এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষককে অশালীন আক্রমন তৃণমূল নেতার! ঘাসফুলের কোন্দল নামল রাস্তায়

রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষককে অশালীন আক্রমন তৃণমূল নেতার! ঘাসফুলের কোন্দল নামল রাস্তায়


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বর্তমানে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যে, এবার রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক তথা তৃণমূল নেতাকেও আক্রমণ করতে ছাড়লেন না তৃণমূলের এক গোষ্ঠীর নেতারা। স্বাভাবিক ভাবেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যখন এই পর্যায়ে, তখন বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল নেতৃত্ব যে বড় অস্বস্তিতে পড়েছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে কোচবিহার পৌরসভার প্রশাসক ভূষণ সিংয়ের প্রস্তাবিত ওয়ার্ড সভাপতিরা একটি সাংবাদিক সম্মেলন করেন।

আর সেখানেই দলের শহর ব্লকের সভাপতি নিরঞ্জন দত্তের অপসারণ দাবি করতে দেখা যায় ভূষণবাবুর অনুগামীদের। আর তৃণমূলের একটি গোষ্ঠী যখন এই দাবি করছেন, ঠিক তখনই রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত নিরঞ্জন দত্তের মত শিক্ষককে যেভাবে ভূষণবাবুর পক্ষ থেকে অপমান করা হয়েছে তা নিন্দনীয় বলে অভিযোগ করতে শুরু করল তৃণমূল প্রভাবিত শিক্ষক সংগঠন। স্বাভাবিকভাবেই শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল এবার কোচবিহার জেলায় আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করবে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।

সূত্রের খবর, এদিন দলের কার্যালয়ে বসে ভূষণবাবুর অনুগামী 20 নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর তৃণমূলের মিলন দাস বলেন, “কয়েকদিন আগেই শহর ব্লক সভাপতির উপস্থিতিতে কোচবিহার পৌরসভার প্রশাসকের সম্মানহানি করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী তাকে ওই পদে বসিয়েছেন। তাই যারা এর বিরোধিতা করছেন, আমার মনে হচ্ছে, তারা দলীয় সাংগঠনিক কাঠামোর বাইরে গিয়ে দলনেত্রীর বিরোধিতা করছেন। যা বিরোধী কাজ বলেই মনে হচ্ছে। দলের বিরোধিতা করার কারণে আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাজ্য নেতৃত্ব এবং জেলা নেতৃত্বের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।”

একইভাবে এই ব্যাপারে কোচবিহার শহর ব্লক তৃণমূল ও সাধারণ সম্পাদক শুভ্রাংশু সাহা বলেন, “ভূষণবাবুকে প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী বললেই তিনি সরে যাবেন। তাই এই বিষয়ে কে কি বললেন, তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। ওই পদ থেকে অপসারণের দাবি করা হচ্ছে। আমরা তার বিরোধিতা করছি।” তবে ভূষণবাবুকে যাতে দ্রুত সেই পদ থেকে সরানো হয়, তার জন্য দাবি তুলেছেন তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার তৃণমূলের মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি আবু তালেব আজাদ বলেন, “রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক নিরঞ্জন দত্তকে যে ভাষায় আক্রমণ করেছেন, তার জন্য আমরা শিক্ষকরা গভীরভাবে মর্মাহত। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভূষণ সিংকে পৌরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করা হোক। না হলে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। অন্যান্য শিক্ষক সংগঠনের সঙ্গে আমরা এই ব্যাপারে আলোচনা করব।”

এদিকে যাকে নিয়ে এত কিছু, সেই কোচবিহার শহর ব্লক তৃনমূলের সভাপতি নিরঞ্জন দত্ত বলেন, “আমাকে পদ দিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি। আমার থাকা বা না থাকার ওপর নির্ভর করছে। এই ব্যাপারে কে বা কারা কি বললেন, তা নিয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই।” স্বাভাবিকভাবেই যেভাবে ভূষণ সিংয়ের সঙ্গে দলের একাংশের বিরোধিতা শুরু হয়েছে এবং তাকে কেন্দ্র করে যে পর্যায়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে, তাতে তৃণমূল কংগ্রেস যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

এদিন এই ব্যাপারে মুখ খুলতে দেখা গেছে কোচবিহার জেলা তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়কেও। এদিন তিনি বলেন, “দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলেই জানাব কেন এমনটা হচ্ছে। প্রকাশ্যে এসব বলা দল কখনই অনুমোদন করে না।” সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!