এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > রামে যাওয়া ভোট পুনরায় বামে ফেরাতে মরিয়া জোটের নেতারা এখন থেকেই কোমর বেঁধে আসরে নেমে পড়লেন

রামে যাওয়া ভোট পুনরায় বামে ফেরাতে মরিয়া জোটের নেতারা এখন থেকেই কোমর বেঁধে আসরে নেমে পড়লেন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে বামেদের ভোট বিজেপিতে যাওয়ার কারণেই অনেক আসনে তারা পর্যুদস্ত হয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের। এক্ষেত্রে নির্বাচনের পরবর্তী সময়কালে বারবার বামেদের ভোট যাতে তাদের দিকেই থাকে, তার জন্য সিপিএম সহ গোটা বাম শিবিরকে আবেদন করতে দেখা গেছে তৃণমূলের অনেক নেতা-নেত্রীকে। তবে এবার বাস্তব পরিস্থিতি উপলব্ধি করে গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির দিকে চলে যাওয়া ভোট যাতে তাদের দিকেই থাকে, তার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করল বামফ্রন্ট।

বস্তুত, এবারে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে নিজেদের মধ্যে জোটের ব্যাপারে আলোচনা শুরু করে দিয়েছে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস। তাই সেদিক থেকে যে কোচবিহার জেলা এককালে তাদের শক্ত ঘাঁটি ছিল, সেই কোচবিহার জেলায় নিজেদের ভোট নিজেদের দিকেই রাখতে এখন চেষ্টা শুরু করে দিয়েছে বাম শিবির। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, 1977 সাল থেকে 2011 সাল পর্যন্ত কোচবিহার জেলায় বামেদের বিকল্প কেউ ছিল না। ফরওয়ার্ড ব্লক এবং সিপিএমের সংগঠন অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল এই জেলায়।

কিন্তু এরপর 2011 সালে রাজ্যে পালাবদলের সাথে সাথেই ধীরে ধীরে এখানে বামেদের সংগঠন প্রশ্নচিহ্নের মুখে পড়তে শুরু করে।বাম এবং কংগ্রেসের শক্তি ক্ষয় হতে শুরু করে। পরবর্তীতে গত লোকসভা নির্বাচনের সময় থেকে বিজেপি তৃণমূলের বিরোধী শক্তি হিসেবে এখানে উঠে আসে। যেখানে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র দখল করে ভারতীয় জনতা পার্টিঋ এককালে যে বিধানসভা আসনগুলোতে জয়লাভ করেছিল বামফ্রন্ট, সেখানে এগিয়ে থাকতে দেখা যায় ভারতীয় জনতা পার্টিকে।

আর তারপর থেকেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, বামেদের ভোট বিজেপিতে যাওয়ার কারণেই অনেক কারণে বিজেপি এগিয়ে যেতে শুরু করেছে। তবে তা যাতে আর আগামী বিধানসভা নির্বাচনে না হয় এবং নিজেদের সংগঠনকে যাতে শক্তিশালী করা যায়, তার জন্য এখন থেকেই প্রচেষ্টা শুরু করে দিল বামফ্রন্ট বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের। অনেকে বলছেন, বামেরা উপলব্ধি করতে শুরু করেছে, যদি এবারের নির্বাচনে তারা মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, তাহলে তাদের অস্তিত্ব আরও সংকটের মুখে পড়ে যাবে। তাই এবার নির্বাচনের আগে এখন থেকেই বিজেপিতে চলে যাওয়া ভোট নিজেদের দিকে রাখতে প্রধান রণকৌশল তৈরি করতে শুরু করেছে তারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা সিপিএমের সম্পাদক অনন্ত রায় বলেন, “আমরা প্রচারে নেমে পড়েছি। বাম এবং কংগ্রেসের একাধিক বৈঠক হয়েছে। কেন্দ্র এবং রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে আমাদের প্রচার চলছে। আমরা মহা মিছিল করেছি। এছাড়াও হাটমিছিল ও পথসভা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই আমরা জেলাশাসকের দপ্তরে বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিক্ষোভ অবস্থান করব। আমরা চেষ্টা করছি, এবারে জোট যাতে সার্বিক জোট হয়। বাম, কংগ্রেস এবং ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিগুলোকে আমরা আহ্বান জানিয়েছি।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে ফরওয়ার্ড ব্লকের কোচবিহার জেলা সভাপতি দীপক সরকার বলেন, “আমাদের কর্মীরা কয়েক বছর ধরে সংগঠনকে শক্তিশালী করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার ফলস্বরূপ অনেক বসে যাওয়া, দূরে সরে যাওয়া কর্মীরা ফিরে এসেছেন। আমরা সংগঠনকে অনেকটাই গুছিয়ে নিয়েছি। বিভিন্ন আন্দোলন সংগঠিত করার মধ্য দিয়ে আমাদের শক্তি অনেকটাই বেড়েছে। বহু কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে। ফলে আশা করছি, দলকে আরও শক্তিশালী করা যাবে। কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের ব্যাপারে আলোচনা চলছে।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে কোচবিহার জেলা কংগ্রেসের সভাপতি কেশব রায় বলেন, “বাম-কংগ্রেসের কর্মসূচি চলছে। বামেদের মত আমরাও প্রচারে নেমে পড়েছি।”

তবে বামেদের পক্ষ থেকে বা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, লোকসভা নির্বাচনে যে ভোট বিজেপির দিকে চলে গেছে, তা আদৌ তারা ফিরে পাবে কিনা, এখন সেটাই বড় চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে শিবিরের কাছে। যারা পদ্মফুলে ভোট দিয়েছেন, তারা বিধানসভার মত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে বিজেপিকে ছেড়ে বাম বা কংগ্রেসের দিকে আদৌ সমর্থন দেবেন কিনা, তা যথেষ্ট প্রশ্নচিহ্নের বিষয়। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, রামে চলে যাওয়া ভোট বামেরা নিজেদের দিকে ফিরিয়ে আনতে কতটা সক্ষম হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!