এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে- বিজেপির দাবি ঘিরে শোরগোল

রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে- বিজেপির দাবি ঘিরে শোরগোল

মহারাষ্ট্রে সরকার গড়া নিয়ে বিতর্ক এখনো অব্যাহত। 21 অক্টোবরের নির্বাচনের পর বেশ কিছুদিন কেটে গেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সরকার গড়া নিয়ে কেউই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। বিধানসভা নির্বাচনে দেখা গেছে, বিজেপি শিবসেনার সাথে যৌথভাবে মহারাষ্ট্রের সরকার গড়ার পথে ম্যাজিক সংখ্যাটি পেড়িয়েছে। কিন্তু এককভাবে তাঁরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি। কিন্তু এর পরেই সমস্যা তৈরি হয়। শিবসেনার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ফিফটি-ফিফটি নিয়ম মেনে মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। আর এই দাবি নিয়ে শুরু হয় যাবতীয় সমস্যা মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে।

মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এবার উঠে এসেছে নতুন আশঙ্কা। 7 নভেম্বরের মধ্যে যদি সরকার গড়া না যায়, তাহলে মহারাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে বলে জানা গেছে। শুক্রবার মহারাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা সুধীর মুনগান্তিওয়ার একথা জানান। মহারাষ্ট্রের নির্বাচনের শেষে আট দিন হয়ে গেছে, কিন্তু এখনো পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর সমস্যা নিয়ে কোনো সমাধান হয়নি।

অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক শিবিরের একাংশের দাবি, বিজেপি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর আসন পেতে চাইলে শিবসেনার হাত ধরতেই হবে। কিন্তু এই সুযোগটি কাজে লাগাচ্ছে শিবসেনা শিবির। ভোটের আগে ফিফটি-ফিফটি শর্ত নিয়ে তাঁরা জোট করেছিল বলে জানিয়েছে।বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল শেষে তাঁরা তাদের দাবি নিয়ে মুখর হয়।

সরকার গড়ার ক্ষেত্রে সমাধান সূত্র দিওয়ালীর পর বের করা হবে বলে সে সময় জানায় বিজেপির হাইকমান্ড। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কোনো রফাসূত্র বেরোয়নি। অন্যদিকে 8 নভেম্বর বিধানসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে মহারাষ্ট্রে। তাই এর মাঝে বিজেপি নেতার কথার মাধ্যমে যে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, তা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

এই প্রসঙ্গে সুধীর মুনগান্তিওয়ার জানান, ‘মারাঠা জনগণ আমাদের জোটের পক্ষেই রায় দিয়েছে।’ কিন্তু শিবসেনার সাথে পদ্ম শিবিরের মহারাষ্ট্রের সরকার গড়া নিয়ে যে চাপানউতোর চলছে, সে প্রসঙ্গে সুধীর জানান, ‘আমাদের জোটের জোর ফেবিকল কিংবা অম্বুজা সিমেন্টের থেকেও শক্তিশালী।’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আরও বলেন, ‘সরকার এরমধ্যেই গড়া হবে। নয়তো সময়সীমা পার হয়ে গেলে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে।’ অন্যদিকে কথা ওঠে, মুখ্যমন্ত্রী আসনের জন্য সবথেকে বড় বাধা শিবসেনার ফিফটি ফিফটি শর্ত। এব্যাপারে সুধীর শুধু বলেন, ‘আমরা তো আগেই দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এর নাম ঘোষণা করেছি।’

তবে মহারাষ্ট্রের সরকার গড়ার জটিলতা প্রসঙ্গে এদিন সুধীর জানিয়েছেন, বিজেপি ও শিবসেনা দুই দলই সদর্থক ভূমিকা নেবে মহারাষ্ট্রের সরকার গড়তে। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, ‘আমরা যারা রাজ্যের নেতারা আছি তাঁরা সবাই একসঙ্গে বসব। যত দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করব। কারণ জোটের থেকেও বড় কথা আমাদেরকে মারাঠা জনগণ ভোট দিয়েছে। তাই মহারাষ্ট্রের মানুষদের কথা ভেবে আমাদের দ্রুত সমাধান খুঁজতে হবে।’

জোট রাজনীতি নিয়ে ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তাল। কে হবেন পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী? এই নিয়ে তুমুল জল্পনা চলছে। রাজনৈতিক মহলে প্রথম থেকেই শিবসেনা মুখ্যমন্ত্রীর পদের দাবিতে অনড় রয়েছে। কিন্তু বিজেপির পক্ষ থেকে শিবসেনার এই দাবি সম্পূর্ণ উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ফলে শিবসেনা শিবিরে ক্ষোভের আগুন জ্বলছে। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে যে চাপানউতোর চলছে, তা নিয়ে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে চিন্তার ভাঁজ। আপাতত এই জটিল সমস্যার সমাধান কি করে হবে, তা নিয়ে চিন্তিত রাজ্যের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি। সমগ্র পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে সে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!