এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > রাম রাজত্বের অবসান, শুরু রাবণ রাজত্ব! পদ হারিয়ে তৃণমূল বিধায়ককে তোপ দলীয় প্রভাবশালী নেতার!

রাম রাজত্বের অবসান, শুরু রাবণ রাজত্ব! পদ হারিয়ে তৃণমূল বিধায়ককে তোপ দলীয় প্রভাবশালী নেতার!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস নতুন কমিটির মধ্যে দিয়ে সংগঠনকে চাঙ্গা করার চেষ্টা শুরু করেছিল। কিন্তু এই নতুন কমিটির ফলে যে সমস্ত নেতারা বাদ পড়েছেন, এখন তারা কার্যত দলের বর্তমান কমিটি নিয়ে সরব হতে শুরু করেছেন। আর প্রকাশ্যে তৃণমূল নেতাদের এই বিদ্রোহ ঘোষণা নতুন করে বিড়ম্বনায় ফেলছে ঘাসফুল শিবিরকে। যার ফলে নতুন করে কমিটি তৈরি করে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে কোনো মতেই আটকানো যাচ্ছে না শাসক দলের অন্দরে, তা কার্যত স্পষ্ট তৃণমূলের নিচুতলার কর্মী সমর্থকদের কাছে। এবার পূর্ব বর্ধমান জেলায় তৃণমূলের দুই নেতার গন্ডগোল প্রকাশ্যে চলে এলো।

সূত্রের খবর, পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অমর রাম বনাম কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যেকার বিবাদ এখন চরম আকার ধারণ করেছে। জানা গেছে, এদিন শহর সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে অমর রামকে। আর তার ব্যাপারেই কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের অনুগামীরা তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় অপমান করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন অমরবাবু। যার জেরে এখন ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে অমর রাম বলেন, “রাম রাজত্বের অবসান হয়েছে বলে রটানো হচ্ছে।  কিন্তু রাম রাজত্বের অবসানের পরেও রাবণ রাজত্ব শুরু হয়েছে। দল ভালো বুঝেছে বলেই গত 15 সেপ্টেম্বর আমাকে শহর সভাপতির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে বড় দায়িত্ব দিয়েছে। 16 সেপ্টেম্বর আমার সম্মান নষ্ট করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুজয় দে সামাজিক মাধ্যমে চক্রান্ত করে ছড়িয়ে দিয়েছেন যে, রাম রাজত্বের অবসান হল। সেই পোস্টে রবিবাবুর অনুগামীরা অসম্মানজনক মন্তব্য করেছেন। এসবকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে সামনে আনা হচ্ছে। বিহিত চেয়ে নেতৃত্বকে জানিয়েছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এখানেই প্রশ্ন, সত্যিই তো তাই! নতুন কমিটি হওয়ার সাথে সাথেই কেন তাকে উদ্দেশ্য করে এই রকম মন্তব্য করা হবে? কেন কাটোয়ার বিধায়কের অনুগামীরা অমর রাম কে উদ্দেশ্য করে এই ধরনের মন্তব্য করলেন? এদিন এই প্রসঙ্গে পাল্টা যুক্তি দিয়েছেন কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, “প্রতিটি ক্ষেত্রেই রাজনৈতিকভাবে বিজেপির অপপ্রচার রুখতে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করা হয়েছে। অমরবাবু কেন গায়ে মাখলেন, তা বুঝতে পারছি না। রাবণ উজ্জ্বল পুরুষ ছিলেন। রাম রাজত্বের অবসান বলতে বিজেপিকে বোঝানো হতে পারে। কেউ যদি গায়ে মেখে নেন, তাহলে কিছু করার নেই। তবুও কর্মীদের জিজ্ঞেস করব। তবে আমাদের মধ্যে কোনো গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই।”

আর দলের নতুন কমিটি হওয়ার পরেও যেভাবে দুই নেতা একে অপরকে উদ্দেশ্য করে আক্রমণ করা শুরু করে দিলেন, তাতে বিজেপি যে অনেকটাই ফায়দা তুলতে পারে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। যদিও বা নিজেদের কাদা ছোড়াছুড়ি ঢাকতেই এই ঘটনায় বিজেপিকে জড়ানো হচ্ছে বলে পাল্টা জানিয়ে দিয়েছেন জেলা বিজেপির সভাপতি কৃষ্ণ ঘোষ।

তবে সব মিলিয়ে গোটা ঘটনায় তৃণমূলের দুই নেতার দ্বন্দ্ব যে আবার প্রকাশ্যে চলে এল এবং তার ফলে যে তৃণমূল কংগ্রেস অনেকটাই চাপে পড়ল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, দুই নেতার দ্বন্দ্ব আটকাতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!