প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একটা সময় বাবরি মসজিদ কাণ্ড নিয়ে ধুন্ধুমার পড়ে গেছিল দেশজুড়ে। অবশেষে দীর্ঘসময়ের লড়াইয়ের পর কোর্ট কাছারি পেরিয়ে অযোধ্যায় বির্তকিত জমিতে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য হয়ে গেল ভূমি পূজা ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন। বিতর্কের এখানেই শেষ- যাঁরা ভাবছেন, তাঁরা অবশ্যই ভুল ভাবছেন। কারণ রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তরের পরেই নতুন করে আবার বিতর্ক তৈরি করেছেন অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সংখ্যালঘু নেতা সাজিদ রশিদী।

অযোধ্যার ভূমিপূজা সম্পন্ন হওয়ার 24 ঘণ্টার মধ্যেই অল ইন্ডিয়া ইমাম অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট সাজিদ রশিদী পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন, মসজিদ ভেঙ্গে অন্য কিছু তৈরি করা যায় না। তাই বিতর্কিত জমিতে মসজিদ ছিল আর থাকবে। এই কথা নিয়ে এবার শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা রাজনৈতিক মহলে। অনেকের মনেই প্রশ্ন, তাহলে কি এইবার সাজিদ রশিদী মন্দির ভেঙে মসজিদ গড়ার লক্ষ্যের কথা বলতে চাইছেন? আর তা যদি হয়, তাহলে ভারতের বুকে কিন্তু আরেকবার ঝড় উঠবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অন্যদিকে আসাদউদ্দিন ওয়াইসি সম্প্রতি একটি পোস্ট করেছেন, যেখানে তিনি বলেছেন- মন্দির নিয়ে যেমন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন তিনি আবেগঘন, ঠিক সেরকমই আসাদুদ্দিন নিজেও সেরকম আবেগঘন হয়ে পড়েছেন কারণ, যেখানে মন্দির হচ্ছে সেখানে সাড়ে চারশ বছরের একটি মসজিদ ছিল। আর আসাদউদ্দিনের এদিনের এই পোষ্ট নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন করে বিতর্ক। অনেকেরই দাবি, আসাদউদ্দিনের এই পোস্ট নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে সমাজের ওপর এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তাতে বাধা প্রাপ্ত হবে।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি হিন্দু সেনারা দিল্লি পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাম মন্দির সম্পূর্ণ হয়ে গেলেও তাকে নিয়ে বিতর্ক কিন্তু চলতেই থাকবে। অন্যদিকে মুসলিমদের মসজিদ তৈরি করার জন্য ইতিমধ্যে 5 একর জমি দেওয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। তবে সেই জমিতে শোনা যাচ্ছে, মুসলিম লীগ সম্প্রদায় হাসপাতাল তৈরি করবেন। কিন্তু আমরা সবাই জানি, বিতর্ক যেখানে বেশি সেখানেই কৌতূহলও বেশি। তাই বোঝাই যাচ্ছে, সারা দেশের কৌতুহল এখন অযোধ্যার দিকে।