এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাম মন্দির নিয়ে জমি দুর্নীতির অভিযোগের পাল্টা জবাব মন্দির ট্রাস্টের

রাম মন্দির নিয়ে জমি দুর্নীতির অভিযোগের পাল্টা জবাব মন্দির ট্রাস্টের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গতকাল রাম মন্দিরের জমি নিয়ে দুর্নীতির বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছিল সমাজবাদী পার্টি আম ও আদমি পার্টির পক্ষ থেকে। ঘটনা নিয়ে শুরু হয় তীব্র রাজনৈতিক শোরগোল। টুইট করে এর প্রতিবাদ জানান রাহুল গান্ধী। টুইট করে তিনি লিখেন, শ্রীরাম নিজেই হলেন ন্যায়, সত্য ও ধর্ম। তাই এভাবে প্রতারণা করা অন্যায়। অন্যদিকে, শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত এ বিষয়ে রাম জন্মভূমি ট্রাস্টের জবাব দাবি করেন। গতকাল শিবসেনা মুখপাত্র ও সাংসদ সঞ্জয় রাউত জানান যে, রাম মন্দির নির্মাণ হলো মানুষের কাছে একটা বিশ্বাসের ব্যাপার।

প্রভু রাম ও রাম মন্দির আন্দোলন হল বিশ্বাসের ব্যাপার। কারো কাছে এটি রাজনৈতিক বিষয়। মন্দির নির্মাণের জন্য যে ট্রাস্ট গঠন করা হয়েছে, তাদের বিবৃতি দিয়ে জানানো উচিত, যে অভিযোগ উঠেছে, সেই অভিযোগ সত্য না মিথ্যা? তিনি আরো জানান মন্দিরের ভূমি পূজার অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত ও উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। তাই এ ব্যাপারে তাঁদেরও বক্তব্য রাখা প্রয়োজন। এবার অভিযোগের পাল্টা জবাব দেওয়া হলো রাম মন্দির ট্রাস্টের পক্ষ থেকে। ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জানানো হলো, জমি দুর্নীতির এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।

গতকাল সমাজবাদী পার্টি ও আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, এ বছর মার্চ মাসে জমি সংক্রান্ত যে লেনদেন করেছে রাম মন্দির ট্রাস্ট, তা বৈধ নয়। অভিযোগ করা হয়, মার্চ মাসে কোন এক ব্যক্তির কাছ থেকে ২ কোটি টাকার জমি কিনে ১ মিনিটের মধ্যে সেই জমি ট্রাস্ট এর কাছে ১৮.৫ কোটি টাকায় বিক্রয় করা হয়েছে। তাঁরা অভিযোগ করেন, রাম মন্দির গঠনের জন্য মানুষেরা যে অনুদান দিয়েছেন, সেই অর্থ এভাবে লুণ্ঠন করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ প্রসঙ্গে সমাজবাদী পার্টির নেতা তেজনারায়ণ পান্ডে জানান, ২ কোটি টাকার জমি কিনেছিলেন রবিমোহন তিওয়ারি ও সুলতান আনসারী। পরে তাঁরা এই জমি ট্রাস্ট এর কাছে ১৮.৫ কোটি টাকায় বিক্রি করেছেন। আবার, আম আদমি পার্টির নেতা সঞ্জয় সিং জানিয়েছিলেন, দেখা যাচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে জমির দাম ৫.৫ লক্ষ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। কোথাও এত তাড়াতাড়ি জমির দাম বদলে যায় কি? এই অভিযোগ নিয়ে ব্যাপক রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়। একাধিক বিরোধী দলের পক্ষ থেকে কখনো ট্রাস্টকে ঘিরে, কখনো বা বিজেপিকে ঘিরে একের পর এক অভিযোগ উঠতে শুরু করে। এবার সমস্ত কিছুর জবাব দিলো রাম মন্দির ট্রাস্ট।

রাম মন্দির ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি চম্পত রাই জানালেন, এই সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি জানিয়েছেন, রাম মন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত যে সমস্ত জমি কেনা হয়েছে, সে সমস্ত জমি বাজারদরের থেকে কম মূল্যে কেনা হয়েছে। জমি কেনাবেচার বিষয়ে সম্পূর্ণ রকম স্বচ্ছতা রাখা হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে। উপযুক্ত আলোচনার পর চুক্তি করা হয়েছে। যে জমি নিয়ে কথা উঠেছে, সেই জমি অযোধ্যা রেলওয়ে স্টেশনের কাছের জমি। এই জমি কেনার যখন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, তখন তার প্রতি বর্গ ফুটের দাম ছিল ১৪২৩ টাকা।

যা কাছাকাছি অন্যান্য জমির দামের থেকে অনেকটাই কম। দামের বিষয়ে উভয়ে একমত’ হওয়ার পর চুক্তি করা হয়েছে। তার পরেই জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ট্রাস্টের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল যে, সমস্ত টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের দ্বারা লেনদেন করা হবে। জমি কেনার ক্ষেত্রেও তাই করা হয়েছে। সরকারকে সমস্ত রকম করও দেওয়া হয়েছে। এভাবে, রাম মন্দির ট্রাস্টের বিরুদ্ধে ওঠা জমি দুর্নীতির অভিযোগের জবাব দিলেন রাম মন্দির ট্রাস্টের জেনারেল সেক্রেটারি চম্পত রাই। একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর ফলে বিরোধীদের অভিযোগ আর তেমন ধোপে টেকার সম্ভাবনা নেই।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!