এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাম মন্দির মামলা শেষ হতে না হতেই কাশী ও মথুরা ঘিরে নয়া বিতর্ক

রাম মন্দির মামলা শেষ হতে না হতেই কাশী ও মথুরা ঘিরে নয়া বিতর্ক

1992 সালের রাম জন্মভূমি আন্দোলনকে ঘিরে 6 ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ভেঙে তার চূড়ায় গেরুয়া পতাকা তোলে কর সেবকরা। বাবরি মসজিদের জমিকে রাম জন্মভূমি হিসেবে দাবি করা হয় হিন্দু মহাসভার পক্ষ থেকে। বলা হয়, রাম জন্মভূমি আগে থেকেই ছিল। পরবর্তীতে সেই জমিতে মোগল শাসকরা মসজিদ বানিয়েছিলেন।

দেশজুড়ে সেই সময় বাবরি মসজিদ ধ্বংসকে কেন্দ্র করে সাম্প্রদায়িক অশান্তি প্রবল আকার ধারণ করে। যার ফলস্বরূপ সারা দেশে প্রায় 2000 জন মানুষ মারা গিয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী অযোধ্যা মামলার নিষ্পত্তি প্রায় শেষের দিকে। খুব শীঘ্রই এই মামলার রায় প্রকাশ হবে।

নাটকীয় মুহূর্তের মধ্যে দিয়ে সুপ্রিম কোর্টে রাম জন্মভূমি – বাবরি মসজিদ সংক্রান্ত মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। আর কিছুদিনের মধ্যেই এই মামলার রায় ঘোষণা হবে। এই মুহূর্তে শীর্ষ আদালতের নির্দেশের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। এদিকে রাম জন্মভূমি বিতর্কের মাঝেই নতুন করে বিতর্ক উসকে হিন্দু সন্ন্যাসীরা দাবি তুলেছেন। যে দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।

 

ওয়েব পোর্টালে বের হওয়া প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অযোধ্যা মামলা চলাকালীন অল ইন্ডিয়া আখারা পরিষদ জানিয়ে দিয়েছে, কাশী বিশ্বনাথ মন্দির সংলগ্ন যেসব মসজিদ আছে, এবার সেগুলিকে নিয়েও ভাববার সময় এসেছে। বারাণসী মসজিদ এবং শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি সংলগ্ন মসজিদগুলি সরানোর দাবি নিয়ে জোরদার আন্দোলনের রাস্তায় নামতে চলেছে তাঁরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ওই ওয়েব পোর্টালের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে , এক হিন্দু মহান্ত দাবি করেছেন, এই মুহূর্তে উত্তর প্রদেশে গেরুয়া শিবিরের সরকার অর্থাৎ বিজেপি সরকার। ফলে তাঁদের দাবী পূরণের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যাই হবে না।

ওই প্রতিবেদনে হিন্দু মহন্ত নরেন্দ্র গিরিকে উল্লেখ করে এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। যেখানে বলা হয়েছে কাশী ও মথুরাতে শুধুমাত্র হিন্দু মন্দির রাখবার কথা। আর এই দাবিকে উত্তরপ্রদেশের দাপুটে বিজেপি নেতা বিনয় কাটিয়ার সমর্থন করেছেন।

এই মুহূর্তে এই প্রতিবেদনকে ঘিরে দেশজুড়ে চরম বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সম্পূর্ণ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, অযোধ্যা মামলার নিষ্পত্তি নিয়ে এতগুলো বছর কেটে গেছে। সাথে প্রাণের ও সম্পত্তির ক্ষতি আলাদা। আবারো নতুন করে সাম্প্রদায়িক হানাহানি এদেশের মানুষ কখনোই বরদাস্ত করবেনা। তাই এ ধরনের উস্কানিমূলক দাবিকে যদি বিজেপি সমর্থন করে, তাহলে তাঁদের রাজনৈতিক মঞ্চে টিকে থাকা মুশকিল হতে পারে।

তবে রাজনৈতিক বিতর্ক হলেও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তরফে কোনো বিবৃতি রাখা হয়নি। তবে দেশের রাজনৈতিক মহল এখন উৎসুক হয়ে রয়েছে অল ইন্ডিয়া আখারা পরিষদের দাবির কথা মাথায় রেখে বিজেপি সরকার কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

 

যদিও এই খবরের সত্যতা বা সূত্র সম্পর্কে ওই ওয়েব পোর্টালে কিছু লেখা নেই, প্রিয়বন্ধু বাংলার তরফেও এই খবরের সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয় নি। এই প্রবন্ধ সম্পূর্ণরূপে ওই পোর্টালে প্রকাশিত খবরের পরিপ্রেক্ষিতে করা, কোনোভাবেই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয় বা কোনো ব্যক্তি বা দলের সম্মানহানির উদ্দেশ্যে রচিত নয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!