এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রামভক্তের হনুমান-প্রেম, বিপর্যয়ের দায় ঘাড়ে আসতেই নয়া পদক্ষেপ কৈলাশের!

রামভক্তের হনুমান-প্রেম, বিপর্যয়ের দায় ঘাড়ে আসতেই নয়া পদক্ষেপ কৈলাশের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  বিজেপির সঙ্গে “জয় শ্রীরাম” শব্দটি অত্যন্ত সম্পৃক্ত। যে কোনো জায়গায় বক্তব্য রাখতে গেলেই বিজেপির রাজ্য থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতাদের গলায় শোনা যায় জয় শ্রীরাম স্লোগান। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই শ্লোগান দিয়ে বাংলার আকাশ বাতাসকে ধ্বনিত করেছিলেন বিজেপির সমস্ত স্তরের নেতা নেত্রীরা। মূলত, 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই রাজ্য বিজেপির পর্যবেক্ষক নিযুক্ত হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। সংগঠন কিভাবে সাজাতে হবে, কিভাবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে, তার সমস্ত ব্লু প্রিন্ট তৈরি করতেন তিনি।

এক্ষেত্রে 2017 সালে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মুকুলবাবুকে অধিক গুরুত্ব দিয়েছিলেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। কিন্তু তার ফল যে ভালো হয়নি, তা নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক দাবি করেছিলেন, এবার 200 আসন পাবে বিজেপি। কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণ করতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। 77 টি আসন পেয়ে থেমে গিয়েছে বিজয়রথ।

অন্যদিকে কৈলাস বিজয়বর্গীয় রাজ্য বিজেপিতে সব থেকে বেশি যে মুকুল রায়কে গুরুত্ব দিতেন, সেই মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে নাম লিখিয়েছেন। স্বাভাবিক ভাবেই কৈলাসবাবুর ভূমিকা নিয়ে এখন প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে। অনেকেই কৈলাস বিজয়বর্গীয়র বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সমঝোতা রয়েছে বলে অভিযোগ করতে শুরু করেছেন।

এমনকি দলের নীচুতলার কর্মী বা অনেক জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে যাতে অবিলম্বে রাজ্যের পর্যবেক্ষক থেকে সরানো হয়, তার জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে কোথায় রয়েছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে সকলের কাছে। তবে খোঁজ পেতেই দেখা গেল, তিনি এখন ব্যস্ত হনুমান ভজনে। ইতিমধ্যেই নিজের টুইটে একটি ছবি পোস্ট করেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, রামভক্ত হনুমানের চরণে 1100 কিলো আম অর্ঘ্য দিচ্ছেন তিনি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, যেভাবে বিতর্ক তাকে গ্রাস করতে শুরু করেছে, তাতে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। বাংলায় তিনি এখন অনেকটাই কোণঠাসা। তার ভুলের জন্যই বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস এত অভূতপূর্ব ফলাফল করেছে বলে দাবি বিজেপির অধিকাংশ নেতৃত্ব। ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতা তথাগত রায় একটি বিস্ফোরক টুইট করেছেন। যেখানে কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে কটাক্ষ করেছেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

স্বাভাবিক ভাবেই অত্যন্ত চাপে পড়ে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ এই নেতা। আর এই পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরেই তাকে দেখতে না পাওয়া নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। তবে এবার টুইটে হনুমান প্রেমে মত্ত হতে দেখা গেল বিজেপির এই শীর্ষ নেতাকে। একাংশ বলছেন, বিতর্ক থেকে নিজেকে দূরে রাখতেই এখন ভগবানের প্রেমে মজেছেন এই বিজেপি নেতা।

পর্যবেক্ষকদের দাবি, বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আশাবাদী ছিলেন এবার বাংলা দখল করার ব্যাপারে। যার কারণে সেতুবন্ধনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল মধ্যপ্রদেশের কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। দীর্ঘদিন ধরেই বাংলার সংগঠনের দেখভাল করছিলেন তিনি। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বিজেপি বিরোধী দলের জায়গা দখল করার পর সেই কৈলাস বিজয়বর্গীয় যাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েছিলেন, সেই মুকুল রায় চলে গিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে।

তাই এরপর থেকেই বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার দিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে গোপন আঁতাত রয়েছে বলে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে দেখা যাচ্ছে বিজেপি নেতা, কর্মীদের। আর কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে যখন এই অভিযোগ উঠছে, তখন কৈলাসবাবুর প্রতিক্রিয়া পেতে রীতিমত হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াতে হয়েছে সাংবাদিকদের। কিন্তু কোথাও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।

অবশেষে টুইটে হনুমান ভজনে মত্ত হতে দেখা গেল এই বিজেপি নেতাকে। তাহলে কি বিতর্ক থেকে দূরে থাকতেই এখন তিনি ভগবানের শরণাপন্ন হয়েছেন? কবে তাকে আবার সক্রিয় রাজনীতিতে দেখা যাবে, কি করবেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়, এখন এই প্রশ্নই তৈরি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!