এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রক্তের দাম কিভাবে চোকাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী? প্রশ্ন সবার

রক্তের দাম কিভাবে চোকাবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী? প্রশ্ন সবার


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দিল্লির রাজপথে এই প্রবল ঠান্ডার মধ্যে লক্ষ লক্ষ কৃষক এই মুহূর্তে একটানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের বিরুদ্ধে। দলে দলে কৃষক মুষ্টিবদ্ধ হাত আকাশের দিকে ঠেলে দিয়ে করছেন একটাই দাবি- ফিরিয়ে নেওয়া হোক এই কালা কৃষি আইন। কেন্দ্রীয় শিবিরের সঙ্গে কৃষকমন্ডলীর একটার পর একটা বৈঠক হচ্ছে। আজকেও কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমরের সঙ্গে কৃষকদের বৈঠক হয়েছে। কিন্তু তাতেও বিশেষ কিছু সুরাহা বেরোয়নি। কৃষকদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কৃষি আইন যেহেতু কৃষকদের পক্ষে অনুকূল নয় তাই তা সংশোধন নয়, একেবারে বাতিল করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। আর এবার রক্তের ধারা বইয়ে কৃষকরা চিঠি দিল প্রধানমন্ত্রীকে।

তবে সরকারের পক্ষ থেকে আলাপ-আলোচনা চালালেও এখনো পর্যন্ত এরকম কিছু কথা বলা হয়নি যাতে বোঝা যায় কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিল হয়েছে বা হতে চলেছে। বরং কেন্দ্রীয় সরকার কিন্তু কঠোর মনোভাব নিচ্ছেন বলেই জানা যাছে। আর তাই এবার সিংঘু সীমান্তে বিক্ষোভকারী কৃষকেরা রক্ত দিয়ে চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। কৃষি আইন বাতিলের প্রতিবাদে নিজেদের রক্ত দিয়ে খোলা চিঠি লিখলেন দিল্লির রাজপথে বিক্ষোভকারী কৃষকেরা। জানা যাচ্ছে, কৃষকরা প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির কাছে খোলা চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নরেন্দ্র মোদী কৃষকদের দেওয়া ভোটেই।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হয়ে যে তিনটি আইন পাশ করানো হয়েছে, তাতে কৃষকদের সঙ্গে কিন্তু এক পক্ষে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়েছে। তাই প্রধানমন্ত্রীকে কৃষকদের পক্ষ থেকে বিনীত অনুরোধ করা হয়েছে, তিনটি কালা আইন অবশ্যই করেই বাতিল করা হোক। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকার লাগাতার কৃষক সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে দাবী কেন্দ্রীয় মহলের। তবে এরই মধ্যেই কৃষকদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন দেশের বিরোধী শক্তিগুলি। ইতিমধ্যেই রাহুল গান্ধী ঘোষণা করেছেন, কৃষকদের সমর্থন করে তিনি আগামী 24 শে ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত মিছিল করবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিকভাবে রাহুল গান্ধীর এই ঘোষণায কৃষক আন্দোলন অন্য মাত্রা পাবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। জানা যাচ্ছে, কৃষকেরাও নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসতে চলেছেন তাঁদের পরবর্তী অবস্থান কী হবে তাই নিয়ে। তবে কৃষকদের মধ্যে কিন্তু কৃষি আইন নিয়ে ক্ষোভের মাত্রা বেড়েই চলেছে। ইতিমধ্যেই হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের যাত্রাপথে কালো পতাকা দিয়ে রাস্তা অবরোধ করার চেষ্টা করেন কৃষকেরা। যদিও পুলিশি হস্তক্ষেপে বিশেষ কিছু গন্ডগোল হয়নি বলে জানা গিয়েছে।

অন্যদিকে দিল্লি এই মুহূর্তে অবরুদ্ধ হয়ে রয়েছে কৃষকদের বিক্ষোভের জেরে। পরিস্থিতি ক্রমশ হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কৃষকেরাও তাঁদের দাবী থেকে এক চুলও সরতে নারাজ। সংঘাত ক্রমশ বেড়েই চলেছে। দেশের বিভিন্ন স্তর থেকে কিন্তু ইতিমধ্যেই কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন অনেকেই। এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কিভাবে পরিস্থিতি আয়ত্তে আনেন, কৃষকদের রক্তে লেখা চিঠির উত্তর তিনি কি দেন, সেদিকে কিন্তু কড়া নজর রাখছে দেশের ওয়াকিবহাল মহল।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!