।” তবে রাজনৈতিক পরিসরে জঙ্গলমহলে কোন রাজনৈতিক দল রাখি বন্ধনের সব থেকে বেশি প্রভাব বিস্তার করল? এদিন এই প্রসঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি অজিত মাইতি বলেন, “পথচলতি মানুষকে রাখি পরানো হয়েছে। মাস্ক দেওয়া হয়েছে। আমরা সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছে।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি সমিত দাস বলেন, “করোনা পরিস্থিতিতে আমরা ঠিক করেছিলাম, এবার সার্বজনীনভাবে রাখি বন্ধন উৎসব পালন করব না। দলের নেতাকর্মীরা অবশ্য যে যার এলাকায় দিনটি পালন করেছেন।” তবে তৃণমূল ঝাড়গ্রামে সেভাবে রাখি বন্ধন উৎসব পালন করতে না পারলেও, যেভাবে শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামীরা নিজেদের মত করে রাখি বন্ধন উৎসব পালন করেছেন, তাতে তৃণমূলেরই লাভ হল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!