ক্রিকেট ‘ঈশ্বরের’ মহাগুরুর মহাপ্রস্থান, দ্বিতীয়বার পিতৃহারা হলেন সচিন তেন্ডুলকার খেলা বিশেষ খবর January 2, 2019 কোটির ভিড়ে ক্রিকেট ঈশ্বরকে খুঁজে বের করেছিলেন রমাকান্ত আচরেকর। গোটা বিশ্ব তাঁকে চিনত মাস্টার ব্লাস্টারের কোচ হিসেবে। বছরের শুরুতেই নিভল সেই কিংবদন্তি কোচের জীবনদ্বীপ। বুধবার ৮৬ বছর প্রয়াত হলেন মুম্বইকর। শচীন তেণ্ডুলকরের সঙ্গে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে গিয়েছিল মানুষটির নাম। নিজের প্রথম কোচের নানা কাহিনী বহুবার ভক্তদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার। সেরা শিষ্যকে একা করে পরলোকে পাড়ি দিলেন রমাকান্ত আচরেকর। ক্রিকেটার হিসেবে সেভাবে খ্যাতি না পেলেও কোচ হিসেবে তাঁর নাম ভারতীয় ক্রিকেটে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। মুম্বইয়ের দাদারের শিবাজি পার্কে বহু নক্ষত্র খুঁজে বের করেছেন তাঁর প্রবল দুরদর্শিতা এবং বিচক্ষণতা দিয়ে। সচিন তেণ্ডলকর ছাড়াও বিনোদ কাম্বলি, অজিত আগরকর, বলবিন্দর সিং সান্ধু, সঞ্জয় বাঙ্গারের মতো ভারতীয় ক্রিকেটের নক্ষত্রদের ছোটবেলার কোচ ছিলেন তিনি। এছাড়াও মুম্বইয়ের দাদরে শিবাজি পার্কে তাঁর কোচিংয়ে একাধিক প্রথম সারির ক্রিকেটার উঠে এসেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। গত কয়েকদিন ধরে তাঁর শারীরীক অবস্থার অবনতি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত নতুন বছরের শুরুতেই চলে গেলেন আচরেকর। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বুধবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ নিজের বাড়িতেই জীবনাবসান হয় এই প্রবাদপ্রতিম ক্রিকেট কোচের। সচিনের জীবনের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে তিনি আদর্শ গুরুর মতোই হাজির ছিলেন ছাত্রের পাশে। সচিনের জীবনের শেষ টেস্ট হোক বা আত্মজীবনী প্রকাশ, গুরু আচরেকর অসুস্থতা সত্ত্বেও সচিনের পাশে থেকেছেন বরাবর। এমন গুরুর চলে যাওয়া স্বাভাবিকভাবেই সচিনের জীবনে বড় শূন্যস্থান তৈরি করে দিয়ে গেল। ১৯৩২ সালে জন্মগ্রহণ করা আচরেকরের হাতে গড়া সচিন তেণ্ডুলকরের বিশ্ব ক্রিকেটের মহীরুহ হয়েছেন। সচিন কখনও গুরুর প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে কার্পণ্য করেননি। প্রতি বছর শিক্ষক দিবসে নিয়ম করে হাজির হয়েছেন গুরুর বাড়িতে। ১৯৯০ সালে দ্রোনাচার্য পুরস্কারে ভূষিত হন আচরেকর। ক্রীড়াক্ষেত্রে অনস্বীকার্য অবদানের জন্য ২০১০ সালে পদ্মশ্রী সম্মানও পান। একাধিকবার একাধিক সাক্ষাৎকারে সচিন স্বীকার করেছেন, গুরু আচরেকরই তাঁকে নিয়ম-নিষ্ঠা ভরে ক্রিকেটের পুজো করা শিখিয়েছেন। আচরেকরের দৌলতেই তিনি এতটা শৃঙ্খলাপরায়ণ হতে পেরেছেন। বেশ কয়েক বছর আগে সচিনের দাদা অজিত তেণ্ডুলকর জানিয়েছিলেন, আচরেকরের পরামর্শেই ব্যাটিং অর্ডারে চার নম্বর জায়গা ধরে রেখেছিলেন সচিন। মুম্বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় সচিনকে নিজের স্কুটারে চাপিয়ে ম্যাচ খেলাতে নিয়ে যেতেন আচরেকর। সচিন তেণ্ডুলকরের মধ্যে ভবিষ্যতের তারকা হয়ে ওঠার সম্ভাবনা সর্বপ্রথম আচরেকরই দেখতে পেয়েছিলেন। সেই মহাগুরুর মহাপ্রয়াণে দ্বিতীয়বার পিতৃহারা হলেন ক্রিকেটের ঈশ্বর। আপনার মতামত জানান -