এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > গোষ্ঠীদ্বন্দ প্রকাশ্যে,দফতরের সামনেই নিগৃহীত দলের সভাপতি, অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির

গোষ্ঠীদ্বন্দ প্রকাশ্যে,দফতরের সামনেই নিগৃহীত দলের সভাপতি, অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির


রাজনৈতিক দলগুলোর সুবাদেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব খুব পরিচিত শব্দ আমাদের কাছে। এই মুহূর্তে বরাবরই শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ ওঠে। যার কারণে বহু সমস্যার সমাধান হয়। এতদিন পর্যন্ত রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে তাদের প্রতিনিয়ত কটাক্ষ করেছে।

এবার সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব হানা দিয়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপির অন্দরমহলে। ইতিমধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বকে। তা সত্ত্বেও গোষ্ঠীদ্বন্দের ঘটনা একটার পর একটা ঘটেই চলেছে প্রধান বিরোধী দলের অন্দরে। এবারের ঘটনা ঘটে রানাঘাটে।

বিজেপির এক কর্মী ও তার ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠল রানাঘাটে বিজেপির জেলা সভাপতিকে নিগ্রহ করার। ঘটনা জানাজানি হতেই চরম অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। এই ঘটনায় বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামনে এসে। সূত্রের খবর বিজেপি নদীয়া দক্ষিণ জেলা সভাপতি মানবেন্দ্র রায় এবং রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সদস্য জগন্নাথ সরকারের দুই গোষ্ঠী একে অপরের বিরুদ্ধগোষ্ঠী বলেই পরিচিত। যদিও জেলা বিজেপি নেতৃত্ব এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা কোনমতেই মানতে চায়নি।

রানাঘাটে 34 নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে রানাঘাট দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার কার্যালয়ে বুধবার দুপুরে একটি সাংগঠনিক বৈঠক ছিল। সেই বৈঠকে মানবেন্দ্র রায় ও জগন্নাথ সরকার ছাড়াও সংগঠনের আরো অনেক নেতা ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। বিজেপি সূত্রের খবর, বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার মাঝেই উত্তেজনা তৈরি হয়। এরপর জেলা সভাপতি বৈঠক ছেড়ে নিজের গাড়িতে উঠতে গেলে তাকে রীতিমতো অপদস্থ ও হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ।

শুধু তাই নয়, সভাপতির এক সঙ্গীর জামাও ছিঁড়ে দেওয়া হয়। সভাপতিকে হেনস্তার অভিযোগ ওঠে বিজেপির নিচুতলার দুই কর্মীর বিরুদ্ধে। সম্পর্কে তাঁরা বাবা ও ছেলে। দলীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গেছে, যখন দলীয় কার্যালয়ের বাইরে এই হেনস্তার ঘটনাটি ঘটছে তখন দলীয় কার্যালয়তেই জগন্নাথ বাবু উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে জেলা সভাপতি মানবেন্দ্র রায় জানিয়েছেন, তিনি সভাপতি হওয়ার পর থেকেই কিছু মানুষের দলীয় কার্যালয়ের ওপর থেকে দখলদারি সরে যায়। সেই ক্ষোভ থেকেই তাঁর ওপর নিগ্রহ হয়েছে বলে তিনি জানান। মানবেন্দ্র বাবু কয়েকজনকে নিয়ে রানাঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ জানাতে যান।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পরে অবশ্য তিনি অভিযোগ না জানিয়ে ফিরে আসেন। এ প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি দলের অভ্যন্তরীণ এবং ঘটনাটি দল দেখছে। এখানে ব্যক্তি মানবেন্দ্রর কোন বক্তব্য নেই। অন্যদিকে জগন্নাথ বাবু জানিয়েছেন, এ ধরনের কোনো ঘটনার কথা তিনি জানেন না। অন্তত তাঁর সামনে কিছু ঘটেনি।

সামনে রয়েছে পুর নির্বাচন। আর ঠিক তার আগেই বিজেপি দলের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থামাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে রাজ্য নেতৃত্বকে। গত লোকসভা ভোটে বিজেপি শিবির থেকে রানাঘাটে জয়লাভ করে। তৃণমূলের থেকে তারা প্রায় আড়াই লক্ষ ভোটে এগিয়ে ছিল। বিপুল ভোটে জয়লাভ করার পর থেকেই রানাঘাটে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দিয়েছ। জগন্নাথ সরকার সংসদের সদস্য হয়ে যাওয়ায় তার জায়গায় সহসভাপতি হয়েছেন মানবেন্দ্র রায়। আর এরপর থেকেই সাংসদ সদস্য ও জেলা সভাপতির গোষ্ঠীর মধ্যে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, দলেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব  আগামী পুরসভা ও বিধানসভা ভোটে মানুষের মনে প্রভাব ফেলতে পারে । রাজ্য নেতৃত্বের এই মুহূর্তে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে আসু সমাধান করা উচিত।

 

তাই যে দল শুধুমাত্র সাংগঠনিক জোরে ক্ষমতা দখলের লড়াই লড়ছে, তাঁদের এই মুহূর্তে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব অনেক বড় ক্ষতি করে দিতে পারে। তাই এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের নিকেশ হওয়া এই মুহূর্তে অত্যন্ত জরুরী। সমস্ত ঘটনার ওপর নজর রেখেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। তবে এই মুহূর্তে প্রকাশ্যে তাঁরা এই বিষয় নিয়ে কোনো কথা বা আলোচনা করছেন না।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!