এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > করোনা আবহে কিভাবে পালন করতে হবে পবিত্র রমজান মাস? স্পষ্ট নির্দেশ দিলেন দিল্লির শাহী ইমাম

করোনা আবহে কিভাবে পালন করতে হবে পবিত্র রমজান মাস? স্পষ্ট নির্দেশ দিলেন দিল্লির শাহী ইমাম

সারা দেশ জুড়ে এই মুহূর্তে করোনার হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাকে গুরুত্ব দিয়ে চলছে দ্বিতীয় দফার লকডাউন। এই মুহূর্তে দেশের প্রত্যেকটি জায়গায় যাতে লকডাউন এর নিয়ম বিধি মেনে চলা হয়, তার দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। এই পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি আনা ছাড়া প্রত্যেকটি মানুষকে অনুরোধ করা হচ্ছে বাড়িতে থাকার জন্য। অন্যদিকে আগামী 24 শে এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে রমজান মাস।

এই রমজান মাসের পুরোটাই প্রধানত মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা সারাদিন উপোস করে সন্ধ্যাবেলা একসাথে সবাই মিলে নামাজ পড়ে এবং ইফতারে মেতে ওঠে। কিন্তু এবার করোনা পরিস্থিতির সংকটকালে দেশবাসী গৃহবন্দী। এবং লকডাউনের বিধিনিষেধ মেনে চলার জন্য প্রত্যেকের উপর কড়া নির্দেশিকা জারি আছে। সেই কথা মাথায় রেখেই এবার দিল্লির জামা মসজিদের ইমাম সৈয়দ আহমেদ বুখারি বাড়িতে থেকে রমজান উৎসব পালনের নিদান দিলেন।

বৃহস্পতিবার এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘যদি আমরা সরকারি নির্দেশ মেনে চলি তাহলে দ্রুত কোভিড-১৯ (COVID-19) কে সমূলে ধ্বংস করতে পারব। রমজানের পবিত্র মাস শুরু হতে চলেছে। এই সময়ে আমরা বাড়িতে থেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই প্রার্থনা ও সমস্ত কাজ করব। এই নিয়ম মেনে চললে আমরা সবাইকে করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচাতে পারব।’ অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভারতের করোনা পরিস্থিতি ক্রমাগত এতটাই খারাপ হয়ে উঠেছে, যে লকডাউন চললেও তার মাঝেও অবিরত বেড়ে চলেছে সংক্রামি্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

গত 27 মার্চ সৈয়দ আহমেদ বুখারি জানিয়েছিলেন, জামা মসজিদের তিনটি গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে যাতে জনসমাগম বন্ধ হয় মসজিদে। তখনই সৈয়দ আহমেদ বুখারি সবাইকে বাড়িতে বসে নামাজ পড়ার কথা জানিয়েছেন বলে দাবী করেন।   আপাতত দেশে জারি হওয়া নিষেধাজ্ঞা মেনে চললে যে সাধারণ মানুষের লাভ হবে সে কথা জানাতে ভোলেননি জামা মসজিদের ইমাম। তবে দেশের মুসলম সম্প্রদা্যের প্রত্যেককে বাড়িতে থেকে যাতে রমজান মাস পালন করার অনুরোধ আগেই করেছিলেন কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রী মুক্তার আব্বাস নাকভি। অন্যদিকে দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার।

কিন্তু সবথেকে বড় সমস্যা হলো, করোনার বিরুদ্ধে এখনও পর্যন্ত লড়াইয়ের হাতিয়ার মানুষের হাতে আসেনি। অর্থাৎ কোনো প্রতিষেধক এখনো আবিষ্কার হয়ে ওঠেনি। যদিও বিশ্বের বিভিন্ন কোণে বিজ্ঞানীরা প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন, করোনার প্রতিষেধক আবিষ্কার করার। এই অবস্থায় বিশেষজ্ঞরা সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সংক্রমণ কমানোর দিকে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আগেই। আর সেই ইঙ্গিত মেনেই সারা বিশ্ব জুড়েই লকডাউন জারি রয়েছে এখনো এবং বেশীরভাগ মানুষই লকডাউনের নিয়মকানুন মেনেই বাড়িতে থাকছেন বলে জানা গেছে। আপাতত ভারতবাসীর মনে এখন একটাই চিন্তা, কবে করোনামুক্ত হবে আমাদের দেশ ভারতবর্ষ!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!