রাষ্ট্রপতির বাসভবনে পৌঁছালো প্রাণনেওয়া বিষ ভর্তি চিঠি! শোরগোল গোটা দেশজুড়ে! জানুন বিস্তারিত আন্তর্জাতিক September 20, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ‘চিঠি’ যায় শুদ্ধ শব্দ ‘পত্র’ হল একজনের পক্ষ থেকে অন্যজনের জন্য লিখিত তথ্য বা বার্তা। চিঠি দুজন বা দুপক্ষের মধ্যে যোগাযোগ বজায় রাখে, বন্ধু ও আত্মীয়দের মধ্যে ঘনিষ্টতা বাড়ায়, বিভিন্ন পেশাদারি সম্পর্কের উন্নয়ন করে এবং কোনো ব্যক্তিকে আত্মপ্রকাশের সুযোগ দেয়। প্রাচীনকালে চিঠির প্রচলন ছিল প্রাচীন ভারত, প্রাচীন মিশর, সুমের, প্রাচীন রোম, মিশর এবং চীনে, চলছে এখনো। সতের ও আঠারো শতকে চিঠি লেখা হতো স্ব-শিক্ষার জন্য। সেই সময় চিঠি ছিল পাঠচর্চা, অভিজ্ঞতা বর্ণনা করা, বিতর্কমূলক লেখা বা অন্যদের সাথে ভাব বিনিময়ের পদ্ধতি। কারো কাছে এটা শুধুমাত্র লেখালেখির মাধ্যমে হলেও বেশিরভাগ মানুষের কাছে তা যোগাযোগের সুবিধার্থে অন্যতম উপাদান ছিল। বিভিন্ন সাহিত্যিকের রচনায় পদাবলী সংকলন লক্ষ্য করা যায়। তবে এই চিঠি যে সুন্দরের বার্তা বয়ে আনে তাকে উপেক্ষা করে চিঠির মাধ্যমে উঠে আসতে পারে মৃত্যু দূত, সম্প্রতি সেটাই টের পেলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সম্প্রতি আমেরিকার একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী, শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে একটি বিষ ভরতি চিঠি এসে পৌঁছেছে। যদিও সেখানকার কোনও আধিকারিকের কাছে সেটা পৌঁছানোর আগেই তা বাজেয়াপ্ত করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তবুও এই নিয়ে উত্তেজনা তৈরী হয়েছে। তবে এই ঘটনা প্রথম নয়। এর আগে ২০১৮ সালে একই ঘটনা ঘটেছিল। সেসময় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, এফবিআই ডিরেক্টর-সহ আরও কয়েকজনকে বিষ ভরতি চিঠি পাঠানো হয়। আপাতত সেই ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়ে এখন জেলে রয়েছেন এক ব্যক্তি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অন্যদিকে, জানা গিয়েছে, ওই চিঠিটি রাইসিন নামের একটি বিষে ভরতি ছিল। যার সামান্যতম অংশের সংস্পর্শে এলেও সাক্ষাৎ মৃত্যু। তাও ৩৬ থেকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যেই। উপরন্তু, এখনও গোটা বিশ্বে এই বিষের কোনও প্রতিষেধক তৈরি হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্টের ঠিকানায় পাঠানো এহেন মারাত্মক বিষ, স্বভাবতই চিন্তায় ফেলেছে মার্কিন প্রশাসনের আধিকারিকদের। তবে ইতিমধ্যেই এই চিঠি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা, এফবিআই। সেই সঙ্গে তদন্তে নেমেছে ইউএস সিক্রেট সার্ভিস ও ইউএস পোস্টাল ইন্সপেকশন সার্ভিস। তবে এখনও পর্যন্ত ওই চিঠিটি কানাডা থেকে এসেছিল বলে জানা গেছে। তবে কি এই রাইসিন? জানা গেছে রেড়ির তেল উৎপাদিত বীজের এক প্রকার শক্তিশালী বিষ। এটি কয়েকটি নুনের দানার মত আকারের, যা একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে হত্যা করতে সক্ষম। যেকোনো নিঃশ্বাসের সংস্পর্শে আসা, ইনজেকশনের মাধ্যমে পুশ করা বা চোখের সাথে বা ত্বকের কোন কাটা অংশের মধ্যে দিয়ে এই বিষ শরীরে প্রবেশ করলে, তার শরীরে প্রোটিন সংশ্লেষনের প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম হয়। এবং এর ফলে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। তবে এমন একটি বিষ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কে পাঠাল, সেই নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে এবং সেই সঙ্গে আমেরিকার প্রেসিডেন্টের ভোটের আগেই নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে একাধিক মানুষ। আপনার মতামত জানান -