রামমন্দিরের প্রসাদ বিলি নিয়ে এবার বাংলার বুকে বড়সড় নতুন বিতর্কে জড়ালো গেরুয়া শিবির! বিজেপি মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য August 23, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাম মন্দির ও তৎ সংলগ্ন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিতর্ক যেন কিছুতেই থামতে চাইছেই না। স্বাধীনতার পরবর্তী কাল থেকে মন্দির- মসজিদ এর মালিকানা নিয়ে চলা দীর্ঘ এই বিতর্ক শেষ পর্যন্ত শান্তির জল ঢালে সুপ্রিম কোর্ট, গত বছরের এক ঐতিহাসিক রায় দানের মাধ্যমে। এরপর সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনেই গত ৫ ই আগস্ট রাম জন্মভূমি অযোধ্যা রাম মন্দির এর ভূমিপূজনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু রাম মন্দির নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ বিভিন্ন, বিতর্ক তখনও যেন থামতে চাইছিল না। এক কংগ্রেস পন্থী সাংবাদিক ভূমিপুজন রোধ করার জন্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ পর্যন্ত হয়েছিলেন, করোনা সংকটকালে মন্দিরের ভূমিপুজা কতটা প্রাসঙ্গিক, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে ছিল বিভিন্ন বিতর্ক, এরপর গত ৫ ই আগস্টের দিনে পশ্চিমবঙ্গে লকডাউন নিয়ে শাসক দল ও বিরোধী দল বিজেপির বাগ্বিতণ্ডা চরমে ওঠে। এবার রাম মন্দিরের প্রসাদ বিতরণ নিয়ে পুনরায় বিতর্ক শুরু হলো। প্রসঙ্গত গতকাল শনিবার বীরভূম জেলার তারাপীঠের মন্দির অযোধ্যার রাম মন্দির এর ভূমি পূজার প্রসাদ বিতরণ প্রসাদ বিতরণ অনুষ্ঠিত করা হয়েছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদের পক্ষ থেকে। অভিযোগ উঠেছে এই অনুষ্ঠানের উদ্যোগতা থেকে শুরু করে প্রসাদ নিতে যাওয়া জনগণের মধ্যে অনেকেই মাস্ক পরিধান করেননি। এমনকি হেলায় উপেক্ষে করেছেন সামাজিক দূরত্ব বিধি। রাজ্যের করোনা সংকটকালে তাদের এই আচরণে করোনা সংক্রমনের সিঁদুরে মেঘ দেখছেন অনেকেই। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - প্রসঙ্গত, রাম জন্মভূমি অযোধ্যার রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর নির্মাণ উপলক্ষে গত ২৮ সে জুলাই পশ্চিমবঙ্গের তারাপিঠ মন্দিরে একটি বিশেষ যজ্ঞের আয়োজন করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তারাপীঠ মহাশ্মশান এর পবিত্র মাটি, সেইসঙ্গে দ্বারকা ও জীবিতকুণ্ডের পবিত্র জল অযোধ্যায় পাঠিয়েছিলেন তাঁরা রাম পূজা উপলক্ষে। এরপর প্রধানমন্ত্রীর হাতে ভূমিপুজা সমাপনের পর সেই পূজার প্রসাদ পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল তারাপীঠে। গতকাল তারাপীঠ তীর্থক্ষেত্রে অযোধ্যা থেকে আসা ভূমি পূজার সেই প্রসাদ বিতরণের ব্যবস্থা করেছিল বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। স্থানীয় সংবাদ সূত্রে জানা গেছে গতকালগতকাল তারাপীঠে ভূমি পূজার এই লাড্ডু প্রসাদ বিতরণী অনুষ্ঠান স্থলে বিন্দু পরিষদ এর কর্মকর্তারা ছাড়াও স্থানীয় বিজেপি নেতা-কর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের উদ্যোগে শেষ পর্যন্ত তারাপীঠ মহাশ্মশান থেকে শুরু হয় প্রসাদ বিলির অনুষ্ঠান। আর এরপরই অভিযোগ ওঠে যে, গতকালের প্রসাদ বিতরণী এই উপস্থিত সাধুসন্ত থেকে শুরু করে, শতাধিক মানুষ সেখানে ভিড় জমান। আর এই ভিড়ে জমায়েত হওয়া অধিকাংশ মানুষেই ছিলেন মাস্কবিহীন। অনুষ্ঠানের কার্যকর্তাদের মধ্যে অনেকের আবার গলায় মাস্ক ঝুলতে দেখা গেলেও, মুখ ছিল সম্পূর্ণভাবে খোলা। এর উপরে প্রসাদ প্রার্থীরা প্রায় হুড়মুড়িয়ে প্রসাদ গ্রহণে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। সাধুসন্ত সহ ১০০ জনেরও বেশি মানুষকে তাড়াহুড়ো করে, হুড়মুড়িয়ে এই প্রসাদ সংগ্রহ করতে দেখা গেছে। করোনা সংকটকালে এই ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিভিন্ন মহলে। রাজ্যে যেখানে সামাজিক দূরত্ব বিধি বলবৎ আছে, সেখানে এভাবে জমায়েত কতটা প্রাসঙ্গিক, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। প্রসাদ বিতরণের এই ঘটনায় বিজেপি নেতৃত্ব ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে তীব্র ভাষায় অভিযুক্ত করে তারাপীঠ অঞ্চলের জনৈক প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা সেইসঙ্গে টিআরডি এর ভাইস চেয়ারম্যান সুকুমার মুখোপাধ্যায়ের বলেছেন, ” মুখ্যমন্ত্রী সংক্রমণ রোধে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। অথচ গেরুয়া শিবির শুরু থেকেই সাধারণ মানুষের কথা না ভেবে এরাজ্যে সংক্রমণ ছড়ানোর চক্রান্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁরা রাজ্য সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে চাইছে। এটা তারই অঙ্গ।” রাজ্যের শাসকদলের তরফ থেকে যখন বিজেপি ও বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে অভিযোগে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে, তখন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের উত্তর বীরভূম জেলা সভাপতি তাপস কুমার ঘোষকে বলতে শোনা গেছে, ” সাধুসন্তদের মধ্যে প্রসাদ বিলির কথা ছিল। কিন্তু আশপাশের অনেকেই চলে আসায় ভিড় জমে গিয়েছিল।” উল্লেখ্য, গতকাল রাম মন্দিরের এই প্রসাদ বিতরণ উপলক্ষে তারাপীঠ অঞ্চলে এত জন মানুষ জড় হলেন, অথচ পুলিশ এই ব্যাপারটি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অজ্ঞাত ছিল। একজন পুলিশকেও দেখতে পাওয়া যায়নি অনুষ্ঠান স্থলে। আপনার মতামত জানান -