রাম মন্দির আন্দোলনের ‘প্রথম শহীদ’ কলকাতার দুই যুবকের পরিবারের সদস্যরা ডাক পেলেন ভূমি পূজনে কলকাতা জাতীয় রাজ্য August 4, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –আগামীকাল বহুপ্রতীক্ষিত রাম মন্দিরের ভূমি পুজা অনুষ্ঠিত হবে। গোটা দেশবাসীর কাছে এ এক বাড়তি আবেগ। তবে সেই আবেগকে আরও বাড়িয়ে দিয়ে অযোধ্যায় রাম মন্দির আন্দোলনের জন্য প্রথম শহীদ হওয়া কলকাতার দুই ভাই রাম কোঠারি এবং শারদ কোঠারির পরিবারের কাছে গেল আমন্ত্রণপত্র। 5 আগস্টের অনুষ্ঠানে যাতে সেই পরিবারের সদস্যরা শামিল হন, তার জন্য তাদের আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই গোটা ঘটনায় কোঠারি পরিবারে এখন যে আবেগ এবং অনুভূতি তীব্র আকার ধারণ করেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এদিন আমন্ত্রণপত্র পেয়েই গলা বুজে আসে রাম কোঠারি এবং শরদ কোঠারির বোন পূর্ণিমা কোঠারির। এদিন তিনি বলেন, “দেখুন রাম মন্দির আন্দোলন আমাদের কাছে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা বলে বোঝাতে পারব না। তাদের মৃত্যুর পর 30 বছর কেটে গিয়েছে। আজও মনে হয় তারা আসবে। আমার সঙ্গে কথা বলবে। এখনও রাম ভক্তদের বেশ কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে আমি জড়িত। আমি যাচ্ছি শুনে তারা সকলেই খুব খুশি হয়েছেন। আমার দাদারা বেঁচে থাকলে তারাও নিশ্চয়ই এই অনুষ্ঠানে যেতেন।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে এই ব্যাপারে পূর্ণিমাদেবীর মেয়ে যশস্বিনী বলেন, “পরিবারের পক্ষ থেকে মায়ের সঙ্গে আমি এসেছি। সুযোগ পেলে অবশ্যই আমরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করব।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অযোধ্যার এই আন্দোলনে কলকাতার ভূমিকা সত্যিই অনস্বীকার্য। প্রথমে এই আন্দোলনে শহীদ হয়েছিলেন কলকাতার দুই ভাই রাম কোঠারি এবং শরদ কোঠারি। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে এবার সেই বহুপ্রতীক্ষিত রাম মন্দিরের ভূমি পুজো হলেও, সেখানে আদৌ শহীদ পরিবারগুলোকে ডাকা হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কোঠারি পরিবারে সেই ভূমি পুজোর জন্য আমন্ত্রণ পৌছে যেতেই আবেগঘন হয়ে পড়লেন তারা। প্রিয় দাদাদের আত্মার শান্তি কামনা করে রাম মন্দিরের ভূমি পুজোয় যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করলেন পূর্ণিমা কোঠারি। আপনার মতামত জানান -