এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > দিলীপ-মুকুলের ভিন্ন ভাবে রামনবমী উদযাপন নিয়ে মত বিরোধ রাজনৈতিকমহল

দিলীপ-মুকুলের ভিন্ন ভাবে রামনবমী উদযাপন নিয়ে মত বিরোধ রাজনৈতিকমহল


রামনবমী উদযাপনে বিজেপিতে নেতৃত্ত্বের দুই ঘরানা দেখালেন দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়। অস্ত্র নিয়ে মিছিল করা যাবে না এই নিয়ে বার বার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন যে কোথাও যেন অস্ত্র নিয়ে মিছিল না হয় তা দেখতে। কিন্তু তা না মেনে এদিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অস্ত্র নিয়ে মিছিল করেছেন।কিন্তু এদিন আবার মুকুল রায় মিছিল করেছেন তবে অস্ত্র ছাড়া। আর এই নিয়েই রাজনৈতিকমহল দুই ভাগ হয়েছে সমালোচনায়।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

একদলের মতে এক দলে থাকলেও, তাঁদের যে মতের মিল হচ্ছে না তা আবার স্পষ্ট। যেখানে দিলীপ ঘোষ থেকে লকেট চ্যাটার্জী অস্ত্র নিয়ে মিছিল করলেন সেখানে মুকুল রায় অস্ত্র না নিয়ে মিছিল করলেন। যদিও দিলীপবাবু ঘোষণা করেছিলেন তাঁর দলের সব নেতা নেত্রী রাম-নবমীর মিছিলে অস্ত্র নিয়ে হাঁটবেন। তাই মতপার্থক্য স্পষ্ট। অন্য আর এক দিকের মতে এসব কিছুই নয় অযথা জল ঘোলা হচ্ছে কেননা একদিকে দিলীপ ঘোষ দেখালেন যে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর ভয়ে ভীত নন। আর অন্যদিকে মুকুল রায় বাড়ালেন জনসংযোগ। তাছাড়া এদিন মমতা বন্দোপাধ্যাকেও সুকৌশলে চাপে ফেললেন মুকুলবাবু। এদিন তিনি মিছিল থেকেই রাম জন্মস্থানে রামমন্দির স্থাপন করার দাবিতে সোচ্চার হতে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তাঁর প্রাক্তন নেত্রীকে। ফলে এখানেও ‘চানক্য’ দাবার চালটা ঠিকঠাক জায়গায় দিয়েছেন বলেই মত ওই সংশ্লিট রাজনৈতিকমহলের। আবার অনেকে বলছেন এটা এটা আসলে বিজেপির ‘মাস্টারস্ট্রোক’। কেননা দলে দিলীপবাবু ও মুকুল রায়ের বনিবনা হচ্ছে না এটা যদি তৃণমূলকে বোঝানো যায় তবে বঙ্গ বিজেপিকে কিছুটা হলেও কম গুরুত্ত্ব দেবে তৃণমূল। কেননা তৃনমূল যদি বিশ্বাস করে যে মুকুলবাবু আর দিলীপবাবুর জোর দ্বন্দ্ব চলছে সংগঠন ছেড়ে শুধু নিজেদের ‘ইগোর’ লড়াই নিয়েই ব্যস্ত তবে ভেতরে ভেতরে ঘুঁটি সাজানোটা অনেক সহজ হবে বিজেপির ক্ষেত্রে। তবে আসলে কোনটা সত্যি তা এখনো স্পষ্ট করে কেউই বলতে পারছেন না, জানে শুধু বঙ্গ বিজেপি আর জানেন বঙ্গ বিজেপির দুই শীর্ষনেতা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!