এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > রামের পাশাপাশি বামেদের তীব্র আক্রমণ করে গুরুত্ব বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

রামের পাশাপাশি বামেদের তীব্র আক্রমণ করে গুরুত্ব বাড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

সাম্প্রতিক কালে একের পর এক জনসভায় একদা তার প্রবল প্রতিপক্ষ সিপিএমের বদলে বিজেপির উদ্দেশ্যেই কটাক্ষ করতে শোনা গেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু এবারে আর শুধু রাম রূপী বিজেপি নয়, এবার রামের পাশাপাশি বামেদেরও প্রবল ভাষায় বিঁধলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। অনেকে বলছেন, এ যেন 2011 সালের আগের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ক্ষমতায় আসার আগে নেতাই, সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম নিয়ে একের পর এক ইস্যুতে সিপিএমের বিরুদ্ধে প্রবল আন্দোলন গড়ে তুলেছিলেন রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী। একের পর এক জনসভায় বামেদেরর বিরুদ্ধে প্রবল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। আর তারপরই রাজ্যের বাম শাসনের অবসান ঘটিয়ে ক্ষমতায় এসেছে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন তৃনমূল কংগ্রেস।

এদিকে ক্ষমতার মসনদ থেকে বিদায় নেওয়ার সাথে সাথেই ভাঙ্গন ধরেছে সেই বাম শিবিরেও। গুরুত্ব হারিয়েছে বামফ্রন্ট। আর সেই বামেদের বদলে রাজ্যের দ্বিতীয় স্থানে চলে এসেছে বিজেপি। কিন্তু যখন প্রতিটি জনসভায় বিজেপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন মুখ্যমন্ত্রী, ঠিক তখনই সেখান থেকে কিছুটা বাঁক নিয়ে কেন পূর্ব বর্ধমান জেলার প্রশাসনিক সভায় উপস্থিত হয়ে এতদিন পর সিপিএমকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি?

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বর্তমানে সিপিএমের পক্ষ থেকে কৃষকদের নানা দাবি নিয়ে সিঙ্গুর থেকে কলকাতা পর্যন্ত বিশাল লংমার্চ করা হয়েছিল। আর তাই কৃষক দরদী হিসেবে সিপিএম নিজেদের যাতে আর প্রমাণ করতে না পারে সেজন্য এদিন পূর্ব বর্ধমানের কালনার প্রশাসনিক সভা মঞ্চ থেকে সেই সিপিএমের বিরুদ্ধেও নিজের বিরোধিতার সুর চওড়া করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

জানা গেছে, এদিন পূর্ব বর্ধমান জেলার সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান উপস্থিত মানুষদের মধ্যে বেশিরভাগই ছিল কৃষক সমাজ। আর তাই সেইখানে বক্তব্য রাখতে উঠে একদিকে রাজ্যের বর্তমান তৃণমূল সরকার কৃষি ক্ষেত্রে কি কি উন্নয়ন করেছে তা যেমন বিস্তারিতভাবে বললেন মুখ্যমন্ত্রী, ঠিক তেমনি বিগত বাম সরকার এবং বর্তমান কেন্দ্রের বিজেপি সরকার ঠিক কীভাবে এই কৃষক সমাজ কে শোষন করছে তা বলেও আগামী লোকসভা ভোটের আগে সেই কৃষক সমাজকে তৃণমূলের দিকে টেনে আনার চেষ্টা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন এই সভামঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সিঙ্গুরের জমি গ্রাস করা রাঘববোয়ালরা এখন বড় বড় কথা বলছে! নন্দীগ্রাম, নেতাই, সিঙ্গুরে কারা কৃষকদের খুন করেছিল? মাথায় রাখবেন, আমাদের সরকার সেই সিঙ্গুরে কৃষকদের জমি ফিরিয়ে দিয়েছে।” পাশাপাশি কেন্দ্রের বিরোধিতা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “অনেকে প্রচার করছে যে শস্য বীমার প্রিমিয়াম নাকি কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে! এটা একদম ভুল কথা। কৃষকদের শস্য বীমার প্রিমিয়াম আমরা সরাসরি আপনাদের ব্যাংকে দিয়ে দিই। আর ব্যাংক থেকে তা আপনাদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।”

 

অন্যদিকে দক্ষিণবঙ্গের হাওড়া, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান সহ আরও বেশ কয়েকটি জেলার কৃষি সেচের উন্নয়নের জন্য 2768 কোটি টাকা ব্যয়ে নিম্ন দামোদর সেচ প্রকল্পের কাজ খুব তাড়াতাড়ি রাজ্য শুরু করবে বলেও এদিন জানিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি জোর করে কারও কৃষি জমি কেড়ে নেওয়া হবে না বলেও এদিন সকলকে আশ্বস্ত করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্যদিকে রাজ্য সরকারকে বদনাম করবার জন্য কিছু সিপিএমের লোকজন এখনও ভেতরে ভেতরে কাজ চালাচ্ছে বলেও এদিন বিস্ফোরক অভিযোগ করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। সব মিলিয়ে এক দিকে বাম আর অন্যদিকে রাম- বিরোধীদল সিপিএম এবং বিজেপিকে এদিনের প্রশাসনিক সভা থেকে কার্যত কাঠগড়ায় তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ করবার চেষ্টা করলেন যে, বাংলায় বর্তমান শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসই একমাত্র কৃষকদরদী।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!